মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার হরণে ইইউ’র উদ্বেগ -সরকার আমলে নিলেই সবার মঙ্গল
বাংলাদেশে মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অবাধে রাজনীতি করার অধিকারসহ নানা মৌলিক অধিকার আজ চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছেÑ এ কথা অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। এ নিয়ে বারবার বিভিন্ন মহল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই উদ্বেগ প্রকাশ এখনো অব্যাহত। শুধু দেশেই নয়, বাইরের মহল থেকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সর্বশেষ বাংলাদেশে মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষিত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা ইইউ’র পক্ষ থেকে।
নয়া দিগন্ত এক খবরে জানিয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দুই দলের মারমুখী অবস্থান বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ফেলতে পারেÑ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন আশঙ্কার পর ইইউ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের এই উদ্বেগের কথা জানাল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ সহযোগিতা চুক্তির আওতায় গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত সুশাসন, মানবাধিকার ও অভিভাসনবিষয়ক উপদলের বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানায়। বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একাধিক বিষয়ে ইইউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে বিশেষ করে সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইইউ বলেছে, সহিংসতার শিকার মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লিখিত উপদলের বৈঠকে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সুশাসন, স্বচ্ছতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকার ও নাগরিক সমাজ, শ্রম অধিকার, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু, নারী ও শিশু অধিকার, মৃত্যুদণ্ড ও অভিবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, উল্লিখিত বৈঠকে মানবাধিকার-সংশ্লিষ্ট যেসব বিষয়ের ওপর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তার সমাধান মূলত নির্ভর করে সরকারের উদ্যোগ-আয়োজনের ওপর। আমরা আশা করব, সরকারপক্ষ ইইউ’র উদ্বেগের বিষয়টি আমলে নিয়ে এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান টানবে। আর এতেই নিহিত রয়েছে সবার মঙ্গল।
নয়া দিগন্ত এক খবরে জানিয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দুই দলের মারমুখী অবস্থান বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ফেলতে পারেÑ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন আশঙ্কার পর ইইউ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের এই উদ্বেগের কথা জানাল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ সহযোগিতা চুক্তির আওতায় গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত সুশাসন, মানবাধিকার ও অভিভাসনবিষয়ক উপদলের বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানায়। বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একাধিক বিষয়ে ইইউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে বিশেষ করে সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইইউ বলেছে, সহিংসতার শিকার মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লিখিত উপদলের বৈঠকে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সুশাসন, স্বচ্ছতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকার ও নাগরিক সমাজ, শ্রম অধিকার, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু, নারী ও শিশু অধিকার, মৃত্যুদণ্ড ও অভিবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, উল্লিখিত বৈঠকে মানবাধিকার-সংশ্লিষ্ট যেসব বিষয়ের ওপর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তার সমাধান মূলত নির্ভর করে সরকারের উদ্যোগ-আয়োজনের ওপর। আমরা আশা করব, সরকারপক্ষ ইইউ’র উদ্বেগের বিষয়টি আমলে নিয়ে এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান টানবে। আর এতেই নিহিত রয়েছে সবার মঙ্গল।
No comments