কাকরাইল মসজিদ থেকে আটক তাবলীগের ২৪ কর্মী কারাগারে
অর্থ
আত্মসাতের অভিযোগে লিফলেট বিতরণ করায় কাকরাইল মার্কাজ মসজিদ থেকে তাবলীগ
জামাতের ২৪ কর্মীকে আটকের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কোন মামলা না থাকায়
তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মসজিদের
ভেতর থেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা ওই মসজিদ কমিটির অন্যতম সদস্য মুশফিকুর
রহমানের অনুসারী। আটককৃতদের অভিযোগ, মসজিদ কমিটির আমীর সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম
দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ, নিজেদের লোকবল নিয়োগ করে একক
আধিপত্য বজায় রেখেছেন। তবে ওয়াসিফুলের লোকজন তাদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান
করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার দুপুরে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে
রমনা থানার সামনে অবস্থান নেন তাবলীগের কিছু কর্মী। পরে পুলিশের অনুরোধে
তারা সেখান থেকে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। সূত্র জানায়,
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় কাকরাইলের তাবলীগের মার্কাজ মসজিদের মধ্যে মসজিদ
কমিটির অন্যতম সদস্য মুশফিকুর রহমানের অনুসারীরা মসজিদ কমিটির আমীর সৈয়দ
ওয়াসিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক পাতার একটি লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। ওই
লিফলেটে লেখা ছিল, ‘ওয়াসিফুলের হাত থেকে তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় মসজিদকে
রক্ষার আহ্বান। তার স্বজনপ্রীতি, নিজেদের লোক নিয়োগ করে আধিপত্য বিস্তার ও
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয় এতে। মুশফিকুরের লোকজনের লিফলেট বিতরণে বাধা
দেয় ওয়াসিফুলের অনুসারীরা। এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর
পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ওয়াসিফুলের লোকজন মুশফিকুরের অনুসারী
২৪ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ তাদের রমনা থানায় নিয়ে আসে। এ
ঘটনার প্রতিবাদে আটককৃতদের অনুসারীরা রমনা থানার সামনে এসে প্রায় ৪০ জন
কর্মী অবস্থান নেন। এসময় তাবলীগ কর্মী আরাফাত রহমান জানান, ওয়াসিফুল কয়েক
বছর ধরে তাবলীগের টাকা মেরে দিচ্ছেন। হিসাব চাইলে টালবাহানা করেন। টাকা খরচ
করছেন নিজের মতো। আমরা বরাবরের মতো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু,
আমাদের কোন কথা তিনি কর্ণপাত করতেন না। তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে
প্রচারণা উদ্যোগ হিসেবে লিফলেটগুলো বিতরণ করার সময় ওয়াসিফুলের লোকজন আমাদের
২৪ জন কর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
তাবলীগের আরেক কর্মী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র তাওহিদুল ইসলাম জানান, গত ছয় বছর ধরে তাবলীগে সময় দিচ্ছি। প্রায় তিন বছর ধরে ওয়াসিফুল সম্পর্কে অর্থ আত্মসাতের কথা শুনে আসছি। এরপর আমরা পুরানো সাথীরা একাধিকবার এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। কিন্তু, তিনি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। আরেক কর্মী মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সৈয়দ ওয়াসিফুল তাবলীগের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তার ছেলে উসামার বিরুদ্ধেও মসজিদের ভেতরে নতুন ভবন নিমার্ণকে কেন্দ্র করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
গতকাল দুপুরে কাকরাইলের মার্কাজ মসজিদে গিয়ে দেখা যায় যে, মসজিদের মধ্যে কাজ চলছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে গেটের পাশে পাহারা দিচ্ছেন। কাকরাইল মসজিদে ওয়াসিফের অনুসারী প্রিন্সিপাল ফরিদ উদ্দীন জানান, মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর। ঈমান ও আমল বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মুশফিকুরের লোকজন লিফলেট বিতরণ করে ফেতনা সৃষ্টি করতে চাইছিল। আমরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। তাদের দাবি ভিত্তিহীন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে লিফলেটসহ ২৪ জনকে আটক করে। তিনি বলেন, এর আগেও তিন বার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। আটককৃতদের ৫৪ ধারাই আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে।
তাবলীগের আরেক কর্মী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র তাওহিদুল ইসলাম জানান, গত ছয় বছর ধরে তাবলীগে সময় দিচ্ছি। প্রায় তিন বছর ধরে ওয়াসিফুল সম্পর্কে অর্থ আত্মসাতের কথা শুনে আসছি। এরপর আমরা পুরানো সাথীরা একাধিকবার এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। কিন্তু, তিনি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। আরেক কর্মী মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সৈয়দ ওয়াসিফুল তাবলীগের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তার ছেলে উসামার বিরুদ্ধেও মসজিদের ভেতরে নতুন ভবন নিমার্ণকে কেন্দ্র করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
গতকাল দুপুরে কাকরাইলের মার্কাজ মসজিদে গিয়ে দেখা যায় যে, মসজিদের মধ্যে কাজ চলছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে গেটের পাশে পাহারা দিচ্ছেন। কাকরাইল মসজিদে ওয়াসিফের অনুসারী প্রিন্সিপাল ফরিদ উদ্দীন জানান, মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর। ঈমান ও আমল বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মুশফিকুরের লোকজন লিফলেট বিতরণ করে ফেতনা সৃষ্টি করতে চাইছিল। আমরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। তাদের দাবি ভিত্তিহীন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে লিফলেটসহ ২৪ জনকে আটক করে। তিনি বলেন, এর আগেও তিন বার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। আটককৃতদের ৫৪ ধারাই আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে।
No comments