‘স্মার্ট’–এর ফাঁদে কলেজে ভর্তি
ওয়েবসাইটের হোমপেজে বড় করে লেখা
‘স্মার্ট অ্যাডমিশন সিস্টেম’। কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণির ভর্তির জন্য এই
‘স্মার্ট’ (চৌকস) ব্যবস্থা এবারই চালু করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদন গ্রহণ থেকে
শুরু করে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে এই ওয়েবসাইটে।
কিন্তু এ ব্যবস্থায় শুরু থেকেই গলদঘর্ম হতে হচ্ছে ভর্তি-ইচ্ছুক
শিক্ষার্থীদের।
আবেদন গ্রহণের সময় অনেক শিক্ষার্থীকে না জানিয়েই কে বা কারা তাদের পক্ষে আবেদন করে ফেলে। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে ওই সব শিক্ষার্থী।
আর এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ‘ডিজিটাল কারিগরি সমস্যায়’ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা কে কোন কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করতে পারছে না শিক্ষা বোর্ড। তিন দফা সময় বাড়িয়ে বোর্ড গতকাল শনিবারও ফল প্রকাশ করতে পারেনি। আজ রোববার প্রকাশ করা হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে। তবে সেটাও নিশ্চিত নয়। এ সমস্যার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের কর্মকর্তারা দুষছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট)। বুয়েটের সহায়তায় এ কাজটি হচ্ছে। আর কাজটি হচ্ছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে।
তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় ভর্তির কাজও আটকে গেছে। এ জন্য সাড়ে ১১ লাখ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক দুশ্চিন্তায় আছেন। নীতিমালা অনুযায়ী, গতকাল থেকে ভর্তির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না। তাদের দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই।
বোর্ডের পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ভর্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন কারিগরি সমস্যার কারণে তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি ঢাকা বোর্ড। এ জন্য এক দিন সময় বাড়িয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় তালিকা প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শুক্রবার রাতেও তা প্রকাশ করা যায়নি। পরে আরেক দফায় পিছিয়ে শনিবার সকালে প্রকাশ করা হবে বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাও হয়নি। এখন আর সুনির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে না কবে ফল প্রকাশ হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সমস্যা দূর হলেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। আজ সকালে তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুজন পদস্থ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে বলছে না, কী সমস্যা হয়েছে। তবে তাঁদের ধারণা, ওয়েবসাইটের ‘কোডিং’ (প্রোগ্রামিং সংকেত) সমস্যার কারণে এ সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, যে ওয়েবসাইটে কাজ চলছে, সেখানে বড় ধরনের কারিগরি সমস্যা হচ্ছে। একাধিকার হ্যাকও হয়েছে। এ জন্যই মনে হয় তালিকা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এর সমাধানে বুয়েটের অধ্যাপক কায়কোবাদকে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের কর্মকর্তারাও এতে যুক্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক কায়কোবাদ প্রথম আলোকে বলেন, চেষ্টা চলছে।
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান অসহায়ত্ব প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুবই সমস্যা হয়ে গেল। বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানও যদি এ রকম সমস্যায় পড়ে, তাহলে আমরা কোথায় যাব!’ গতকাল বিকেলে তিনি বলেন, ‘আশা করছি রোববার ফল প্রকাশ করা যাবে।’
ভর্তির জন্য ৬ জুন আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ২১ জুন। এবার অনলাইনে (www.xiclassadmission.gov.bd) এবং বিকল্প হিসেবে আগের মতো খুদে বার্তায় আবেদন গ্রহণ করা হয়। অনলাইনে সর্বোচ্চ পাঁচটি কলেজের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হয়েছে। এখান থেকে এসএসসির ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেবে শিক্ষা বোর্ড।
এবার মোট ১১ লাখ ৫৬ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করে। ২৭ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তি শেষে ১ জুলাই একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরুর কথা। কিন্তু এখন সবকিছু আটকে গেছে।
আবেদন গ্রহণের সময় অনেক শিক্ষার্থীকে না জানিয়েই কে বা কারা তাদের পক্ষে আবেদন করে ফেলে। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে ওই সব শিক্ষার্থী।
আর এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ‘ডিজিটাল কারিগরি সমস্যায়’ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা কে কোন কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করতে পারছে না শিক্ষা বোর্ড। তিন দফা সময় বাড়িয়ে বোর্ড গতকাল শনিবারও ফল প্রকাশ করতে পারেনি। আজ রোববার প্রকাশ করা হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে। তবে সেটাও নিশ্চিত নয়। এ সমস্যার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের কর্মকর্তারা দুষছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট)। বুয়েটের সহায়তায় এ কাজটি হচ্ছে। আর কাজটি হচ্ছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে।
তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় ভর্তির কাজও আটকে গেছে। এ জন্য সাড়ে ১১ লাখ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক দুশ্চিন্তায় আছেন। নীতিমালা অনুযায়ী, গতকাল থেকে ভর্তির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না। তাদের দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই।
বোর্ডের পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ভর্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন কারিগরি সমস্যার কারণে তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি ঢাকা বোর্ড। এ জন্য এক দিন সময় বাড়িয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় তালিকা প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শুক্রবার রাতেও তা প্রকাশ করা যায়নি। পরে আরেক দফায় পিছিয়ে শনিবার সকালে প্রকাশ করা হবে বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাও হয়নি। এখন আর সুনির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে না কবে ফল প্রকাশ হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সমস্যা দূর হলেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। আজ সকালে তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুজন পদস্থ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে বলছে না, কী সমস্যা হয়েছে। তবে তাঁদের ধারণা, ওয়েবসাইটের ‘কোডিং’ (প্রোগ্রামিং সংকেত) সমস্যার কারণে এ সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, যে ওয়েবসাইটে কাজ চলছে, সেখানে বড় ধরনের কারিগরি সমস্যা হচ্ছে। একাধিকার হ্যাকও হয়েছে। এ জন্যই মনে হয় তালিকা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এর সমাধানে বুয়েটের অধ্যাপক কায়কোবাদকে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের কর্মকর্তারাও এতে যুক্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক কায়কোবাদ প্রথম আলোকে বলেন, চেষ্টা চলছে।
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান অসহায়ত্ব প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুবই সমস্যা হয়ে গেল। বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানও যদি এ রকম সমস্যায় পড়ে, তাহলে আমরা কোথায় যাব!’ গতকাল বিকেলে তিনি বলেন, ‘আশা করছি রোববার ফল প্রকাশ করা যাবে।’
ভর্তির জন্য ৬ জুন আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ২১ জুন। এবার অনলাইনে (www.xiclassadmission.gov.bd) এবং বিকল্প হিসেবে আগের মতো খুদে বার্তায় আবেদন গ্রহণ করা হয়। অনলাইনে সর্বোচ্চ পাঁচটি কলেজের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হয়েছে। এখান থেকে এসএসসির ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেবে শিক্ষা বোর্ড।
এবার মোট ১১ লাখ ৫৬ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করে। ২৭ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তি শেষে ১ জুলাই একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরুর কথা। কিন্তু এখন সবকিছু আটকে গেছে।
No comments