‘আর নয় ছিটবাসী এবার আমরা বাংলাদেশি’ by অমর সাহা ও এ বি সফিউল আলম
তিনবিঘা করিডরে গতকাল ছিটমহল সমন্বয় কমিটির আয়োজনে কাঁটাতারের বেড়ার দুই পাশে যৌথ সমাবেশে যোগ দেন দুই দেশের ছিটমহলবাসী l ছবি: প্রথম আলো |
লালমনিরহাটের
পাটগ্রামে তিনবিঘা করিডর এলাকায় গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ-ভারতের ছিটমহলের
বাসিন্দারা আনন্দ মিছিল ও যৌথ সমাবেশ করেছে। এই আয়োজনে আনন্দে মেতেছিল
ছিটমহলবাসী। কাঁটাতারের বেড়ার দুপাশে দুই দেশের পতাকা হাতে হাজারো মানুষের
স্লোগানে প্রকম্পিত হয় তিনবিঘা করিডরের আকাশ। বাংলাদেশের পাড় থেকে হাজারো
কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, ‘আর নয় ছিটবাসী, আমরা এখন বাংলাদেশি’। আবার ভারতের পাড়
থেকে ধ্বনিত হয়, ‘আর নয় ছিটবাসী, আমরা এখন ভারতবাসী’। বাংলাদেশ-ভারত
স্থলসীমান্ত চুক্তি হওয়ার পর গতকালই প্রথম দুই দেশের ছিটমহলবাসী একত্র হয়
তিনবিঘা করিডরে। ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির ভারত ও বাংলাদেশ ইউনিট এই
সমাবেশ এবং মিছিলের আয়োজন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দুইটায় করিডর এলাকায় যৌথ সমাবেশ শুরু হয়। তার আগে সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভেতরের ১১১টি ছিটমহলের হাজারো বাসিন্দা মিছিল নিয়ে করিডরের পূর্ব গেটের কাঁটাতারের বেড়ার পাশে বটতলায় যৌথ সমাবেশে মিলিত হয়।
করিডরের উত্তর দিক থেকে সমন্বয় কমিটির ভারত ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দাস ও ছিটমহলের অন্যতম সমন্বয়ক দীপ্তিমান সেনগুপ্তের নেতৃত্বে ভারতের ভেতরে থাকা ৫১টি ছিটমহলের হাজারো মানুষ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
সীমান্ত চুক্তি করা এবং ছিটমহল বিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়ায় উভয় দেশের সরকারপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন সমন্বয় কমিটির নেতারা। তাঁরা ছিটমহলের মানুষের নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানান। দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, এত দিন একটি ভারতের সঙ্গে ১১১টি টুকরা ভারত ছিল, আর একটি বাংলাদেশের সঙ্গে ৫১টি টুকরা বাংলাদেশ ছিল। এখন হয়ে গেল একটি ভারত ও একটি বাংলাদেশ।
সমাবেশে ‘জয় বাংলা, জয় ইন্দিরা-মুজিব’, ‘জয় নরেন্দ্র মোদি-শেখ হাসিনা, জয় মমতা ব্যানার্জি’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়।
এই উৎসবে যোগ দেওয়া ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশি ছিটমহলের বাসিন্দা আইনুল হক, সালমা বেগম, সুফিয়া বিবিসহ কয়েকজন জানালেন, চুক্তি হয়ে তাঁরা খুশি। তাঁরা বাংলাদেশে যাবেন না। ভারতের মাটিতেই থাকবেন ভারতীয় হিসেবে।
সুলতানা কামালের সংহতি: তিনবিঘা করিডরের যৌথ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। করিডর পরিদর্শন শেষে গতকাল বিকেলে সেখানে এক পথসভায় তিনি বলেন, ‘ছিটমহল সমস্যা সমাধানে দুই দেশের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আর মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রশ্নে বিভিন্ন সংগঠন সজাগ রয়েছে। ... কোথাও কোনো সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের বিজয় আপনাদেরই ধরে রাখতে হবে। কোনো দুষ্ট চক্রের কথায় কান দেওয়া যাবে না।’
এর আগে সুলতানা কামাল তিনবিঘা করিডরের ক্রসিং পয়েন্টে উভয় দেশের ছিটমহলের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দুইটায় করিডর এলাকায় যৌথ সমাবেশ শুরু হয়। তার আগে সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভেতরের ১১১টি ছিটমহলের হাজারো বাসিন্দা মিছিল নিয়ে করিডরের পূর্ব গেটের কাঁটাতারের বেড়ার পাশে বটতলায় যৌথ সমাবেশে মিলিত হয়।
করিডরের উত্তর দিক থেকে সমন্বয় কমিটির ভারত ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দাস ও ছিটমহলের অন্যতম সমন্বয়ক দীপ্তিমান সেনগুপ্তের নেতৃত্বে ভারতের ভেতরে থাকা ৫১টি ছিটমহলের হাজারো মানুষ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
সীমান্ত চুক্তি করা এবং ছিটমহল বিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়ায় উভয় দেশের সরকারপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন সমন্বয় কমিটির নেতারা। তাঁরা ছিটমহলের মানুষের নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানান। দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, এত দিন একটি ভারতের সঙ্গে ১১১টি টুকরা ভারত ছিল, আর একটি বাংলাদেশের সঙ্গে ৫১টি টুকরা বাংলাদেশ ছিল। এখন হয়ে গেল একটি ভারত ও একটি বাংলাদেশ।
সমাবেশে ‘জয় বাংলা, জয় ইন্দিরা-মুজিব’, ‘জয় নরেন্দ্র মোদি-শেখ হাসিনা, জয় মমতা ব্যানার্জি’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়।
এই উৎসবে যোগ দেওয়া ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশি ছিটমহলের বাসিন্দা আইনুল হক, সালমা বেগম, সুফিয়া বিবিসহ কয়েকজন জানালেন, চুক্তি হয়ে তাঁরা খুশি। তাঁরা বাংলাদেশে যাবেন না। ভারতের মাটিতেই থাকবেন ভারতীয় হিসেবে।
সুলতানা কামালের সংহতি: তিনবিঘা করিডরের যৌথ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। করিডর পরিদর্শন শেষে গতকাল বিকেলে সেখানে এক পথসভায় তিনি বলেন, ‘ছিটমহল সমস্যা সমাধানে দুই দেশের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আর মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রশ্নে বিভিন্ন সংগঠন সজাগ রয়েছে। ... কোথাও কোনো সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের বিজয় আপনাদেরই ধরে রাখতে হবে। কোনো দুষ্ট চক্রের কথায় কান দেওয়া যাবে না।’
এর আগে সুলতানা কামাল তিনবিঘা করিডরের ক্রসিং পয়েন্টে উভয় দেশের ছিটমহলের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
No comments