খালেদার কার্যালয়ে খাবার আসে যেভাবে by কমল জোহা খান
পুলিশের
বাধায় আসছে না খাবার—এমন অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। বিএনপির চেয়ারপারসনের
মিডিয়া উইং বরাবরের মতো গত শনিবারও বলেছে, খাবার আনায় পুলিশের বাধা
রয়েছে। অধিকাংশ সময়ই তাঁদের শুকনো খাবার খেয়ে থাকতে হচ্ছে। তাহলে কীভাবে
আছেন এই কার্যালয়ের বাসিন্দারা?
আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর ও ওই কার্যালয়ের বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার আসছে তিনভাবে। খালেদা জিয়ার জন্য খাবার আসছে তাঁর ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দরের বাসা থেকে। অন্যদের খাবার বাইরে থেকে নিয়ে আসছেন খালেদার নিরাপত্তা দল সিএসএফের সদস্যরা।
আর যে পুলিশ সদস্যরা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার ঢুকতে দিতে বিভিন্ন সময় বাধা দিয়েছেন, তাঁদেরই খাবারের ব্যাগ এনে কার্যালয়ের ভেতরে সিএসএফ সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিতে দেখা গেছে। তবে তাঁদের সবাই সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্য। সিএসএফ, অর্থাৎ চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্স এর সদস্যরা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত।
খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন থেকে এর মধ্যে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে গুলশানের কার্যালয়ে পুলিশ প্রহরা একই রকম রয়েছে। আদালত ওই কার্যালয়ে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শামীম ইস্কান্দরের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার জন্য খাবার আনার কাজ করেন খায়ের নামে এক যুবক। তিনি একসময় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের গাড়ি চালাতেন। শামীমের বাসার রান্না করা খাবার নিয়ে প্রতিদিন চার বার বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের ভেতর যান খায়ের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কার্যালয়ে অবস্থানকারী অন্যদের জন্য খাবার রান্না করা হয় খালেদা জিয়ার গুলশান-২ এর বাসভবন ‘ফিরোজায়’। রান্না করা সেই খাবার সিএসএফ সদস্যরা নিয়ে আসেন। আনার সময় গুলশান লেকের রাস্তা দিয়ে ৮৮ নম্বর সড়ক দিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে আসেন তাঁরা। দিনের প্রথমে সকালের পালাবদলের সময় সাত-আটজন সিএসএফ সদস্যদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে ব্যাগ থাকে। সেই ব্যাগ নিয়ে তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। একইভাবে প্রতিদিন দুপুর দুইটার পর দ্বিতীয় দফা ও সবশেষ রাত ১০টার সময় ব্যাগে করে খাবার নিয়ে আসা হয়।
এর আগে গত শনিবার দেখা গেছে, ঢাকা বারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিজয় উপলক্ষে বিরিয়ানির প্যাকেটগুলো কয়েক দফায় গুলশান কার্যালয়ে ভেতরে নেওয়া হয় সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায়। ভেতরে দেওয়ার পর কয়েকটি প্যাকেট গেটের পাশের নিরাপত্তা ঘরে রেখে দেন তাঁরা। দুপুরে পালাবদলের সময় বেশ কয়েকটি বিরিয়ানির প্যাকেট একটি ব্যাগে করে নিয়ে চলে যান সাদা পোশাকধারী দুই পুলিশ।
গত শনিবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত ব্যাগ নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে কাউকে যেতে দেখা যায়নি। সিএসএফেরও কোনো বদল হয়নি। একইদিন শায়রুল কবীর অভিযোগ করেন, খাবার আনায় পুলিশের বাধা রয়েছে।
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ৫০ জন অবস্থান করছেন জানিয়ে শায়রুল কবীর দাবি করেন, পুলিশ বাধা দেওয়ার আগে কার্যালয়ের ভেতরে আগের জমানো খাবার তাঁদের খেতে হচ্ছে। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্টক করা খাবার আমরা খাচ্ছি। আর সিএসএফের লোকজন বাইরে থেকে খেয়ে আসছেন। এ ছাড়া চিড়া-মুড়িসহ শুকনা খাবার খেতে হচ্ছে।’
ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ভেতরে পুলিিশ বাধায় খাবার ফেরত চলে যায়। এর পর ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে একাধিক বার খাবার আনায় পুলিশ বাধা দেয়। সেদিন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান দাবি করেন, খালেদা জিয়া পাঁচ দিন ধরে অভুক্ত আছেন। সবশেষ ২১ ফেব্রুয়ারি ১২ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাও খালেদার জন্য আনা খাবার না দিতে পেরে ফেরত চলে যান।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সিএসএফ সদস্য ছাড়া ওই কার্যালয়ে আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান। আছেন শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান সোহেল, শিরীন সুলতানা, শায়রুল কবীর, শামসুদ্দিন দিদার ও এবিএম আবদুস সাত্তার। খালেদা জিয়ার বাসভবনের বেশ কিছু কর্মচারীও সেখানে থাকছেন।
আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর ও ওই কার্যালয়ের বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার আসছে তিনভাবে। খালেদা জিয়ার জন্য খাবার আসছে তাঁর ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দরের বাসা থেকে। অন্যদের খাবার বাইরে থেকে নিয়ে আসছেন খালেদার নিরাপত্তা দল সিএসএফের সদস্যরা।
আর যে পুলিশ সদস্যরা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার ঢুকতে দিতে বিভিন্ন সময় বাধা দিয়েছেন, তাঁদেরই খাবারের ব্যাগ এনে কার্যালয়ের ভেতরে সিএসএফ সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিতে দেখা গেছে। তবে তাঁদের সবাই সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্য। সিএসএফ, অর্থাৎ চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্স এর সদস্যরা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত।
খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন থেকে এর মধ্যে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে গুলশানের কার্যালয়ে পুলিশ প্রহরা একই রকম রয়েছে। আদালত ওই কার্যালয়ে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শামীম ইস্কান্দরের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার জন্য খাবার আনার কাজ করেন খায়ের নামে এক যুবক। তিনি একসময় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের গাড়ি চালাতেন। শামীমের বাসার রান্না করা খাবার নিয়ে প্রতিদিন চার বার বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের ভেতর যান খায়ের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কার্যালয়ে অবস্থানকারী অন্যদের জন্য খাবার রান্না করা হয় খালেদা জিয়ার গুলশান-২ এর বাসভবন ‘ফিরোজায়’। রান্না করা সেই খাবার সিএসএফ সদস্যরা নিয়ে আসেন। আনার সময় গুলশান লেকের রাস্তা দিয়ে ৮৮ নম্বর সড়ক দিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে আসেন তাঁরা। দিনের প্রথমে সকালের পালাবদলের সময় সাত-আটজন সিএসএফ সদস্যদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে ব্যাগ থাকে। সেই ব্যাগ নিয়ে তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। একইভাবে প্রতিদিন দুপুর দুইটার পর দ্বিতীয় দফা ও সবশেষ রাত ১০টার সময় ব্যাগে করে খাবার নিয়ে আসা হয়।
এর আগে গত শনিবার দেখা গেছে, ঢাকা বারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিজয় উপলক্ষে বিরিয়ানির প্যাকেটগুলো কয়েক দফায় গুলশান কার্যালয়ে ভেতরে নেওয়া হয় সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায়। ভেতরে দেওয়ার পর কয়েকটি প্যাকেট গেটের পাশের নিরাপত্তা ঘরে রেখে দেন তাঁরা। দুপুরে পালাবদলের সময় বেশ কয়েকটি বিরিয়ানির প্যাকেট একটি ব্যাগে করে নিয়ে চলে যান সাদা পোশাকধারী দুই পুলিশ।
গত শনিবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত ব্যাগ নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে কাউকে যেতে দেখা যায়নি। সিএসএফেরও কোনো বদল হয়নি। একইদিন শায়রুল কবীর অভিযোগ করেন, খাবার আনায় পুলিশের বাধা রয়েছে।
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ৫০ জন অবস্থান করছেন জানিয়ে শায়রুল কবীর দাবি করেন, পুলিশ বাধা দেওয়ার আগে কার্যালয়ের ভেতরে আগের জমানো খাবার তাঁদের খেতে হচ্ছে। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্টক করা খাবার আমরা খাচ্ছি। আর সিএসএফের লোকজন বাইরে থেকে খেয়ে আসছেন। এ ছাড়া চিড়া-মুড়িসহ শুকনা খাবার খেতে হচ্ছে।’
ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ভেতরে পুলিিশ বাধায় খাবার ফেরত চলে যায়। এর পর ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে একাধিক বার খাবার আনায় পুলিশ বাধা দেয়। সেদিন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান দাবি করেন, খালেদা জিয়া পাঁচ দিন ধরে অভুক্ত আছেন। সবশেষ ২১ ফেব্রুয়ারি ১২ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাও খালেদার জন্য আনা খাবার না দিতে পেরে ফেরত চলে যান।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সিএসএফ সদস্য ছাড়া ওই কার্যালয়ে আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান। আছেন শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান সোহেল, শিরীন সুলতানা, শায়রুল কবীর, শামসুদ্দিন দিদার ও এবিএম আবদুস সাত্তার। খালেদা জিয়ার বাসভবনের বেশ কিছু কর্মচারীও সেখানে থাকছেন।
No comments