ঘাট নেই, তবু তিন গুণ টোল আদায়
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রামপাল নদ পারাপারের কোনো ঘাট নেই। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত বুধবার তোলা ছবি l প্রথম আলো |
বাগেরহাটের
রামপাল নদে যাত্রী পারাপারের জন্য কোনো ঘাট নেই। ইজারাদার সেখানে ঘাট তো
নির্মাণ করেননি, বরং যাত্রী পারাপারে জেলা পরিষদের নির্ধারিত টাকার তিন গুণ
টাকা আদায় করছেন।
রামপাল নদসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল-সংলগ্ন রামপাল নদ নৌকায় পারাপার হতে হয়। চ্যানেল খননের আগে নাব্যতাসংকটের কারণে এ নদে ভাটার সময় পানি থাকত না। তখন যাত্রীদের নৌকার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হতে হতো। এ জন্য নৌকার ভাড়া বাবদ তিন টাকা এবং টোল আদায়কারীদের তিন টাকা মোট ছয় টাকা দিতে হতো। আর মালামাল বহন করলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হতো। কিন্তু এ চ্যানেল খননের ফলে নাব্যতা ফিরে এলেও ইজারাদার একইভাবে ছয় টাকা আদায় করছে। যদিও যাত্রী পারাপারে জনপ্রতি দুই টাকা করে ধার্য করে দিয়েছে জেলা পরিষদ।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার কোনো পাকা রাস্তা নেই। প্রায় ৪০০ গজ পথের পুরোটাই মাটির। বৃষ্টিতে সেখানে হাঁটুসমান কাদা। নৌকায় ওঠার জন্য কোনো ঘাটও নেই। কাদা ও পানি ডিঙিয়ে নৌকায় উঠতে হচ্ছে। নদীর দুই পাড়ের ঘাটের একই অবস্থা। নারী ও শিশুদের নৌকায় পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
রামপালের দেয়ালডাঙ্গা গ্রামের নেয়ামতসহ আরও কয়েকজন যাত্রী বলেন, দুই পাড়েই কোনো ঘাট নেই। কাদা-পানি ভেঙে নদী পার হতে হচ্ছে। তারপরও ভাড়া দিতে হচ্ছে ছয় টাকা। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে টোল আদায়কারীরা যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। রামপালের ফুলপুকুর গ্রামের গৃহিণী রাবেয়া বেগম বলেন, ছোট বাচ্চাদের কোলে নিয়ে এভাবে নৌকায় ওঠা খুবই কষ্টকর। টাকা বেশি নিয়েও যদি ইজারাদার ঘাট এবং ঘাটে আসার রাস্তাটা ঠিক করে দিতেন, তাহলেও মেনে নেওয়া যেত। দুই মাস ধরে এ সমস্যা চললেও কোনো প্রতিকার নেই।
মিঠেখালী গ্রামের মাসুম শেখ বলেন, পার্শ্ববর্তী মংলা ও খুলনার রূপসা নদীতে যাত্রী পারাপারে তিন টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ওই দুই নদী থেকে অনেক ছোট এ নদ পারাপারে দ্বিগুণ টাকা দিতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল, সাইকেল ও মালামাল বহনেও অনেক বেশি টাকা দিতে হয়। ফলে প্রতিদিনই এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে টোল আদায়কারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। কিন্তু, ইজারাদারের লোকজন জোর করেই টাকা আদায় করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনও এ বিষয়ে নীরব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার রামপাল খেয়াঘাট পাটনীজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগে নাব্যতাসংকটের কারণে যখন ট্রলার চালানো যেত না, তখন একের পর এক ৩০টি নৌকা রেখে যাত্রী পারাপার করা হতো। এ জন্য নৌকার ভাড়া বাবদ তিন টাকা রাখা হতো। এখন ট্রলার চালানো সম্ভব হলেও নৌকার মাঝিদের দিকে তাকিয়ে আগের মতোই ভাড়া আদায় করতে হচ্ছে। ঘাট ও ঘাটে আসার রাস্তা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের ড্রেজারের পাইপের কারণে সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত আমরা রাস্তা নির্মাণ করে দেব।’
বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ রকম অনিয়ম হলে তদন্ত করে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রামপাল নদসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল-সংলগ্ন রামপাল নদ নৌকায় পারাপার হতে হয়। চ্যানেল খননের আগে নাব্যতাসংকটের কারণে এ নদে ভাটার সময় পানি থাকত না। তখন যাত্রীদের নৌকার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হতে হতো। এ জন্য নৌকার ভাড়া বাবদ তিন টাকা এবং টোল আদায়কারীদের তিন টাকা মোট ছয় টাকা দিতে হতো। আর মালামাল বহন করলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হতো। কিন্তু এ চ্যানেল খননের ফলে নাব্যতা ফিরে এলেও ইজারাদার একইভাবে ছয় টাকা আদায় করছে। যদিও যাত্রী পারাপারে জনপ্রতি দুই টাকা করে ধার্য করে দিয়েছে জেলা পরিষদ।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার কোনো পাকা রাস্তা নেই। প্রায় ৪০০ গজ পথের পুরোটাই মাটির। বৃষ্টিতে সেখানে হাঁটুসমান কাদা। নৌকায় ওঠার জন্য কোনো ঘাটও নেই। কাদা ও পানি ডিঙিয়ে নৌকায় উঠতে হচ্ছে। নদীর দুই পাড়ের ঘাটের একই অবস্থা। নারী ও শিশুদের নৌকায় পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
রামপালের দেয়ালডাঙ্গা গ্রামের নেয়ামতসহ আরও কয়েকজন যাত্রী বলেন, দুই পাড়েই কোনো ঘাট নেই। কাদা-পানি ভেঙে নদী পার হতে হচ্ছে। তারপরও ভাড়া দিতে হচ্ছে ছয় টাকা। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে টোল আদায়কারীরা যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। রামপালের ফুলপুকুর গ্রামের গৃহিণী রাবেয়া বেগম বলেন, ছোট বাচ্চাদের কোলে নিয়ে এভাবে নৌকায় ওঠা খুবই কষ্টকর। টাকা বেশি নিয়েও যদি ইজারাদার ঘাট এবং ঘাটে আসার রাস্তাটা ঠিক করে দিতেন, তাহলেও মেনে নেওয়া যেত। দুই মাস ধরে এ সমস্যা চললেও কোনো প্রতিকার নেই।
মিঠেখালী গ্রামের মাসুম শেখ বলেন, পার্শ্ববর্তী মংলা ও খুলনার রূপসা নদীতে যাত্রী পারাপারে তিন টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ওই দুই নদী থেকে অনেক ছোট এ নদ পারাপারে দ্বিগুণ টাকা দিতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল, সাইকেল ও মালামাল বহনেও অনেক বেশি টাকা দিতে হয়। ফলে প্রতিদিনই এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে টোল আদায়কারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। কিন্তু, ইজারাদারের লোকজন জোর করেই টাকা আদায় করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনও এ বিষয়ে নীরব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার রামপাল খেয়াঘাট পাটনীজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগে নাব্যতাসংকটের কারণে যখন ট্রলার চালানো যেত না, তখন একের পর এক ৩০টি নৌকা রেখে যাত্রী পারাপার করা হতো। এ জন্য নৌকার ভাড়া বাবদ তিন টাকা রাখা হতো। এখন ট্রলার চালানো সম্ভব হলেও নৌকার মাঝিদের দিকে তাকিয়ে আগের মতোই ভাড়া আদায় করতে হচ্ছে। ঘাট ও ঘাটে আসার রাস্তা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের ড্রেজারের পাইপের কারণে সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত আমরা রাস্তা নির্মাণ করে দেব।’
বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ রকম অনিয়ম হলে তদন্ত করে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments