রাজপথ দখলে নামবে বিএনপি
৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের প্রথম
বর্ষপূর্তিতে ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ করবে বিএনপি। সরকার এতে অনুমোদন না
দিলে টানা তিন দিনের হরতাল দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের নেতারা।
বিএনপি নতুন বছরের শুরু থেকেই রাজপথ দখলে রাখার জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি
দেয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মার্চ ফর
ডেমোক্রেসি স্টাইলে কর্মসূচির বিষয় নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলে
২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে। একই দিনে
বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কালো পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে
সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপনের জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজকালের মধ্যে সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসবেন। সেখানেই এ কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। ৫ জানুয়ারিকে ‘কালো দিবস’ আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। এদিন অনুষ্ঠেয় সমাবেশে কালো পতাকা হাতে ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে চায় দলটির নেতারা। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানা গেছে, ৫ জানুয়ারির আগেই রাজপথে নামা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চলছে বিএনপিতে। ২৯ বা ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র রক্ষার শোভাযাত্রা’ বা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেচি’র মতো কর্মসূচির চিন্তাভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ধরনের কর্মসূচি দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র নেতা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। খালেদা জিয়া সম্মতি দিলে ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের জনসভা থেকে এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান যুগান্তরকে বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ওইদিনটি দেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সে গণতন্ত্রকে অকার্যকর করা হয়েছে। জনগণের রায়ে নয়, তাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।
তিনি বলেন, এ দিনে অবশ্যই দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেয়া হবে। সে কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন থাকবে বলে আশা করি।
সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির কর্মসূচির ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লা বুলু, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল মিন্টু ও সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উপস্থিত নেতাদের মতের ভিত্তিতে ৫ জানুয়ারি ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করার স্থান ঠিক করা হয়। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে। সরকার ওইদিনের সমাবেশের অনুমতি না দিলে পরের দিন ৬ জানুয়ারি থেকে টানা হরতাল দেয়ার পক্ষে সবাই মত দেন। সেক্ষেত্রে টানা তিন দিনের হরতাল দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে নেয়া এসব কর্মসূচি নিয়ে আজ-কালের মধ্যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েক নেতা। সেখানেই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।
সূত্র জানায়, সরকার শেষ পর্যন্ত ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করতে অনুমতি দিলে সেখানে ব্যাপক শোডাউন করা হবে। ওই সমাবেশ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারকে শেষ আলটিমেটাম দিতে পারেন খালেদা জিয়া। আলটিমেটামের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে পরবর্তীকালে টানা কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে তাদের।
এদিকে ৫ জানুয়ারি সরকারের প্রতি অনাস্থা জানানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এমন নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। ওইদিনের কর্মসূচি সফল করতে গত সপ্তাহে মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন খালেদা জিয়া। তাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো সময় আন্দোলনের ডাক আসতে পারে। তাই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষনেতা, দল সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খালেদা জিয়া। সবশেষ ১৮ ডিসেম্বর নব্বইয়ের ছাত্রনেতাদের সক্রিয় করার লক্ষ্যে ছাত্র কনভেনশনে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া। আগামীকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার নির্দেশের পর মহানগর বিএনপির পাশাপাশি অন্য অঙ্গসংগঠনগুলো ৫ জানুয়ারি নিয়ে পৃথক প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে তারা কিছুটা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। প্রকাশ্যে কর্মসূচির ব্যাপারে গণমাধ্যম বা মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। আগেই কর্মসূচি সম্পর্কে সরকার অবহিত হয়ে গেলে তাতে বাধাসহ নেতাকর্মীদের গণহারে গেফতার করতে পারে। তাই অনেকটা গোপনে নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল যুগান্তরকে বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি অবৈধ স্বৈরাচার সরকারের উত্থান হয়েছে। ওইদিন দলের চেয়ারপারসনের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্র যায়নি। ওই নির্বাচন ছিল ইতিহাসের এক কলংকজনক নির্বাচন। ৫ জানুয়ারি ২০ দলের পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি দেয়া হবে তাতে সাধারণ মানুষ শুধু সমর্থন দেবে না তারা রাজপথে নেমে এ সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাবে বলে আশা করেন তিনি।
মহানগরের এ নেতা বলেন, ২০ দলীয় জোট নেত্রী যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তা পালনে মহানগরসহ দলের সব অঙ্গসংগঠন প্রস্তুত রয়েছে। এবার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।
বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজকালের মধ্যে সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসবেন। সেখানেই এ কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। ৫ জানুয়ারিকে ‘কালো দিবস’ আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। এদিন অনুষ্ঠেয় সমাবেশে কালো পতাকা হাতে ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে চায় দলটির নেতারা। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানা গেছে, ৫ জানুয়ারির আগেই রাজপথে নামা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চলছে বিএনপিতে। ২৯ বা ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র রক্ষার শোভাযাত্রা’ বা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেচি’র মতো কর্মসূচির চিন্তাভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ধরনের কর্মসূচি দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র নেতা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। খালেদা জিয়া সম্মতি দিলে ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের জনসভা থেকে এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান যুগান্তরকে বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ওইদিনটি দেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সে গণতন্ত্রকে অকার্যকর করা হয়েছে। জনগণের রায়ে নয়, তাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।
তিনি বলেন, এ দিনে অবশ্যই দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেয়া হবে। সে কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন থাকবে বলে আশা করি।
সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির কর্মসূচির ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লা বুলু, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল মিন্টু ও সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উপস্থিত নেতাদের মতের ভিত্তিতে ৫ জানুয়ারি ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করার স্থান ঠিক করা হয়। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে। সরকার ওইদিনের সমাবেশের অনুমতি না দিলে পরের দিন ৬ জানুয়ারি থেকে টানা হরতাল দেয়ার পক্ষে সবাই মত দেন। সেক্ষেত্রে টানা তিন দিনের হরতাল দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে নেয়া এসব কর্মসূচি নিয়ে আজ-কালের মধ্যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েক নেতা। সেখানেই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।
সূত্র জানায়, সরকার শেষ পর্যন্ত ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করতে অনুমতি দিলে সেখানে ব্যাপক শোডাউন করা হবে। ওই সমাবেশ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারকে শেষ আলটিমেটাম দিতে পারেন খালেদা জিয়া। আলটিমেটামের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে পরবর্তীকালে টানা কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে তাদের।
এদিকে ৫ জানুয়ারি সরকারের প্রতি অনাস্থা জানানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এমন নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। ওইদিনের কর্মসূচি সফল করতে গত সপ্তাহে মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন খালেদা জিয়া। তাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো সময় আন্দোলনের ডাক আসতে পারে। তাই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষনেতা, দল সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খালেদা জিয়া। সবশেষ ১৮ ডিসেম্বর নব্বইয়ের ছাত্রনেতাদের সক্রিয় করার লক্ষ্যে ছাত্র কনভেনশনে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া। আগামীকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার নির্দেশের পর মহানগর বিএনপির পাশাপাশি অন্য অঙ্গসংগঠনগুলো ৫ জানুয়ারি নিয়ে পৃথক প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে তারা কিছুটা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। প্রকাশ্যে কর্মসূচির ব্যাপারে গণমাধ্যম বা মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। আগেই কর্মসূচি সম্পর্কে সরকার অবহিত হয়ে গেলে তাতে বাধাসহ নেতাকর্মীদের গণহারে গেফতার করতে পারে। তাই অনেকটা গোপনে নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল যুগান্তরকে বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি অবৈধ স্বৈরাচার সরকারের উত্থান হয়েছে। ওইদিন দলের চেয়ারপারসনের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্র যায়নি। ওই নির্বাচন ছিল ইতিহাসের এক কলংকজনক নির্বাচন। ৫ জানুয়ারি ২০ দলের পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি দেয়া হবে তাতে সাধারণ মানুষ শুধু সমর্থন দেবে না তারা রাজপথে নেমে এ সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাবে বলে আশা করেন তিনি।
মহানগরের এ নেতা বলেন, ২০ দলীয় জোট নেত্রী যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তা পালনে মহানগরসহ দলের সব অঙ্গসংগঠন প্রস্তুত রয়েছে। এবার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।
No comments