সঙ্কটের সমাধান না হলে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের তৈরী পোশাক শিল্প বড় ধরনের ইমেজ সঙ্কটে পড়ায় ক্রেতাদের অর্ডার পাচ্ছেন না শিল্পমালিকেরা। ইতোমধ্যেই দুই কোটি ৩২ লাখ ৩৩ হাজার ১৯০ ডলারের বেশি তি হয়েছে। লোকসানে পড়ে ব্যবসায় গুটিয়ে ফেলার চিন্তাভাবনা করছেন ব্যবসায়ীরা। বিজিএমইএ’র বক্তব্য অনুসারে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক ৮০ শতাংশ ক্রেতাই বাংলাদেশে ভ্রমণ থেকে বিরত রয়েছেন। অর্ডার নিতে উদ্যোক্তাদের অন্য কোনো দেশে যেতে হয়েছে বৈঠক করতে। এতে অনেকে ছাড় দিয়ে অর্ডার পেয়েছেন সামান্য, কাউকে আবার ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। ইউরোপ ও আমেরিকার ৯টি শীর্ষস্থানীয় বায়ার জানিয়েছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তারা সাময়িকভাবে অন্যত্র অর্ডার শিফট করছেন। একই কারণে অনেক বায়ারই অর্ডার বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া কেউ কেউ হংকং, চীন ও থাইল্যান্ডের মতো তৃতীয় দেশে গিয়ে অর্ডার আনতে বলছেন।
বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, পোশাক খাতের প্রতিদিনের উৎপাদন মূল্য প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা। কোনো কারণে অর্ধবেলার উৎপাদন বিঘিœত হলে তি হয় ২১৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালে পোশাক খাতের রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করতে হলে গড় প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশে রাখা দরকার। এসব বিবেচনায় দেখা যায়, গত ৫০ দিনের অবরোধে শুধু পোশাক খাতেই তি হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২১ হাজার কোটি টাকা। ২০১৩ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার তি পুষিয়ে নিয়ে বর্তমান রফতানি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা কারখানায় ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি এবং কমপ্লায়েন্সসহ সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইতোমধ্যেই একটা অবস্থান তৈরি করার সময়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পোশাক খাতকে দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অস্থিরতা-পরবর্তী ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই নতুন মজুরি বাস্তবায়ন এবং বিদেশী ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শনের বিষয়টি গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আগামী কয়েক মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি ১ অঙ্কে নেমে আসতে পারে। আর রফতানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্প কোনো কারণে অস্তিত্ব হারালে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রাম থেকে আসা ৩২ লাখ নারী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে, যার ভার গ্রহণের সামর্থ্য অর্থনীতির নেই। এতে আর্থসামাজিক ভারসাম্যও বিঘিœত হবে।
তৈরী পোশাক বাংলাদেশের রফতানি খাতের মেরুদণ্ড। এ খাতকে দ্রুত ও সরাসরি রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার হতে দেখা যায়। পোশাক খাতকে রক্ষা করতে হলে দেশের সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কটের মূল কারণটি দূর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সরকার যেভাবে দমনপীড়নের মাধ্যমে বিরোধীপক্ষের রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করার চেষ্টা করছে, তাতে সাফল্যের সম্ভাবনা যেমন থাকছে সুদূরপরাহত, তেমনিভাবে মূল সঙ্কট দূর না হলে তা বারবার দেখা দেয়ার শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। এতে একসময় দেখা যাবে, পোশাক খাতের প্রতিযোগিতাক্ষম সবল অস্তিত্ব নেই হয়ে গেছে। এর প্রভাব যে অর্থনীতিতে কতটা সর্বব্যাপী হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখনই অচল হয়ে না পড়লেও ধীরে ধীরে জীবনীশক্তি হারাবে অর্থনীতি। সে অবস্থা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলে সেই জীবনীশক্তি আর ফেরানো যাবে না। এ কারণে সময় থাকতে রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান করে অর্থনীতিকে বিপদমুক্ত করার পদক্ষেপ নিতেই হবে।
বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, পোশাক খাতের প্রতিদিনের উৎপাদন মূল্য প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা। কোনো কারণে অর্ধবেলার উৎপাদন বিঘিœত হলে তি হয় ২১৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালে পোশাক খাতের রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করতে হলে গড় প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশে রাখা দরকার। এসব বিবেচনায় দেখা যায়, গত ৫০ দিনের অবরোধে শুধু পোশাক খাতেই তি হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২১ হাজার কোটি টাকা। ২০১৩ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার তি পুষিয়ে নিয়ে বর্তমান রফতানি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা কারখানায় ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি এবং কমপ্লায়েন্সসহ সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইতোমধ্যেই একটা অবস্থান তৈরি করার সময়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পোশাক খাতকে দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অস্থিরতা-পরবর্তী ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই নতুন মজুরি বাস্তবায়ন এবং বিদেশী ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শনের বিষয়টি গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আগামী কয়েক মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি ১ অঙ্কে নেমে আসতে পারে। আর রফতানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্প কোনো কারণে অস্তিত্ব হারালে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রাম থেকে আসা ৩২ লাখ নারী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে, যার ভার গ্রহণের সামর্থ্য অর্থনীতির নেই। এতে আর্থসামাজিক ভারসাম্যও বিঘিœত হবে।
তৈরী পোশাক বাংলাদেশের রফতানি খাতের মেরুদণ্ড। এ খাতকে দ্রুত ও সরাসরি রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার হতে দেখা যায়। পোশাক খাতকে রক্ষা করতে হলে দেশের সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কটের মূল কারণটি দূর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সরকার যেভাবে দমনপীড়নের মাধ্যমে বিরোধীপক্ষের রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করার চেষ্টা করছে, তাতে সাফল্যের সম্ভাবনা যেমন থাকছে সুদূরপরাহত, তেমনিভাবে মূল সঙ্কট দূর না হলে তা বারবার দেখা দেয়ার শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। এতে একসময় দেখা যাবে, পোশাক খাতের প্রতিযোগিতাক্ষম সবল অস্তিত্ব নেই হয়ে গেছে। এর প্রভাব যে অর্থনীতিতে কতটা সর্বব্যাপী হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখনই অচল হয়ে না পড়লেও ধীরে ধীরে জীবনীশক্তি হারাবে অর্থনীতি। সে অবস্থা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলে সেই জীবনীশক্তি আর ফেরানো যাবে না। এ কারণে সময় থাকতে রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান করে অর্থনীতিকে বিপদমুক্ত করার পদক্ষেপ নিতেই হবে।
No comments