মিশ্রধারায় অর্থনীতি by মিজান চৌধুরী
অর্থনীতিতে চলছে মিশ্রধারা। রাজনৈতিক
সহিংসতায় সরকারের টাকা খরচে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। চলতি বাজেটে ২ লাখ ৫০
হাজার ৫০৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। কিন্তু গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যয়
হয়েছে ৭৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে ৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে কমছে
রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ। কমেছে রফতানি আয়ও। পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোও
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৈদেশিক সহায়তার ছাড় বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি
অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
টানা অবরোধ-হরতালে মন্ত্রণালয়গুলো টাকা ব্যয় করতে পারছে না। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায় ঠিকমতো হচ্ছে না। রাজনৈতিক এ অস্থিতিশীলতায় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অতি সম্প্রতি অর্থনীতি গতিবিধি নিয়ে আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ধরা হয়েছে। কিন্তু এ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
জানা গেছে, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কি পরিমাণ দেশের অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে কি করণীয়, জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কমানো হবে কিনা, বাজেট বাস্তবায়ন কি হবে এসব বিষয় নিয়ে আগামী মাসের মধ্যে নতুন হিসাব-নিকাশ তৈরি করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এ পর্যন্ত অর্থনীতির যেসব খাতে ক্ষতি হয়েছে, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি তা তুলে ধরা হল :
বাজেটে ৭০ শতাংশ খরচের বাকি : চলতি অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। জুলাই থেকে ডিসেম্বর এ সময়ে অর্থ ব্যয় হয়েছে ৭৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৩০ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৭৬ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে ৫৫ কোটি টাকা কম ব্যয় হয়েছে।
কমছে ভর্তুকি ছাড় : চলতি বাজেটে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। জুলাই থেকে ডিসেম্বর এ ছয় মাসে ভর্তুকি খাতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ভর্তুকির প্রায় ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ভর্তুকি কম ব্যয়ের আরেকটি কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমেছে। যে কারণে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না।
বৈদেশিক সহায়তা প্রতিশ্রুতি ও ছাড় বাড়ছে : চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বৈদেশিক অর্থ ছাড় ও প্রতিশ্রুতি উভয়ই বেড়েছে। এ সময় অর্থ ছাড় করেছে ১৭৪ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ ১৪০ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার এবং অনুদান ৩৪ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থ ছাড় হয়েছিল ১৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ ১২৫ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার এবং অনুদান ৩০ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে দাতাদের অর্থ ছাড় বেড়েছে।
রাজস্ব আদায় কমছে : চলতি অর্থবছরের সাত মাসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে করদাতাদের কাছ থেকে ৬৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার অর্জনে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এ সাত মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬৯ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। অবশ্য গত বছর একই সময়ে রাজস্ব আদায়ে ৪ হাজার ৩৮০ কোটি ৪২ লাখ টাকার ঘাটতি ছিল। তখন ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয় ১ লাখ ২০ হাজার ৬২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বেহাল দশা : অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৩২ শতাংশ। মোট ৮৬ হাজার কোটি টাকার এডিপির মধ্যে জানুয়ারি পর্যন্ত ২৭ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ৭৩ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকার এডিপির ২২ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল।
রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি : জুলাই থেকে জানুয়ারি এ সময়ে রফতানি আয় কমেছে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৮৫৯ কোটি মার্কিন ডলার। ওই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রকৃত আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৮০ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ৭৯ কোটি ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।
রেমিটেন্স বেড়েছে : চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি এ সাত মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স আসছে ৮৭৩ কোটি মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ৮০৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছরের রেমিটেন্স বেড়েছে ৭০ কোটি ডলার।
এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সম্প্রতি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ছোট করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী সহায়তানির্ভর প্রকল্পের আকার ছোট করা হয়েছে। এতে এডিপি বাস্তবায়ন কম হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সরকারের অর্থায়ন জোগানের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে। তিনি আরও বলেন, একদিকে বিদেশী সহায়তা কমছে, অন্যদিকে কমছে রাজস্ব আদায়। এতে সরকারের বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব হবে।
টানা অবরোধ-হরতালে মন্ত্রণালয়গুলো টাকা ব্যয় করতে পারছে না। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায় ঠিকমতো হচ্ছে না। রাজনৈতিক এ অস্থিতিশীলতায় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অতি সম্প্রতি অর্থনীতি গতিবিধি নিয়ে আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ধরা হয়েছে। কিন্তু এ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
জানা গেছে, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কি পরিমাণ দেশের অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে কি করণীয়, জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কমানো হবে কিনা, বাজেট বাস্তবায়ন কি হবে এসব বিষয় নিয়ে আগামী মাসের মধ্যে নতুন হিসাব-নিকাশ তৈরি করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এ পর্যন্ত অর্থনীতির যেসব খাতে ক্ষতি হয়েছে, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি তা তুলে ধরা হল :
বাজেটে ৭০ শতাংশ খরচের বাকি : চলতি অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। জুলাই থেকে ডিসেম্বর এ সময়ে অর্থ ব্যয় হয়েছে ৭৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৩০ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৭৬ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে ৫৫ কোটি টাকা কম ব্যয় হয়েছে।
কমছে ভর্তুকি ছাড় : চলতি বাজেটে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। জুলাই থেকে ডিসেম্বর এ ছয় মাসে ভর্তুকি খাতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ভর্তুকির প্রায় ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ভর্তুকি কম ব্যয়ের আরেকটি কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমেছে। যে কারণে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না।
বৈদেশিক সহায়তা প্রতিশ্রুতি ও ছাড় বাড়ছে : চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বৈদেশিক অর্থ ছাড় ও প্রতিশ্রুতি উভয়ই বেড়েছে। এ সময় অর্থ ছাড় করেছে ১৭৪ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ ১৪০ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার এবং অনুদান ৩৪ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থ ছাড় হয়েছিল ১৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ ১২৫ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার এবং অনুদান ৩০ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে দাতাদের অর্থ ছাড় বেড়েছে।
রাজস্ব আদায় কমছে : চলতি অর্থবছরের সাত মাসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে করদাতাদের কাছ থেকে ৬৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার অর্জনে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এ সাত মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬৯ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। অবশ্য গত বছর একই সময়ে রাজস্ব আদায়ে ৪ হাজার ৩৮০ কোটি ৪২ লাখ টাকার ঘাটতি ছিল। তখন ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয় ১ লাখ ২০ হাজার ৬২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বেহাল দশা : অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৩২ শতাংশ। মোট ৮৬ হাজার কোটি টাকার এডিপির মধ্যে জানুয়ারি পর্যন্ত ২৭ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ৭৩ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকার এডিপির ২২ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল।
রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি : জুলাই থেকে জানুয়ারি এ সময়ে রফতানি আয় কমেছে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৮৫৯ কোটি মার্কিন ডলার। ওই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রকৃত আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৮০ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ৭৯ কোটি ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।
রেমিটেন্স বেড়েছে : চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি এ সাত মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স আসছে ৮৭৩ কোটি মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ৮০৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছরের রেমিটেন্স বেড়েছে ৭০ কোটি ডলার।
এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সম্প্রতি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ছোট করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী সহায়তানির্ভর প্রকল্পের আকার ছোট করা হয়েছে। এতে এডিপি বাস্তবায়ন কম হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সরকারের অর্থায়ন জোগানের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে। তিনি আরও বলেন, একদিকে বিদেশী সহায়তা কমছে, অন্যদিকে কমছে রাজস্ব আদায়। এতে সরকারের বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব হবে।
No comments