বাণিজ্যিকীকরণ ও ঠগবাজি প্রবণতায় বাড়ছে বৈষম্য by শাহ আলম খান
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দর্শনে মানবতার কল্যাণের দিকটি এবার আলোচনার বিষয়বস্তু করে তুলেছেন বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. অমর্ত্য সেন। এ আলোচনায় অর্থনীতির জটিল ও তাত্ত্বিক বিষয় পরিহার সত্ত্বেও অর্থনৈতিক প্রগতি ধরে কিভাবে মানবতার কল্যাণ করা যায় সে দিকটি তিনি সহজ ভাষায় তুলে এনেছেন তার সম্প্রতি প্রকাশিত ভারত: উন্নয়ন ও বঞ্চনা শীর্ষক একটি বইতে।
মানবিক প্রগতির চিন্তাবিদ ড. অমর্ত্য সেন এ ব্যাপারে ভারতবর্ষ ও বাংলাকে দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, অর্থনৈতিক প্রগতি ও সর্বত্র সুষম উন্নয়নের জন্য মানবিক উন্নয়নই এ সময়ের অর্থনৈতিক প্রগতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবিক উন্নয়ন বলতে মানবসম্পদ, শিক্ষা, চিকিৎসা, পারিবারিক সক্ষমতা অর্জনকে বোঝাতে চেয়েছেন। আর নাগরিকের এ মৌল অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দিতে হলে রাষ্ট্র ও সরকারকেই এ ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে ড. সেন বলতে চেয়েছেন, ভারতবর্ষ ও বাংলায় আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের মূলে রয়েছে দরিদ্র মানুষের মৌল অধিকার রক্ষায় সরকারের অপর্যাপ্ত ও লক্ষ্যভ্রষ্ট নীতি সহায়তা ও মন্থর উন্নয়ন কার্যক্রম। একইভাবে চতুর ও সুবিধাভোগী শ্রেণীর ঠগবাজি, ব্যক্তিকেন্দ্রিক ব্যবসার উত্থান এবং তা মানবিক উন্নয়নে ব্যবহার না হওয়া। বিশেষ করে শিক্ষা, চিকিৎসা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো মৌল কার্যক্রমগুলো অতিমাত্রার বাণিজ্যিক হয়ে পড়ায় তা সর্বসাধারণের কাছে দুর্লভ ও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ড. অমর্ত্য সেন অর্থনৈতিক প্রগতির সঙ্গে মানবিক প্রগতির যোগসূত্র রয়েছে এমনটি স্বীকার করে নিয়েও জোরালোভাবে বলতে চেয়েছেন, বেসরকারি খাত দিয়ে কখনও মানবিক উন্নয়ন করা যায় না। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলস্রোতে বেসরকারিখাত মুখ্য ভূমিকা রাখলেও মানবিক প্রগতির বিষয়টি কার্যত বেসরকারিখাতের নজরে অবহেলিতই থেকে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দরিদ্র মানুষের এসব অভাব পূরণে রাষ্ট্র কিংবা সরকার যদি তা উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা না রাখে কিংবা রাখলেও সেটি অপর্যাপ্তই থেকে যায়- তাহলে সমাজে বৈষম্য তৈরি করে।
তিনি তার প্রকাশিত বইতে দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এখন পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলায় যে বৈষম্য বিরাজ করছে তার মূলে মূলত এ মানবিক প্রগতি না হওয়াকেই দায়ী করেছেন।
অমর্ত্য সেন বলেন, বাণিজ্য বাড়লে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে। অর্থনৈতিক উন্নতি হলে বেসরকারি খাত সম্প্রসারিত হয়। বেসরকারি খাত বড় হলে লোকের আয় বাড়ে। এতে ওইসব লোকের দারিদ্র্য দূর হয়। যখন লোকে ধন পায় তখন সে উৎসাহিত হয়। এতে তার বিনিয়োগ প্রবণতাও বাড়ে। এর দ্বারা সরকারের রাজস্বও বাড়ে। এভাবেই অর্থনৈতিক প্রগতি ঘটে থাকে।
এখানে তিনি পূর্বসূরি বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথের তত্ত্ব তুলে ধরে বলেন, বিশেষত সেই দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রগতি বেশি হয়, যে দেশগুলো নদীমাতৃক ও সামুদ্রিক যোগাযোগ ভালো। অ্যাডাম স্মিথের এ ফর্মূলা ধরে ড. অমর্ত্য সেন উল্লেখ করেন, এ হিসেবে ভারতবর্ষ ও বাংলাও ধনী দেশের তালিকায় রয়েছে। অমর্ত্য সেন বলেন, গঙ্গা, যমুনা ও ব্রক্ষপুত্র নদী দিয়ে তখন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হতো। আর সে কারণেই ভারতবর্ষ ও বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয়েছে।
ড. সেন এখানেই মানবিক প্রগতির অভাবকে চিহ্নিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বদৌলতে ভারত অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। তবে তিনি তার বইতে স্পষ্টতই উল্লেখ করে বলেন, ১৯৪৭ সালের পর অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বৈষম্যও তৈরি হয়েছে। এ সময় কিছু সুযোগ-সন্ধানী ঠগবাজি লোকেরও আবির্ভাব ঘটেছে। এরা যোগ্যতা না থাকলেও অশিক্ষিত ও দরিদ্র লোকের কাছে নিজেকে চিকিৎসক, শিক্ষক, প্রকৌশলী, আইনজীবী এ জাতীয় পরিচয়ে দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে সুচিকিৎসা, ভালোমানের শিক্ষা কিংবা বিপদে-আপদে তাদের দারস্থ হয়ে ব্যাপক অর্থ খুইয়েছে। কিন্তু এতে প্রতিকার মিলেনি অনেকেরই। তৎপরবর্তীতে এসব চিকিৎসা, শিক্ষা ও সেবা অতিমাত্রায় বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে পড়ায় দরিদ্রদের কাছে তা আরও দুর্লভ হয়ে পড়ে। এভাবে দরিদ্র লোক আরও দরিদ্র হয়েছে। বড় লোক আরও বড় হয়েছে। ফলে ভারতবর্ষে বিস্তার বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
মানবিক প্রগতির এ চিন্তাবিদ বইতে বলেন, একদিকে উন্নয়ন হচ্ছে, অন্যদিকে এ উন্নয়ন থেকে বহু লোক বাদ পড়ছে। তিনি দাবি করেন, বলা যেতে পারে বাদ পড়ার এ হার শতকরা ৮০ শতাংশ। এর ফলে ভারতে মৃত্যুর হার বেড়েছে অনেক বেশি। কারণ ভারতের উন্নতির সঙ্গে মানবিক প্রগতি সঙ্গতিপূর্ণ হচ্ছে না। এসব কারণে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসায় বৈষম্য তৈরির পাশাপাশি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও অপহরণ প্রবণতাও বেশি দেখা যাচ্ছে। যদিও এ বৈষম্য বাংলাদেশেও আছে। তবে সেটি ভারতের তুলনায় অনেক কম। এর বাইরে মানবিক উন্নয়নে গৃহিত সরকারের নানামুখি পদক্ষেপ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে খুবই ইতিবাচক ও আশাব্যাঞ্জক। অমর্ত্য সেন বলেন, মানবিক উন্নয়নের দিকে সরকারের নজর না থাকলে বাণিজ্যিক শিক্ষা, চিকিৎসা দিয়ে গণমানুষের চাহিদা পূরণ হয় না। এ ধরনের ব্যবস্থায় ধনীরা সেবা পেলেও বঞ্চিত হয় গরিব মানুষ। কারণ বাণিজ্যিকীকরণের ফলে এসব সেবার মূল্য বাড়ে এবং সেটি সাধারণের সক্ষমতা বাইরে চলে যায়। তার মতে, এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার যতই মনোযোগী হোক না কেন, তা একটা সময় স্থির হয়ে যেতে পারে। মানবিক উন্নয়নের খাতগুলোতে উন্নয়নের দৃষ্টি রাখতে হবে। আর সেটি সরকারকেই করতে হবে। বিশেষ করে দেশের সব নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসার সহজলভ্যতা এবং নারী উন্নয়নসহ মানব উন্নয়নের সর্বদিক নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
মানবিক প্রগতির চিন্তাবিদ ড. অমর্ত্য সেন এ ব্যাপারে ভারতবর্ষ ও বাংলাকে দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, অর্থনৈতিক প্রগতি ও সর্বত্র সুষম উন্নয়নের জন্য মানবিক উন্নয়নই এ সময়ের অর্থনৈতিক প্রগতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবিক উন্নয়ন বলতে মানবসম্পদ, শিক্ষা, চিকিৎসা, পারিবারিক সক্ষমতা অর্জনকে বোঝাতে চেয়েছেন। আর নাগরিকের এ মৌল অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দিতে হলে রাষ্ট্র ও সরকারকেই এ ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে ড. সেন বলতে চেয়েছেন, ভারতবর্ষ ও বাংলায় আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের মূলে রয়েছে দরিদ্র মানুষের মৌল অধিকার রক্ষায় সরকারের অপর্যাপ্ত ও লক্ষ্যভ্রষ্ট নীতি সহায়তা ও মন্থর উন্নয়ন কার্যক্রম। একইভাবে চতুর ও সুবিধাভোগী শ্রেণীর ঠগবাজি, ব্যক্তিকেন্দ্রিক ব্যবসার উত্থান এবং তা মানবিক উন্নয়নে ব্যবহার না হওয়া। বিশেষ করে শিক্ষা, চিকিৎসা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো মৌল কার্যক্রমগুলো অতিমাত্রার বাণিজ্যিক হয়ে পড়ায় তা সর্বসাধারণের কাছে দুর্লভ ও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ড. অমর্ত্য সেন অর্থনৈতিক প্রগতির সঙ্গে মানবিক প্রগতির যোগসূত্র রয়েছে এমনটি স্বীকার করে নিয়েও জোরালোভাবে বলতে চেয়েছেন, বেসরকারি খাত দিয়ে কখনও মানবিক উন্নয়ন করা যায় না। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলস্রোতে বেসরকারিখাত মুখ্য ভূমিকা রাখলেও মানবিক প্রগতির বিষয়টি কার্যত বেসরকারিখাতের নজরে অবহেলিতই থেকে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দরিদ্র মানুষের এসব অভাব পূরণে রাষ্ট্র কিংবা সরকার যদি তা উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা না রাখে কিংবা রাখলেও সেটি অপর্যাপ্তই থেকে যায়- তাহলে সমাজে বৈষম্য তৈরি করে।
তিনি তার প্রকাশিত বইতে দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এখন পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলায় যে বৈষম্য বিরাজ করছে তার মূলে মূলত এ মানবিক প্রগতি না হওয়াকেই দায়ী করেছেন।
অমর্ত্য সেন বলেন, বাণিজ্য বাড়লে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে। অর্থনৈতিক উন্নতি হলে বেসরকারি খাত সম্প্রসারিত হয়। বেসরকারি খাত বড় হলে লোকের আয় বাড়ে। এতে ওইসব লোকের দারিদ্র্য দূর হয়। যখন লোকে ধন পায় তখন সে উৎসাহিত হয়। এতে তার বিনিয়োগ প্রবণতাও বাড়ে। এর দ্বারা সরকারের রাজস্বও বাড়ে। এভাবেই অর্থনৈতিক প্রগতি ঘটে থাকে।
এখানে তিনি পূর্বসূরি বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথের তত্ত্ব তুলে ধরে বলেন, বিশেষত সেই দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রগতি বেশি হয়, যে দেশগুলো নদীমাতৃক ও সামুদ্রিক যোগাযোগ ভালো। অ্যাডাম স্মিথের এ ফর্মূলা ধরে ড. অমর্ত্য সেন উল্লেখ করেন, এ হিসেবে ভারতবর্ষ ও বাংলাও ধনী দেশের তালিকায় রয়েছে। অমর্ত্য সেন বলেন, গঙ্গা, যমুনা ও ব্রক্ষপুত্র নদী দিয়ে তখন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হতো। আর সে কারণেই ভারতবর্ষ ও বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয়েছে।
ড. সেন এখানেই মানবিক প্রগতির অভাবকে চিহ্নিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বদৌলতে ভারত অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। তবে তিনি তার বইতে স্পষ্টতই উল্লেখ করে বলেন, ১৯৪৭ সালের পর অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বৈষম্যও তৈরি হয়েছে। এ সময় কিছু সুযোগ-সন্ধানী ঠগবাজি লোকেরও আবির্ভাব ঘটেছে। এরা যোগ্যতা না থাকলেও অশিক্ষিত ও দরিদ্র লোকের কাছে নিজেকে চিকিৎসক, শিক্ষক, প্রকৌশলী, আইনজীবী এ জাতীয় পরিচয়ে দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে সুচিকিৎসা, ভালোমানের শিক্ষা কিংবা বিপদে-আপদে তাদের দারস্থ হয়ে ব্যাপক অর্থ খুইয়েছে। কিন্তু এতে প্রতিকার মিলেনি অনেকেরই। তৎপরবর্তীতে এসব চিকিৎসা, শিক্ষা ও সেবা অতিমাত্রায় বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে পড়ায় দরিদ্রদের কাছে তা আরও দুর্লভ হয়ে পড়ে। এভাবে দরিদ্র লোক আরও দরিদ্র হয়েছে। বড় লোক আরও বড় হয়েছে। ফলে ভারতবর্ষে বিস্তার বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
মানবিক প্রগতির এ চিন্তাবিদ বইতে বলেন, একদিকে উন্নয়ন হচ্ছে, অন্যদিকে এ উন্নয়ন থেকে বহু লোক বাদ পড়ছে। তিনি দাবি করেন, বলা যেতে পারে বাদ পড়ার এ হার শতকরা ৮০ শতাংশ। এর ফলে ভারতে মৃত্যুর হার বেড়েছে অনেক বেশি। কারণ ভারতের উন্নতির সঙ্গে মানবিক প্রগতি সঙ্গতিপূর্ণ হচ্ছে না। এসব কারণে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসায় বৈষম্য তৈরির পাশাপাশি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও অপহরণ প্রবণতাও বেশি দেখা যাচ্ছে। যদিও এ বৈষম্য বাংলাদেশেও আছে। তবে সেটি ভারতের তুলনায় অনেক কম। এর বাইরে মানবিক উন্নয়নে গৃহিত সরকারের নানামুখি পদক্ষেপ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে খুবই ইতিবাচক ও আশাব্যাঞ্জক। অমর্ত্য সেন বলেন, মানবিক উন্নয়নের দিকে সরকারের নজর না থাকলে বাণিজ্যিক শিক্ষা, চিকিৎসা দিয়ে গণমানুষের চাহিদা পূরণ হয় না। এ ধরনের ব্যবস্থায় ধনীরা সেবা পেলেও বঞ্চিত হয় গরিব মানুষ। কারণ বাণিজ্যিকীকরণের ফলে এসব সেবার মূল্য বাড়ে এবং সেটি সাধারণের সক্ষমতা বাইরে চলে যায়। তার মতে, এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার যতই মনোযোগী হোক না কেন, তা একটা সময় স্থির হয়ে যেতে পারে। মানবিক উন্নয়নের খাতগুলোতে উন্নয়নের দৃষ্টি রাখতে হবে। আর সেটি সরকারকেই করতে হবে। বিশেষ করে দেশের সব নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসার সহজলভ্যতা এবং নারী উন্নয়নসহ মানব উন্নয়নের সর্বদিক নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
No comments