২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল
সরকারদলীয় সিবিএ নেতা ও প্রতিষ্ঠানের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেটের দখলে রয়েছে দেশের বৃহত্তম পাটপণ্য
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আমিন জুট মিলের প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ১৫ একর
জমি। দিনে দিনে বাড়ছে দখলের এ মাত্রা। বিজেএমসির আওতাধীন এ প্রতিষ্ঠানটির
জায়গা অবৈধভাবে দখল হওয়ার পেছনে সরকারদলীয় নেতাদের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা
রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই পাটকলের জমিতে প্রায় ৬০ হাজার ঘর তুলে ভাড়া
দেয়া হয়েছে। গড়ে উঠেছে আমিন কলোনি নামে বিশাল এক বস্তি। এতে বাস করেন প্রায়
সাড়ে তিন লাখ মানুষ। ভাড়া দেয়া ঘর থেকে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় ৬ কোটি
টাকা। সিবিএ নেতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে এ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হয়। ১১ আগস্ট
অভিযান চালিয়ে আমিন জুট মিলের অবৈধ দখলে থাকা একাংশ উদ্ধার করা হয়। ১২৭
দাগের উদ্ধারকৃত ১ দশমিক ৭৬ একর জমির মূল্য ১৬ কোটি টাকা। অভিযান চলাকালে
অবৈধ দখলে থাকা বিভিন্ন বাড়িঘর ও স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু এরপর আর কোনো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
আমিন জুট মিলের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খান কামরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান আমিন জুট মিল এলাকা পরিদর্শনে আসলে শ্রমিকরা তাদের আবাসন সমস্যার কথা তার কাছে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, মিলের অনেক জায়গা আছে। আপনারা নিজ উদ্যোগে ঘর তুলে এখানে বসবাস করতে পারেন। এত শ্রমিকের আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়া সম্ভব নয়। এরপর থেকে শ্রমিকরা ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। শ্রমিকরা চাকরি ছেড়ে চলে গেলে তাদের বানানো ঘর বহিরাগতদের কাছে বিক্রি করে (কোনো ধরনের দলিলপত্র ছাড়া) দেন। এভাবেই মিলের অনেক জায়গা বহিরাগত, সাবেক শ্রমিক বা তাদের পরিবারের কাছে বেদখল হয়ে আছে। মিলের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার প্রসঙ্গে খান কামরুল ইসলাম বলেন, মিলের কিছু জায়গার বিএস খতিয়ান নেই। জায়গাসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ও বিএস সংশোধনীর জন্য মিলের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অবৈধ দখলদার ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তবে মিল কর্তৃপক্ষ মিলের জায়গা পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট রয়েছে। মিলের জায়গা বসবাসকারীদের সবাইকে ভাড়াটিয়া চুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মিলের কিছু কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতার যোগসাজশে দখল করার বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাবেক শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ১৯৫৩ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী সড়কের পাশে প্রায় ৮০ একর জায়গার ওপর এ মিলটি প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তানি শিল্পোদ্যোক্তা আমিন উদ্দিন। শুরু থেকে এ মিলটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। ১৯৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই মালিক আমিন উদ্দিন পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওই শিল্পোদ্যোক্তা আর ফিরে না আসায় সরকার আমিন জুটমিলকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করে নবরূপে আমিন জুট মিল চালু করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর গবেষণা কেন্দ্র পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে আমিন কলোনিকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বেশি জনবসতির বস্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানকার প্রতি শতক জায়গার দাম ১২ লাখ টাকা। সে হিসাবে বেদখল হওয়া জায়গায় দাম প্রায় ২০০ কোটি টাকা। জানা যায়, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন আমিন জুট মিলের ৮০ একর জায়গা রয়েছে। এ জায়গার ১৫ একরজুড়ে গড়ে ওঠা বস্তিতে প্রায় ৬০ হাজার ঘর রয়েছে। এখানে কাঁচা ও পাকা ঘরে ৬০-৭০ হাজার পরিবার বাস করে। প্রতিটি ঘরের ভাড়া ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ১০০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হলে ৬০ হাজার ঘর থেকে মাসে ভাড়া উঠে ৬ কোটি টাকা। এ টাকা আমিন জুট মিলের সিবিএ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জুট মিলের অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে যায়। এখানে অবৈধ বসতঘর ও প্লট বানিয়ে তা বহিরাগতদের কাছে ভাড়া ও দখল স্বত্বেও বিক্রি করা হয়েছে। কলোনিবাসী জুট মিলের বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ সংযোগও নিয়েছে। গভীর নলকূপও রয়েছে এখানে। বসবাসকারীদের বেশিরভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নিু আয়ের মানুষ। জানা যায়, ১৯৭৮ সাল থেকে মূলত এই দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়। ’৯১ সালের পর দখলের এ মাত্রা আরও বেড়ে যায়। কলোনিজুড়ে রয়েছে ওয়াসা ও পিডিবির অবৈধ সংযোগ। ৩০ থেকে ৪০ হাজার পরিবার এসব অবৈধ সংযোগের আওতায় আছে। ১২৪ ও ১২৭ দাগে অবৈধ বসতিঘরগুলোতে জুট মিলের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি গভীর নলকূপও রয়েছে। মিল এলাকায় শান্তিনগরের পশ্চিম পাশে ও মোহাম্মদপুর নগরের উত্তর পাশে ৫ একর ৫৩ শতাংশ জায়গাজুড়ে একটি খেলার মাঠের চারপাশে ২৫টি প্লটে গড়ে উঠেছে ২০০ থেকে ৩০০টি অবৈধ বসতঘর। এখানকার প্রতিটি প্লট বিক্রি করা হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা থেকে ৬০ লাখ টাকায়। প্লট বেচাকেনায় লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। মাঠের উত্তর পাশে একটি কাঁচাবাজারসহ তিনটি মার্কেট স্থাপন করা হয়েছে। এসব মার্কেটের দোকানের মূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা। শ্রমিক কোয়ার্টারের উত্তর পাশে আরও ৫ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ বসতঘর। এছাড়া জুট মিলের উত্তর গেটের পাশজুড়ে নির্মিত হয়েছে কয়েকটি গ্যারেজ ও দোকানঘর। আমিন জুট মিল সিবিএ সভাপতি মহাব্বত আলী বলেন, আমাদের আগে যারা সিবিএর নেতৃত্বে ছিলেন তারাই এসব দখলসংক্রান্ত কর্মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। আবদুল খালেক নামে আমাদের সাবেক সিবিএ নেতা জুট মিলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে কারখানার বহু জায়গা বহিরাগতদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তাদের সম্পৃক্ততায় মিল এলাকার প্রায় দশ একর জায়গা বহিরাগতদের হাতে চলে গেছে।
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, আমার সময়কালে আমি কোনো জায়গা দখল বা বিক্রি করিনি। সিবিএ নেতা মহাব্বত আলী নিজেই ১২৪ নম্বর দাগে আমিন কোয়ার্টারের সামনে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছেন। এছাড়া তিনি মসজিদের জায়গা দখল, ফুটবল খেলার মাঠের পাশে ২০০-৩০০ ঘর বানিয়ে বিক্রি করেছেন। জুট মিলের উত্তর গেটে রাস্তার পাশ গ্যারেজ নির্মাণ করে সেখান থেকে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা ভাড়া আয় করছেন। আমিন জুট মিলের জায়গা বেদখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, আমিন জুট মিলের অনেক জায়গা বেদখলে রয়েছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু প্রশাসন অসহায়। রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রভাবশালীরা এসব দুষ্কর্মে রয়েছে। সিবিএ নেতৃত্বে যারাই আসেন তারাই দখল উৎসবে মেতে উঠেন।
আমিন জুট মিলের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খান কামরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান আমিন জুট মিল এলাকা পরিদর্শনে আসলে শ্রমিকরা তাদের আবাসন সমস্যার কথা তার কাছে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, মিলের অনেক জায়গা আছে। আপনারা নিজ উদ্যোগে ঘর তুলে এখানে বসবাস করতে পারেন। এত শ্রমিকের আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়া সম্ভব নয়। এরপর থেকে শ্রমিকরা ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। শ্রমিকরা চাকরি ছেড়ে চলে গেলে তাদের বানানো ঘর বহিরাগতদের কাছে বিক্রি করে (কোনো ধরনের দলিলপত্র ছাড়া) দেন। এভাবেই মিলের অনেক জায়গা বহিরাগত, সাবেক শ্রমিক বা তাদের পরিবারের কাছে বেদখল হয়ে আছে। মিলের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার প্রসঙ্গে খান কামরুল ইসলাম বলেন, মিলের কিছু জায়গার বিএস খতিয়ান নেই। জায়গাসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ও বিএস সংশোধনীর জন্য মিলের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অবৈধ দখলদার ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তবে মিল কর্তৃপক্ষ মিলের জায়গা পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট রয়েছে। মিলের জায়গা বসবাসকারীদের সবাইকে ভাড়াটিয়া চুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মিলের কিছু কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতার যোগসাজশে দখল করার বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাবেক শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ১৯৫৩ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী সড়কের পাশে প্রায় ৮০ একর জায়গার ওপর এ মিলটি প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তানি শিল্পোদ্যোক্তা আমিন উদ্দিন। শুরু থেকে এ মিলটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। ১৯৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই মালিক আমিন উদ্দিন পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওই শিল্পোদ্যোক্তা আর ফিরে না আসায় সরকার আমিন জুটমিলকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করে নবরূপে আমিন জুট মিল চালু করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর গবেষণা কেন্দ্র পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে আমিন কলোনিকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বেশি জনবসতির বস্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানকার প্রতি শতক জায়গার দাম ১২ লাখ টাকা। সে হিসাবে বেদখল হওয়া জায়গায় দাম প্রায় ২০০ কোটি টাকা। জানা যায়, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন আমিন জুট মিলের ৮০ একর জায়গা রয়েছে। এ জায়গার ১৫ একরজুড়ে গড়ে ওঠা বস্তিতে প্রায় ৬০ হাজার ঘর রয়েছে। এখানে কাঁচা ও পাকা ঘরে ৬০-৭০ হাজার পরিবার বাস করে। প্রতিটি ঘরের ভাড়া ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ১০০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হলে ৬০ হাজার ঘর থেকে মাসে ভাড়া উঠে ৬ কোটি টাকা। এ টাকা আমিন জুট মিলের সিবিএ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জুট মিলের অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে যায়। এখানে অবৈধ বসতঘর ও প্লট বানিয়ে তা বহিরাগতদের কাছে ভাড়া ও দখল স্বত্বেও বিক্রি করা হয়েছে। কলোনিবাসী জুট মিলের বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ সংযোগও নিয়েছে। গভীর নলকূপও রয়েছে এখানে। বসবাসকারীদের বেশিরভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নিু আয়ের মানুষ। জানা যায়, ১৯৭৮ সাল থেকে মূলত এই দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়। ’৯১ সালের পর দখলের এ মাত্রা আরও বেড়ে যায়। কলোনিজুড়ে রয়েছে ওয়াসা ও পিডিবির অবৈধ সংযোগ। ৩০ থেকে ৪০ হাজার পরিবার এসব অবৈধ সংযোগের আওতায় আছে। ১২৪ ও ১২৭ দাগে অবৈধ বসতিঘরগুলোতে জুট মিলের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি গভীর নলকূপও রয়েছে। মিল এলাকায় শান্তিনগরের পশ্চিম পাশে ও মোহাম্মদপুর নগরের উত্তর পাশে ৫ একর ৫৩ শতাংশ জায়গাজুড়ে একটি খেলার মাঠের চারপাশে ২৫টি প্লটে গড়ে উঠেছে ২০০ থেকে ৩০০টি অবৈধ বসতঘর। এখানকার প্রতিটি প্লট বিক্রি করা হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা থেকে ৬০ লাখ টাকায়। প্লট বেচাকেনায় লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। মাঠের উত্তর পাশে একটি কাঁচাবাজারসহ তিনটি মার্কেট স্থাপন করা হয়েছে। এসব মার্কেটের দোকানের মূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা। শ্রমিক কোয়ার্টারের উত্তর পাশে আরও ৫ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ বসতঘর। এছাড়া জুট মিলের উত্তর গেটের পাশজুড়ে নির্মিত হয়েছে কয়েকটি গ্যারেজ ও দোকানঘর। আমিন জুট মিল সিবিএ সভাপতি মহাব্বত আলী বলেন, আমাদের আগে যারা সিবিএর নেতৃত্বে ছিলেন তারাই এসব দখলসংক্রান্ত কর্মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। আবদুল খালেক নামে আমাদের সাবেক সিবিএ নেতা জুট মিলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে কারখানার বহু জায়গা বহিরাগতদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তাদের সম্পৃক্ততায় মিল এলাকার প্রায় দশ একর জায়গা বহিরাগতদের হাতে চলে গেছে।
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, আমার সময়কালে আমি কোনো জায়গা দখল বা বিক্রি করিনি। সিবিএ নেতা মহাব্বত আলী নিজেই ১২৪ নম্বর দাগে আমিন কোয়ার্টারের সামনে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছেন। এছাড়া তিনি মসজিদের জায়গা দখল, ফুটবল খেলার মাঠের পাশে ২০০-৩০০ ঘর বানিয়ে বিক্রি করেছেন। জুট মিলের উত্তর গেটে রাস্তার পাশ গ্যারেজ নির্মাণ করে সেখান থেকে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা ভাড়া আয় করছেন। আমিন জুট মিলের জায়গা বেদখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, আমিন জুট মিলের অনেক জায়গা বেদখলে রয়েছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু প্রশাসন অসহায়। রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রভাবশালীরা এসব দুষ্কর্মে রয়েছে। সিবিএ নেতৃত্বে যারাই আসেন তারাই দখল উৎসবে মেতে উঠেন।
No comments