তেলে মাখা গাছপালা মারা যাওয়ার আশঙ্কা পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর
শেলা
নদীতে ট্যাংকার দুর্ঘটনায় তেলে মাখা গাছপালা ও লতাপাতা মারা যাবে বলে
আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেছেন,
তেল দূষণে সুন্দরবনের প্রাণীদের ওপর কি প্রভাব পড়ে তা বিশেষজ্ঞ ছাড়া এ
মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে বাইরে থেকে যতটা আশঙ্কা করা হচ্ছে ততটা ক্ষতি
সুন্দরবনের হবে না। গতকাল শেলা নদীতে ট্যাংকার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ দুর্ঘটনায় মালিক পক্ষকে
দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, মালিক পক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের ধীর গতির কারণেই তেল এত
দূর ছড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, তেল দুর্ঘটনায় সুন্দরবনের যে ক্ষতি হবে তা
অনস্বীকার্য। কিন্তু যতটা আশঙ্কা করা হচ্ছিল ততটা হবে না। যেসব গাছপালা ও
লতাপাতায় তেল জড়ানো রয়েছে সেগুলো মারা যাবে। দুর্ঘটনার এত দিন পরেও কোন জলজ
প্রাণী মারা গেছে বলে বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রকৃতি তার এ
ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে নিতে পারবে কিন্তু আমাদের কে এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
বিশ্বের ঐতিহ্য সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে আরও কঠোর হতে হবে। মন্ত্রী
বলেন, তেল দুর্ঘটনায় কি ক্ষতি হয়েছে এবং সুন্দরবনের ওপর দীর্ঘ স্থায়ী এর
কোন প্রভাব পড়বে কিনা তা বিশেষজ্ঞ ছাড়া বলা সম্ভব না। এ বিষয়ে আলাদা আলাদা
তদন্ত কমিটি ও বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তেল অপসারণের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে
মন্ত্রী বলেন, বাকি তেল শিগগিরই অপসারণ করা সম্ভব হবে। এতে আন্তর্জাতিক কোন
সংস্থার সহযোগিতার প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, জাতিসংঘ থেকে এ
বিষয়ে প্রস্তাব এলেও সরকার এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মংলা বন্দরে আসেন। স্পিড
বোটযোগে তিনি দুর্ঘটনাস্থলসহ চাঁদপাই রেঞ্জের দুধমুখী খাল, বাদাম তলা,
মৃগামারী, চাঁদপাই ও করমজল এলাকা ঘুরে দেখেন। বিকাল ৩টার দিকে তিনি মংলা
ত্যাগ করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব রাইসুল আলম মণ্ডল,
প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
No comments