শীর্ষ ১০ হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তে এনবিআর by আবু কাওসার
সেবার
নামে নিখাদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে দেশের শীর্ষ ১০টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের
বিরুদ্ধে। চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানিতে সুবিধাভোগী বেশ কিছু রেফারাল
হাসপাতালের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে,
রাষ্ট্রীয় এই সুবিধা নিয়ে যারা রেফারাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন,
তাদের অনিয়ম ধরতে তদন্তে মাঠে নেমেছে এনবিআরের গোয়েন্দা দল। প্রাথমিকভাবে
এনবিআরের অধীনে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর অ্যাপোলো, ইউনাইটেড, শমরিতাসহ
দেশের শীর্ষ ১০টি বেসরকারি হাসপাতাল চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে একটি সিলেটে।
অবশিষ্টগুলো রাজধানী ঢাকায়।
অন্যহাসপাতালগুলো হলো- সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড, আদ্-দ্বীন, সুমনা, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, আলী হাসপাতাল ও ঢাকার বাইরে সিলেটে জালালাবাদ রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চিকিৎসাসেবা খাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে হাসপাতাল স্থাপন করে এর বিনিময়ে গরিব জনগণকে সুলভ মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে এনবিআরের আইনে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা, নিজস্ব ভবনে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা হয়েছে একই আইনে। দেশে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নামিদামি হাসপাতাল গড়ে তুলতে বিনা শুল্কে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে থাকে সরকার। এসব সুবিধা পাওয়ার শর্তে বেশকিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে হাসপাতালগুলোর।
সূত্র জানায়, যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে, শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে তারা কী পরিমাণ সরঞ্জাম বা উপকরণ আমদানি করেছে- এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তর থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, মংলা কাস্টম হাউস ও রাজধানীর কমলাপুর আইসিডির কমিশনারের কাছে পৃথক চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআর। চিঠি পাওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। পাশাপাশি উলি্লখিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একই নির্দেশনা দিয়ে তাদের সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, এসব তথ্য পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আমদানি করা শুল্কমুক্ত যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সঠিকভাবে ব্যবহার এবং আইন মেনে চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করা হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখবেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি বিনা শুল্কে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির সুবিধা নিয়ে হাসপাতাল স্থাপন করেছে ঠিকই; কিন্তু পরে সরকারের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করেনি। এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে গরিব জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে প্রাপ্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনেকেই বলেছেন, সব শর্ত পূরণ করেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, রেফারাল হাসপাতালগুলো সরকারের বিশেষ সুবিধা নেওয়ার পর যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে এমন অভিযোগ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সমকালকে বলেন, গরিব জনগণ যাতে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে সেজন্য শুল্ক ছাড়ের সুবিধা দিয়েছে সরকার। কিন্তু যারা ইতিমধ্যে এই সুবিধা নিয়ে হাসপাতাল স্থাপন করেছেন, অথচ সরকারের নিয়ম মানছেন না, তাদের অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধা অপব্যবহারের অভিযোগ ও শর্ত পালনে ব্যর্থতা প্রমাণিত হবে, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন তৈরি করে এনবিআরের চেয়ারমান নজিবুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করবে।
অ্যাপোলো হাসপাতালের ডা. সাগুফা আনোয়ার সমকালকে বলেন, তাদের হাসপাতালে গরিব রোগীদের জন্য ১০ শতাংশ বেড 'ফ্রি' করা হয়েছে। সরকারের দেওয়া সব শর্ত মেনেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে 'শুল্কমুক্ত' সুবিধা নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ২৪টি রেফারাল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এই সুবিধার আওতায় এক্স-রে ডায়ার মেশিন, ডিসটিল ওয়াটার প্লান্ট, অপারেশন থিয়েটার কন্ট্রোল প্যানেল, লেজার লেন্স মেশিন, মাইক্রোস্কোপসহ চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত প্রায় ৩০০ সরঞ্জাম ও যন্ত্র আমদানিতে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অনেক রেফারাল হাসপাতালের নিজস্ব ভবন ও গবেষণা কার্যক্রম নেই। চিকিৎসাসুবিধা ছাড় দেওয়া হয় না নির্ধারিত কোটায়। তদন্তে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
অন্যহাসপাতালগুলো হলো- সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড, আদ্-দ্বীন, সুমনা, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, আলী হাসপাতাল ও ঢাকার বাইরে সিলেটে জালালাবাদ রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চিকিৎসাসেবা খাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে হাসপাতাল স্থাপন করে এর বিনিময়ে গরিব জনগণকে সুলভ মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে এনবিআরের আইনে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা, নিজস্ব ভবনে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা হয়েছে একই আইনে। দেশে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নামিদামি হাসপাতাল গড়ে তুলতে বিনা শুল্কে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে থাকে সরকার। এসব সুবিধা পাওয়ার শর্তে বেশকিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে হাসপাতালগুলোর।
সূত্র জানায়, যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে, শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে তারা কী পরিমাণ সরঞ্জাম বা উপকরণ আমদানি করেছে- এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তর থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, মংলা কাস্টম হাউস ও রাজধানীর কমলাপুর আইসিডির কমিশনারের কাছে পৃথক চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআর। চিঠি পাওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। পাশাপাশি উলি্লখিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একই নির্দেশনা দিয়ে তাদের সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, এসব তথ্য পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আমদানি করা শুল্কমুক্ত যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সঠিকভাবে ব্যবহার এবং আইন মেনে চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করা হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখবেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি বিনা শুল্কে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির সুবিধা নিয়ে হাসপাতাল স্থাপন করেছে ঠিকই; কিন্তু পরে সরকারের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করেনি। এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে গরিব জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে প্রাপ্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনেকেই বলেছেন, সব শর্ত পূরণ করেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, রেফারাল হাসপাতালগুলো সরকারের বিশেষ সুবিধা নেওয়ার পর যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে এমন অভিযোগ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সমকালকে বলেন, গরিব জনগণ যাতে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে সেজন্য শুল্ক ছাড়ের সুবিধা দিয়েছে সরকার। কিন্তু যারা ইতিমধ্যে এই সুবিধা নিয়ে হাসপাতাল স্থাপন করেছেন, অথচ সরকারের নিয়ম মানছেন না, তাদের অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধা অপব্যবহারের অভিযোগ ও শর্ত পালনে ব্যর্থতা প্রমাণিত হবে, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন তৈরি করে এনবিআরের চেয়ারমান নজিবুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করবে।
অ্যাপোলো হাসপাতালের ডা. সাগুফা আনোয়ার সমকালকে বলেন, তাদের হাসপাতালে গরিব রোগীদের জন্য ১০ শতাংশ বেড 'ফ্রি' করা হয়েছে। সরকারের দেওয়া সব শর্ত মেনেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে 'শুল্কমুক্ত' সুবিধা নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ২৪টি রেফারাল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এই সুবিধার আওতায় এক্স-রে ডায়ার মেশিন, ডিসটিল ওয়াটার প্লান্ট, অপারেশন থিয়েটার কন্ট্রোল প্যানেল, লেজার লেন্স মেশিন, মাইক্রোস্কোপসহ চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত প্রায় ৩০০ সরঞ্জাম ও যন্ত্র আমদানিতে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অনেক রেফারাল হাসপাতালের নিজস্ব ভবন ও গবেষণা কার্যক্রম নেই। চিকিৎসাসুবিধা ছাড় দেওয়া হয় না নির্ধারিত কোটায়। তদন্তে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
No comments