নির্বাচিত মেয়রদের সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ- জনগণ ইতিবাচকভাবে দেখবে না
সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে স্বচ্ছ অবস্থান না নেয়ায় রাজনৈতিক সঙ্কট তীব্রতর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারেও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি অস্বচ্ছ। বিশেষত নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনেও বিরোধীদলীয় ও ভিন্ন মতের অবস্থান থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে যারা মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তারাও সরকারের অসহযোগিতার কবলে পড়েছেন। নানামুখী হয়রানির মুখে তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগও প্রায় কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ীÑ আরিফুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন, এম এ মান্নানকে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরা সিলেট, রাজশাহী ও গাজীপুর থেকে বিএনপি-সমর্থিত নির্বাচিত মেয়র। ইতোমধ্যে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানের স্থলে নিয়ম ও ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্যানেল মেয়রকে।
এ ছাড়া নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার কারণে রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। খুলনার মেয়র মো: মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধেও দু’টি মামলা রয়েছে। তিনি এক মাস ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সরকারের উচ্চপর্যায়ের বরাতে প্রশাসন অবরোধ-হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মামলা দিয়ে নির্বাচিত মেয়রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। ফলে এরা আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ সুযোগে তাদের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল মেয়রের তালিকায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা।
সিলেটের মেয়র আরিফুল হককে সম্পূরক চার্জশিটের কথা বলে কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সম্প্রতি ঢাকার বারিধারার বাসা থেকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের বক্তব্য অনুযায়ী, এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে, সেগুলোর অভিযোগপত্র দেয়া হলেই তাকে মেয়রের পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে। এখন অভিযোগপত্র দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। উচ্চ আদালতের এক আদেশে আসাদুর রহমানের প্যানেল মেয়র পদ স্থগিত ছিল। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে বৈধ প্যানেল মেয়র ঘোষণা করেন। এর ফলে তার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার বাধা দূর হয়েছে। নিয়মানুযায়ী তিন প্যানেল মেয়রের প্রথমজনই ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ ক্ষেত্রেও নিয়ম নয়, সরকারের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে। ঢাকায় দলীয় মনোনয়নও ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন দাবি জানানোর পরও সরকার ঢাকায় নির্বাচন দিতে রাজি হয়নি। নানা অজুহাতে নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জাতি আগ্রহচিত্তে অপেক্ষমাণ। রাজনৈতিক সঙ্কটও ঘনীভূত অবস্থায় রয়েছে। বিরোধী দল ও ভিন্ন মতকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। এই সুযোগে মেয়র নির্বাচন এবং বিএনপি সমর্থিতদের সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জনগণ বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরকারের বোধোদয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জরুরি। নয়তো জনমত উপেক্ষার এই মন্দ নজির অনেকগুলো নতুন সঙ্কটের জন্ম দেবে।
আশা করি, সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা নিয়ে কোনো ধরনের হঠকারিতা প্রদর্শন করবে না।
এ ছাড়া নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার কারণে রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। খুলনার মেয়র মো: মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধেও দু’টি মামলা রয়েছে। তিনি এক মাস ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সরকারের উচ্চপর্যায়ের বরাতে প্রশাসন অবরোধ-হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মামলা দিয়ে নির্বাচিত মেয়রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। ফলে এরা আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ সুযোগে তাদের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল মেয়রের তালিকায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা।
সিলেটের মেয়র আরিফুল হককে সম্পূরক চার্জশিটের কথা বলে কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সম্প্রতি ঢাকার বারিধারার বাসা থেকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের বক্তব্য অনুযায়ী, এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে, সেগুলোর অভিযোগপত্র দেয়া হলেই তাকে মেয়রের পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে। এখন অভিযোগপত্র দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। উচ্চ আদালতের এক আদেশে আসাদুর রহমানের প্যানেল মেয়র পদ স্থগিত ছিল। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে বৈধ প্যানেল মেয়র ঘোষণা করেন। এর ফলে তার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার বাধা দূর হয়েছে। নিয়মানুযায়ী তিন প্যানেল মেয়রের প্রথমজনই ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ ক্ষেত্রেও নিয়ম নয়, সরকারের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে। ঢাকায় দলীয় মনোনয়নও ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন দাবি জানানোর পরও সরকার ঢাকায় নির্বাচন দিতে রাজি হয়নি। নানা অজুহাতে নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জাতি আগ্রহচিত্তে অপেক্ষমাণ। রাজনৈতিক সঙ্কটও ঘনীভূত অবস্থায় রয়েছে। বিরোধী দল ও ভিন্ন মতকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। এই সুযোগে মেয়র নির্বাচন এবং বিএনপি সমর্থিতদের সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জনগণ বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরকারের বোধোদয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জরুরি। নয়তো জনমত উপেক্ষার এই মন্দ নজির অনেকগুলো নতুন সঙ্কটের জন্ম দেবে।
আশা করি, সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা নিয়ে কোনো ধরনের হঠকারিতা প্রদর্শন করবে না।
No comments