পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধের আশংকা যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতের
মাটিতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে শুরু হতে পারে পাক-ভারত
পরমাণু যুদ্ধ। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি পূর্ণ উপমহাদেশে এই পারমাণবিক যুদ্ধের
আশংকা প্রকাশ করেছেন দুই মার্কিন বিশেষজ্ঞ। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে
মার্কিন কংগ্রেসে অনুষ্ঠিত এক বিতর্কে অংশ নেয়ার সময় এমন আশংকা ব্যক্ত
করেছেন দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ জর্জ পেরকোভিচ এবং অ্যাশলি
টেলিস। শনিবার ডনের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি ওবামা
প্রশাসনের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মার্কিন সিনেট এবং হাউস অব
রিপ্রেজেন্টেটিভে একটি সিরিজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র দফতরের প্রস্তাবিত বিদেশী অনুদানের পক্ষে এক বিতর্কে অংশ
নিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং ওই দুই বিশেষজ্ঞ।
তারা বলেন, ২৬/১১-র কায়দায় ভারতে যদি আবার হামলা হয়, তাহলে তার প্রত্যুত্তরে প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে পুরোদস্তুর সেনা অভিযান চালানো হবে বলে দিল্লি সেই মনমোহন আমলেই জানিয়ে রেখেছে। তার পরেও ভারত সীমান্তে গুলিবর্ষণ ও জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে স্নায়ুর চাপ উত্তরোত্তর বাড়িয়ে তুলছে। এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে এবং ২৬/১১-র মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না। তখন উপায়ান্তর না দেখে পরমাণু হামলাও চালাতে পারে মরিয়া পাকিস্তান।
এই অবস্থায় ওয়াশিংটন যদি ইসলামাবাদের ওপর আরও চাপ দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিহানা বন্ধ করাতে পারে, কেবল তখনই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। পেরকোভিচের বক্তব্য হচ্ছে, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে ধরনের অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা দেখা যায়, তাতে দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলটিতে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।’ অন্যদিকে, টেলিস সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে মার্কিন প্রভাব কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, এই আশংকা একেবারে আনকোরা নতুন কিছু নয়। বাজপেয়ির আমলে ভারতের পরমাণু পরীক্ষার পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান যখন পাক পরমাণু বোমার জনক আবদুল কাদির খানের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল, তখন থেকেই এই ভয়ের সূত্রপাত। সম্প্রতি আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রিজওয়ান আখতারের যুক্তরাষ্ট্র সফর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর মার্কিন প্রশাসনের চাপ বাড়ানোরই একটি পদক্ষেপ।
পরমাণু আক্রমণযোগ্য ৬ সাবমেরিন বানাচ্ছে ভারত : ভারতের নৌ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারমাণবিক হামলা করতে সক্ষম এমন ছয়টি সাবমেরিন বানাচ্ছে নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় এমন একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে থাকছে সাতটি দেশীয় উৎপাদনের রণতরী ও ছয়টি পরমাণুচালিত সাবমেরিন। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক ট্রিলিয়ন রুপি বা ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। দ্য ন্যশনাল ইন্টারেস্ট নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য চীনের মোকাবেলায় সমুদ্র সীমানায় ভারতীয় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ২০১২ সালের ‘প্রজেক্ট-১৭এ’ এর আওতায় নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাতটি বিশেষ রণতরীর চারটি তৈরি হবে মুম্বাইয়ের মাজাগন ডকসে। বাকি তিনটি কলকাতায়। তবে আগামী ১০ বছরের আগে এগুলো অপারেশনে আসছে না বলে জানা গেছে।
তারা বলেন, ২৬/১১-র কায়দায় ভারতে যদি আবার হামলা হয়, তাহলে তার প্রত্যুত্তরে প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে পুরোদস্তুর সেনা অভিযান চালানো হবে বলে দিল্লি সেই মনমোহন আমলেই জানিয়ে রেখেছে। তার পরেও ভারত সীমান্তে গুলিবর্ষণ ও জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে স্নায়ুর চাপ উত্তরোত্তর বাড়িয়ে তুলছে। এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে এবং ২৬/১১-র মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না। তখন উপায়ান্তর না দেখে পরমাণু হামলাও চালাতে পারে মরিয়া পাকিস্তান।
এই অবস্থায় ওয়াশিংটন যদি ইসলামাবাদের ওপর আরও চাপ দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিহানা বন্ধ করাতে পারে, কেবল তখনই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। পেরকোভিচের বক্তব্য হচ্ছে, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে ধরনের অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা দেখা যায়, তাতে দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলটিতে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।’ অন্যদিকে, টেলিস সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে মার্কিন প্রভাব কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, এই আশংকা একেবারে আনকোরা নতুন কিছু নয়। বাজপেয়ির আমলে ভারতের পরমাণু পরীক্ষার পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান যখন পাক পরমাণু বোমার জনক আবদুল কাদির খানের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল, তখন থেকেই এই ভয়ের সূত্রপাত। সম্প্রতি আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রিজওয়ান আখতারের যুক্তরাষ্ট্র সফর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর মার্কিন প্রশাসনের চাপ বাড়ানোরই একটি পদক্ষেপ।
পরমাণু আক্রমণযোগ্য ৬ সাবমেরিন বানাচ্ছে ভারত : ভারতের নৌ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারমাণবিক হামলা করতে সক্ষম এমন ছয়টি সাবমেরিন বানাচ্ছে নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় এমন একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে থাকছে সাতটি দেশীয় উৎপাদনের রণতরী ও ছয়টি পরমাণুচালিত সাবমেরিন। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক ট্রিলিয়ন রুপি বা ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। দ্য ন্যশনাল ইন্টারেস্ট নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য চীনের মোকাবেলায় সমুদ্র সীমানায় ভারতীয় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ২০১২ সালের ‘প্রজেক্ট-১৭এ’ এর আওতায় নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাতটি বিশেষ রণতরীর চারটি তৈরি হবে মুম্বাইয়ের মাজাগন ডকসে। বাকি তিনটি কলকাতায়। তবে আগামী ১০ বছরের আগে এগুলো অপারেশনে আসছে না বলে জানা গেছে।
No comments