শাহজালালে অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
(শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রামদা হাতে মোশাররফ হোসেন (লাল গোলচিহ্নিত)। ছবি: প্রথম আলো) সিলেটের
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে
ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগের কর্মীর নাম মোশাররফ
হোসেন ওরফে রাজু (২১)। তিনি কেমিকৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষ
দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের
নয়াবাজার এলাকা থেকে মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের জালালাবাদ
থানা পুলিশ। গত ২০ নভেম্বর সংঘর্ষের দিন দেশীয় অস্ত্র (রামদা) হাতে তাঁকে
অংশ নিতে দেখা গেছে। পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, জালালাবাদ
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের
নেতৃত্বে এক অভিযানে আজ সকাল ১০টার দিকে নয়াবাজার এলাকা থেকে মোশাররফ
হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘর্ষের দিন দেশীয় অস্ত্র (রামদা) নিয়ে অংশ
নেওয়া ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগের
সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তীর পক্ষে তিনি সংঘর্ষে অংশ নেন। সিলেট মহানগর
পুলিশের জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুর
রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় তোলা অস্ত্রসহ ছবি দেখে তাকে
শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোশাররফ সংঘর্ষে
জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ছাড়া ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে আরও তথ্য জানতে তাকে রিমান্ডে
নেওয়ার আবেদন (আদালতে) করা হবে।’
উপপরিদর্শক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোশাররফ ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। পরে বিকেলে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায়ের আহত হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সুমন চন্দ্র দাস নামের ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হন। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপপরিদর্শক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোশাররফ ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। পরে বিকেলে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায়ের আহত হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সুমন চন্দ্র দাস নামের ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হন। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
No comments