আনফ্রেন্ড করলাম, এবার ব্লক -রুবেল-হ্যাপির ফোনালাপ
প্রতারণার
অভিযোগে মামলা করে আলোচনায় আসা অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপির সঙ্গে
ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের অবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল ফেসবুক বন্ধুদের নিয়েও।
দু’জনই তাদের ফেসবুক বন্ধুদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একে অন্যের প্রতি। এ
নিয়ে ফোনেও অনেকটা বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন তারা। মানবজমিনের হাতে আসা এরকম একটি
অডিও ক্লিপে শোনা যায় রুবেল এবং হ্যাপি দীর্ঘ সময় এই একই বিষয়ে কথা বলেছেন।
একে অন্যের বন্ধুদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন বন্ধুর নাম ধরে তাকে ব্লক
করতে বলেন রুবেল। রুবেল-হ্যাপির কথোপকথনের অংশ বিশেষ এখানে তুলে ধরা হলো-
হ্যাপি: জোরে কথা বল।
রুবেল: এই যে মাকসুদুর রহমান মুকুন। ওরে তুমি এখনও আনফ্রেন্ড করো নাই
হ্যাপি: করে দিচ্ছি। করে দিচ্ছি। এখনি ব্লক করে দিচ্ছি। তুমি দ্যাখো...আরে তুমিই তো করোনি। তুমি কাকে কাকে যেন করছিলা। এই দ্যাখো... আনফ্রেন্ড করে ব্লক করে দিচ্ছি তুমি দেখ।
রুবেল: তোমার ফেসবুক আইডিটা দ্যাও তো একটু পাসওয়ার্ডটা।
হ্যাপি: তোমারটা দাও আমি সাথে সাথে দিয়ে দিচ্ছি। আমি কখনই চাইবো না। তোমারটা আমি জানবো। আমারটাও তুমি জানবা। কোন সমস্যা নেই। আমি ফেসবুকে তো কারও সাথে কথাই বলি না। তুমি পাঁচ মিনিট আমার ফেসবুকে বসলে তো অস্থির হয়ে যাবা। ‘আপু ক্যামন আছেন’- এইটা সেইটা...কতজন যে ল্যাখে। পাগল হয়ে যাবা। যদি অনলাইনে থাকি। এখন তোমার পাসওয়ার্ড বল,
আমার পাসওয়ার্ড তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি। আনফ্রেন্ড করলাম... এবার ব্লক... এবার দ্যাখো তো আচ্ছা এখন দ্যাখো। আমি তো আনফ্রেন্ড করছি। এখন দ্যাখো মিউচুয়াল পাও নাকি। এখন ব্লক করবো।
রুবেল: না না।
হ্যাপি: দেখছো...
রুবেল: কি দেখব...
হ্যাপি: দ্যাখো আনফ্রেন্ড করছি কি না? এখন তো মিউচুয়াল পাবা না। যেহেতু আনফ্রেন্ড করে দিছি। দ্যাখো.
রুবেল: না। দ্যাখা লাগবে না..
হ্যাপি: এই যে মেজাজটা। আচ্ছা, তুমি এতো ছোটলোক ক্যানো বল তো?
রুবেল: তোমার এখনও সাতজন মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে আমার সাথে...
হ্যাপি: সাতজন তো আমি দেখি না। খোদার কসম আমি সাতজন খুঁজে পাই নাই। দুই একটা মেয়ে আছে। আমি মেয়েদের কথা বলতেছি। আমি এই যে মিউচুয়াল দেখতেছি কে কে আছে। হ্যাঁ। সাতজন আছে। কে দাঁড়াও বলেতেছি। এক, দুই, তিন...ছয়জন। সাতজন না..
রুবেল: অ্যা...। কে কে একটু বল তো।
হ্যাপি: তোমার হচ্ছে ইয়ে। আমি তো চিনি না। এগুলো কারা...
রুবেল: আচ্ছা বল কে কে?
হ্যাপি: হুম...আমি চিনি না এগুলা একটাও কে।
রুবেল: আচ্ছা বলতে বলছি...
হ্যাপি: দাঁড়াও বলছি
রুবেল: আরে ধুর...(নেটওয়ার্ক সমস্যা)
হ্যাপি: আরে না না সব। আরে তোমার ওই মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দিলে ওর সব ফ্রেন্ড চলে আসছে। এখন আমি দেখতেছি যে আমার সাথে কে কে আছে। কয়টা মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। তোমার জুয়েল মনসুর আছে... জুয়েল তো আমার আগে থেকেই আছে। সিংগার জুয়েল। আর নাঈমুর রহমান আছে। আর হচ্ছে তোমার...কি জানি...আনজু মোহাম্মদ জেসি। এটা কে? আমি তো জীবনেও দেখিনি। এটা কে?
রুবেল: আমার এগুলা যার যার না... (নেটওয়ার্ক সমস্য)
হ্যাপি: ওহ..ক্যামেরাম্যান এটা।
রুবেল: যার যার নাম বলছো একটাও আমার ফ্রেন্ড নাই। ঠিক আছে।
হ্যাপি: তাহলে তো মিউচুয়াল...আমি তোমার আর মিউচুয়াল দেখতেছি না। এই যে দাঁড়াও। আমি মিউচুয়ালে গেছি। দ্যাখো...মিউচুয়ালে তুমি। সেভেন মিউচুয়াল যেটা যাদের নাম বলছি এরা। আর কেউ নেই।
রুবেল: কে কে
হ্যাপি: ওহ এখানে মিউচুয়াল ফ্রেন্ড নো রেজাল্ট। আল্লাহর কসম নো রেজাল্ট আসছে। কোন কিছু আসেনি। আর তোমার মিউচুয়াল ফ্রেন্ডের মধ্যে নীল ঐশী না কোন একটা মেয়ে ছিল। ওই মেয়ের সাথে কথা বলছিলাম...অনেক আগেই। আর আমি বলতেছি। দাঁড়াও তোমার ছবির লাইক দেখে বলতেছি। আমার সাথে সাথে কে কে আছে। কোন মেয়ে। এ হুমম... তোমার মেয়ে যারা আছে আমার সাথে কে কে আছে দাঁড়াও বলছি। নীল ঐশী আছে... সূচী চৌধুরী আছে... তারপরে.. কি গেল...কি নিশীথ তুমি না কে জানি আছে..তারপরে হচ্ছে...। ফারহানা আছে..আর ওই যে ওরা দুই বোন আছে...
রুবেল: ছেলে...
হ্যাপি: হ্যালো...
রুবেল: আরও আছে। ছেলে কে আছে (অস্পষ্ট)
হ্যাপি: বুঝিনি
রুবেল: ছেলে কে আছে (অস্পষ্ট)
হ্যাপি: আরে কে থাকবে... তোমার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দিয়ে আমি কি করব বলতো। এই ধরনের কথা শুনলে মেজাজটা গরম হয়ে যায়। তোমার ছেলে ফ্রেন্ড দিয়ে আমি কি করবো। তোমার ছেলে ফ্রেন্ডরা কি এমন হয়ে গেছে আমি শুনি। একটাও কোন ক্লাসের না। থার্ড ক্লাস সবগুলো।
রুবেল: তুই তোর ক্লাস নিয়ে থাক।
আমি কারও...আমার এমনিতেই ফ্রেন্ডলিস্ট সব ফুল।
রুবেল: ফোন রাখ
হ্যাপি: কি....এবার লাগছে না
রুবেল: তুই তোর ক্লাস নিয়ে থাক। ঠিক আছে।
হ্যাপি: সেইটা না। তোমার সাব্বির, টাব্বির ওই সমস্ত ওগুলো তো আমি একসেপ্ট করি না।
হ্যাপি: জোরে কথা বল।
রুবেল: এই যে মাকসুদুর রহমান মুকুন। ওরে তুমি এখনও আনফ্রেন্ড করো নাই
হ্যাপি: করে দিচ্ছি। করে দিচ্ছি। এখনি ব্লক করে দিচ্ছি। তুমি দ্যাখো...আরে তুমিই তো করোনি। তুমি কাকে কাকে যেন করছিলা। এই দ্যাখো... আনফ্রেন্ড করে ব্লক করে দিচ্ছি তুমি দেখ।
রুবেল: তোমার ফেসবুক আইডিটা দ্যাও তো একটু পাসওয়ার্ডটা।
হ্যাপি: তোমারটা দাও আমি সাথে সাথে দিয়ে দিচ্ছি। আমি কখনই চাইবো না। তোমারটা আমি জানবো। আমারটাও তুমি জানবা। কোন সমস্যা নেই। আমি ফেসবুকে তো কারও সাথে কথাই বলি না। তুমি পাঁচ মিনিট আমার ফেসবুকে বসলে তো অস্থির হয়ে যাবা। ‘আপু ক্যামন আছেন’- এইটা সেইটা...কতজন যে ল্যাখে। পাগল হয়ে যাবা। যদি অনলাইনে থাকি। এখন তোমার পাসওয়ার্ড বল,
আমার পাসওয়ার্ড তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি। আনফ্রেন্ড করলাম... এবার ব্লক... এবার দ্যাখো তো আচ্ছা এখন দ্যাখো। আমি তো আনফ্রেন্ড করছি। এখন দ্যাখো মিউচুয়াল পাও নাকি। এখন ব্লক করবো।
রুবেল: না না।
হ্যাপি: দেখছো...
রুবেল: কি দেখব...
হ্যাপি: দ্যাখো আনফ্রেন্ড করছি কি না? এখন তো মিউচুয়াল পাবা না। যেহেতু আনফ্রেন্ড করে দিছি। দ্যাখো.
রুবেল: না। দ্যাখা লাগবে না..
হ্যাপি: এই যে মেজাজটা। আচ্ছা, তুমি এতো ছোটলোক ক্যানো বল তো?
রুবেল: তোমার এখনও সাতজন মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে আমার সাথে...
হ্যাপি: সাতজন তো আমি দেখি না। খোদার কসম আমি সাতজন খুঁজে পাই নাই। দুই একটা মেয়ে আছে। আমি মেয়েদের কথা বলতেছি। আমি এই যে মিউচুয়াল দেখতেছি কে কে আছে। হ্যাঁ। সাতজন আছে। কে দাঁড়াও বলেতেছি। এক, দুই, তিন...ছয়জন। সাতজন না..
রুবেল: অ্যা...। কে কে একটু বল তো।
হ্যাপি: তোমার হচ্ছে ইয়ে। আমি তো চিনি না। এগুলো কারা...
রুবেল: আচ্ছা বল কে কে?
হ্যাপি: হুম...আমি চিনি না এগুলা একটাও কে।
রুবেল: আচ্ছা বলতে বলছি...
হ্যাপি: দাঁড়াও বলছি
রুবেল: আরে ধুর...(নেটওয়ার্ক সমস্যা)
হ্যাপি: আরে না না সব। আরে তোমার ওই মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দিলে ওর সব ফ্রেন্ড চলে আসছে। এখন আমি দেখতেছি যে আমার সাথে কে কে আছে। কয়টা মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। তোমার জুয়েল মনসুর আছে... জুয়েল তো আমার আগে থেকেই আছে। সিংগার জুয়েল। আর নাঈমুর রহমান আছে। আর হচ্ছে তোমার...কি জানি...আনজু মোহাম্মদ জেসি। এটা কে? আমি তো জীবনেও দেখিনি। এটা কে?
রুবেল: আমার এগুলা যার যার না... (নেটওয়ার্ক সমস্য)
হ্যাপি: ওহ..ক্যামেরাম্যান এটা।
রুবেল: যার যার নাম বলছো একটাও আমার ফ্রেন্ড নাই। ঠিক আছে।
হ্যাপি: তাহলে তো মিউচুয়াল...আমি তোমার আর মিউচুয়াল দেখতেছি না। এই যে দাঁড়াও। আমি মিউচুয়ালে গেছি। দ্যাখো...মিউচুয়ালে তুমি। সেভেন মিউচুয়াল যেটা যাদের নাম বলছি এরা। আর কেউ নেই।
রুবেল: কে কে
হ্যাপি: ওহ এখানে মিউচুয়াল ফ্রেন্ড নো রেজাল্ট। আল্লাহর কসম নো রেজাল্ট আসছে। কোন কিছু আসেনি। আর তোমার মিউচুয়াল ফ্রেন্ডের মধ্যে নীল ঐশী না কোন একটা মেয়ে ছিল। ওই মেয়ের সাথে কথা বলছিলাম...অনেক আগেই। আর আমি বলতেছি। দাঁড়াও তোমার ছবির লাইক দেখে বলতেছি। আমার সাথে সাথে কে কে আছে। কোন মেয়ে। এ হুমম... তোমার মেয়ে যারা আছে আমার সাথে কে কে আছে দাঁড়াও বলছি। নীল ঐশী আছে... সূচী চৌধুরী আছে... তারপরে.. কি গেল...কি নিশীথ তুমি না কে জানি আছে..তারপরে হচ্ছে...। ফারহানা আছে..আর ওই যে ওরা দুই বোন আছে...
রুবেল: ছেলে...
হ্যাপি: হ্যালো...
রুবেল: আরও আছে। ছেলে কে আছে (অস্পষ্ট)
হ্যাপি: বুঝিনি
রুবেল: ছেলে কে আছে (অস্পষ্ট)
হ্যাপি: আরে কে থাকবে... তোমার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দিয়ে আমি কি করব বলতো। এই ধরনের কথা শুনলে মেজাজটা গরম হয়ে যায়। তোমার ছেলে ফ্রেন্ড দিয়ে আমি কি করবো। তোমার ছেলে ফ্রেন্ডরা কি এমন হয়ে গেছে আমি শুনি। একটাও কোন ক্লাসের না। থার্ড ক্লাস সবগুলো।
রুবেল: তুই তোর ক্লাস নিয়ে থাক।
আমি কারও...আমার এমনিতেই ফ্রেন্ডলিস্ট সব ফুল।
রুবেল: ফোন রাখ
হ্যাপি: কি....এবার লাগছে না
রুবেল: তুই তোর ক্লাস নিয়ে থাক। ঠিক আছে।
হ্যাপি: সেইটা না। তোমার সাব্বির, টাব্বির ওই সমস্ত ওগুলো তো আমি একসেপ্ট করি না।
No comments