৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে একই অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র
বিদায়ী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা তার শেষ সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট
ভাষায় বলেছেন, বাংলাদেশে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন
দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এটা সম্পূর্ণই বাংলাদেশের জনগণের কাজ। তবে ৫ জানুয়ারির
নির্বাচনের ব্যাপারে তার দেশ নির্বাচনের পরের দিন যে অবস্থান ব্যক্ত
করেছিল, এখনও ওই অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। তিনি শনিবার ঢাকায় আমেরিকান
ক্লাবে বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনের শেষ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিমত ব্যক্ত
করেন। মজিনা ২০১১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব
নেন। তারপর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচিত এই কূটনীতিককে বাংলাদেশে বর্তমান
সরকারের তরফে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরের ভূমিকার জন্য সবচেয়ে বেশি
দোষারোপ করা হয়। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই নির্বাচন যাতে না হয়
তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মার্কিন এই কূটনীতিককে কটাক্ষ করে ‘কাজের মেয়ে
মর্জিনা’ হিসেবে মন্তব্য করেন। ড্যান মজিনা অবশ্য সরকারের উচ্চ মহলের এমন
সব মন্তব্যের প্রশ্নে ‘টুঁ’ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। বরং এ সংক্রান্ত একাধিক
প্রশ্ন কাটিয়ে মজিনা বলেন, ‘গুগলে সার্চ দিয়ে দেখুন, ৫ জানুয়ারির
নির্বাচনের পরের দিন যুক্তরাষ্ট্র কী অবস্থান ব্যক্ত করেছিল। এখনও একই
অবস্থান বহাল আছে।’ উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর একাধিকবার
যুক্তরাষ্ট্র হতাশা ব্যক্ত করেছে। মজিনা অবশ্য বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী আপনার সাক্ষাৎ হচ্ছে’ এই প্রশ্নের জবাবে মজিনা
বলেন, ‘আমি জানি না।’
বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে মজিনা ছিলেন অনেকটা আবেগাপ্লুত। ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে এই মুহূর্তে বেশ টানাপোড়েন চলছে বলে কোনো কোনো মহলের মন্তব্য পুরোপুরি নাকচ করেন তিনি। মজিনা বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক এই মুহূর্তে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গভীর, বিস্তৃত ও জোরালো। কেননা দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। মার্টিন লুথার কিং বলেছেন, লক্ষ্য হল প্রাইস তার মানে হল অংশীদারিত্ব। আমার দৃষ্টিও সেই দিকেই।’
বাংলাদেশের ব্যাপারে বরাবরের মতোই উচ্চাশা ব্যক্ত করে মজিনা বলেন, ‘আমি যে বাংলাদেশকে চিনি তা মোটেও গরিব নয়, সমৃদ্ধ এক দেশ। এই দেশে আছে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদ। এই দেশ আগামীতে এশিয়ার টাইগার হবে। এই টাইগারের চার পা হল পোশাক তথা বস্ত্রশিল্প, চামড়া শিল্প, ওষুধ শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাত।’
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে আজ রোববার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের পর তিনি মূলত দীর্ঘ কূটনীতিক ক্যারিয়ার থেকে অবসরে যাচ্ছেন। তবে অবসরের পর তিনি কিছু একটা করবেন। তবে সেটা যদি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয় তবে খুশি হবেন বেশি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার দায়িত্ব পালনকালে সবচেয়ে বড় অর্জন হল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় প্রাতিষ্ঠানিকতা দিতে সমর্থ হওয়া। সবচেয়ে বড় হতাশার ব্যাপার হল মার্কিন পিসকোরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা।’ উল্লেখ্য, মজিনা পিসকোরের একজন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্ল–ম বার্নিকাট দায়িত্ব গ্রহণ করতে জানুয়ারির শেষদিকে ঢাকা আসছেন।
ড্যান মজিনা বলেন, বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রতি বছর চারবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। প্রতিবারেই তিন সপ্তাহ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন। এই সময়টায় তার দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো ওকালতি করেছেন। বাংলাদেশ মানে যে শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতা আর রানা প্লাজার দেশ নয়, সেটা জানানো তার দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেছেন।
শেষবেলায় মজিনা বাংলাদেশের শুধু প্রশংসাই করেছেন তা নয়। বরং বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব এসব সীমাবদ্ধতা এদেশের রয়েছে।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সফর করা মজিনার দায়িত্ব পালনকালের উল্লেখযোগ্য দিক। তিনি বলেছেন, ‘৬৪ জেলা সফর করে আমি খুবই উপভোগ করেছি। বিশেষ করে মানুষে উষ্ণতা অতুলনীয়। এ সময়ে সরকার আমাকে পুলিশি নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে। আমি সার্কিট হাউসে থেকেছি যদিও নিজ খরচে তবুও সরকারের সহযোগিতা ছিল।’ মজিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী কোনো বিষয়েই একমত হই না। কিন্তু একটা বিষয়ে একমত হয়েছি যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে সুন্দর পথ হল রাজশাহী থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথ, যার একদিকে হলুদ শর্ষেক্ষেত আর অন্য পাশে সবুজের বিশাল সমারোহ।’
বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জাদু আছে উল্লেখ করে মজিনা বলেন, এই ম্যাজিক দেখিয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য এনেছে। ১৯৭১ সালে প্রতি নারী যেখানে গড়ে ছয় দশমিক তিনটি সন্তান জন্ম দিতেন; আগামী বছর প্রতি নারী গড়ে দুই দশমিক একটি সন্তান জন্ম দেবে।’ কোনো দেশে স্বেচ্ছায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সত্যিই অভাবনীয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলা বিরাট সাফল্য। এখন বছরে ৫০ হাজার টন খাদ্য শ্রীলঙ্কায় রফতানি করবে বাংলাদেশ। এটা হল কৃষির এক বিপ্লব।’ শেষ সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে মজিনা গ্রামে কৃষকের সঙ্গে কথা বলছেন এমন একটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়।
তার আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৩৭৮ ফুট দীর্ঘ জাহাজ দিয়েছে নৌবাহিনীকে যার নাম ‘সমুদ্র জয়’। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও একটি বৃহৎ জাহাজ আসবে শিগগিরই। ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় দুই জাহাজই হবে যুক্তরাষ্ট্রের। তার ভাষায়, এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের জলসীমায় ডাকাতি কমিয়েছে ৭০ শতাংশ।
মজিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের বস্ত্র খাত কর্মপরিবেশ ও শ্রমমানের উন্নয়নে বর্তমানে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে এই দেশ সফল হবে। বাংলাদেশের পোশাক হবে বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ড। তার মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল পোশাক খাতের পরিবর্তন সফলভাবে সম্পন্ন করা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফর ও অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করা এবং এই চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে অংশীদারি সংলাপ ও নিরাপত্তা সংলাপ হওয়া অর্জন হিসেবে দেখেন। পাশাপাশি, টিকফা চুক্তি সই করাকেও এক অর্জন হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে মজিনা ছিলেন অনেকটা আবেগাপ্লুত। ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে এই মুহূর্তে বেশ টানাপোড়েন চলছে বলে কোনো কোনো মহলের মন্তব্য পুরোপুরি নাকচ করেন তিনি। মজিনা বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক এই মুহূর্তে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গভীর, বিস্তৃত ও জোরালো। কেননা দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। মার্টিন লুথার কিং বলেছেন, লক্ষ্য হল প্রাইস তার মানে হল অংশীদারিত্ব। আমার দৃষ্টিও সেই দিকেই।’
বাংলাদেশের ব্যাপারে বরাবরের মতোই উচ্চাশা ব্যক্ত করে মজিনা বলেন, ‘আমি যে বাংলাদেশকে চিনি তা মোটেও গরিব নয়, সমৃদ্ধ এক দেশ। এই দেশে আছে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদ। এই দেশ আগামীতে এশিয়ার টাইগার হবে। এই টাইগারের চার পা হল পোশাক তথা বস্ত্রশিল্প, চামড়া শিল্প, ওষুধ শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাত।’
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে আজ রোববার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের পর তিনি মূলত দীর্ঘ কূটনীতিক ক্যারিয়ার থেকে অবসরে যাচ্ছেন। তবে অবসরের পর তিনি কিছু একটা করবেন। তবে সেটা যদি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয় তবে খুশি হবেন বেশি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার দায়িত্ব পালনকালে সবচেয়ে বড় অর্জন হল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় প্রাতিষ্ঠানিকতা দিতে সমর্থ হওয়া। সবচেয়ে বড় হতাশার ব্যাপার হল মার্কিন পিসকোরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা।’ উল্লেখ্য, মজিনা পিসকোরের একজন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্ল–ম বার্নিকাট দায়িত্ব গ্রহণ করতে জানুয়ারির শেষদিকে ঢাকা আসছেন।
ড্যান মজিনা বলেন, বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রতি বছর চারবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। প্রতিবারেই তিন সপ্তাহ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন। এই সময়টায় তার দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো ওকালতি করেছেন। বাংলাদেশ মানে যে শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতা আর রানা প্লাজার দেশ নয়, সেটা জানানো তার দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেছেন।
শেষবেলায় মজিনা বাংলাদেশের শুধু প্রশংসাই করেছেন তা নয়। বরং বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব এসব সীমাবদ্ধতা এদেশের রয়েছে।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সফর করা মজিনার দায়িত্ব পালনকালের উল্লেখযোগ্য দিক। তিনি বলেছেন, ‘৬৪ জেলা সফর করে আমি খুবই উপভোগ করেছি। বিশেষ করে মানুষে উষ্ণতা অতুলনীয়। এ সময়ে সরকার আমাকে পুলিশি নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে। আমি সার্কিট হাউসে থেকেছি যদিও নিজ খরচে তবুও সরকারের সহযোগিতা ছিল।’ মজিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী কোনো বিষয়েই একমত হই না। কিন্তু একটা বিষয়ে একমত হয়েছি যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে সুন্দর পথ হল রাজশাহী থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথ, যার একদিকে হলুদ শর্ষেক্ষেত আর অন্য পাশে সবুজের বিশাল সমারোহ।’
বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জাদু আছে উল্লেখ করে মজিনা বলেন, এই ম্যাজিক দেখিয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য এনেছে। ১৯৭১ সালে প্রতি নারী যেখানে গড়ে ছয় দশমিক তিনটি সন্তান জন্ম দিতেন; আগামী বছর প্রতি নারী গড়ে দুই দশমিক একটি সন্তান জন্ম দেবে।’ কোনো দেশে স্বেচ্ছায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সত্যিই অভাবনীয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলা বিরাট সাফল্য। এখন বছরে ৫০ হাজার টন খাদ্য শ্রীলঙ্কায় রফতানি করবে বাংলাদেশ। এটা হল কৃষির এক বিপ্লব।’ শেষ সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে মজিনা গ্রামে কৃষকের সঙ্গে কথা বলছেন এমন একটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়।
তার আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৩৭৮ ফুট দীর্ঘ জাহাজ দিয়েছে নৌবাহিনীকে যার নাম ‘সমুদ্র জয়’। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও একটি বৃহৎ জাহাজ আসবে শিগগিরই। ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় দুই জাহাজই হবে যুক্তরাষ্ট্রের। তার ভাষায়, এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের জলসীমায় ডাকাতি কমিয়েছে ৭০ শতাংশ।
মজিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের বস্ত্র খাত কর্মপরিবেশ ও শ্রমমানের উন্নয়নে বর্তমানে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে এই দেশ সফল হবে। বাংলাদেশের পোশাক হবে বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ড। তার মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল পোশাক খাতের পরিবর্তন সফলভাবে সম্পন্ন করা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফর ও অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করা এবং এই চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে অংশীদারি সংলাপ ও নিরাপত্তা সংলাপ হওয়া অর্জন হিসেবে দেখেন। পাশাপাশি, টিকফা চুক্তি সই করাকেও এক অর্জন হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
No comments