যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা নতুন সম্পর্কের দশ জিজ্ঞাসা
১. কেন ওবামা এটা করছেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, কিউবাকে বিচ্ছিন্ন রাখার নীতি সেকেলে ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অর্জন বা দেশটির অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক উন্নয়ন ঘটেনি। ওবামা প্রশাসন মনে করে বিচ্ছিন্ন নয়, সম্পর্কযুক্ত থাকলেই মার্কিন লক্ষ্য পূরণে তা অধিক ফলপ্রসূ হবে। তাছাড়া ল্যাটিন আমেরিকায় মার্কিন প্রভাব বজায় রাখতে কিউবাকে বাইরে রাখা যাবে না। এটা যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা সম্পর্ক নয়, যুক্তরাষ্ট্র-বিশ্ব সম্পর্ক।
২. অবরোধ কি শেষ?
না, কিউবার ওপর থেকে মার্কিন অবরোধ সম্পূর্ণ উঠবে না। ওবামা তার নিজের আমলে অন্তত তা পারছেন না। কারণ এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার। ওবামা চাইলেও কংগ্রেস শিগগিরই তা করছে না।
৩. কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন হবে?
হাভানায় মার্কিন দূতাবাস খোলার অর্থ ১৯৬১ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু হওয়া। এতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে কিউবা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করত। এখন অফিসিয়ালি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে করা হবে। দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সরকারি সফর পুনরায় শুরু হবে।
৪. কিউবার নান্দনিক সৈকতগুলোতে আমেরিকানরা ঘুরতে পারবে?
আপাতত তা পারছেন না। আমেরিকানদের কিউবা ভ্রমণ নিষিদ্ধ ছিল। ২০০৯ ও ২০১১ সালে ওবামা প্রশাসন পরিবার, সাংবাদিকতা, ধর্ম ও শিক্ষার কাজে কিছু লোককে হাভানা ভ্রমণের অনুমোদন দেয়। নতুন সম্পর্কে মানুষের তালিকাটা প্রশস্ত হবে। কিন্তু পর্যটনের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।
৫. মার্কিন কালো তালিকায় কিউবার নামের কী হবে?
এটা বিবেচনাধীন রয়েছে। ওবামা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো কালো তালিকা থেকে কিউবার নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে এবং ছয়মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে। ১৯৮২ সালে কিউবাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
৬. ফেসবুক চালাতে পারবে?
কিউবায় ফেসবুক নিষিদ্ধ। সবার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমোদন নেই। নতুন সম্পর্কের ফলে দেশটির টেলিকমিউনিকেশন খাতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়বে ও হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার রফতানি হবে। কিউবানদের ইন্টারনেট ব্যবহারের আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালাবে।
৭. বাণিজ্য খাত কতটা উন্মুক্ত হবে?
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিউবার টেলিকমিউনিকেশন খাতের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পণ্য ও কৃষিদ্রব্যে সহযোগিতা করা হবে। কিউবার প্রাইভেট সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন আনতে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র।
৮. মানবাধিকার কতটা উন্নত হবে?
হোয়াইট হাউস বলছে, কিউবার মানবাধিকার পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতির পথে আসবে না। রাতারাতি স্বাধীন পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ইচ্ছাও ওবামা রাখেন না। তবে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে কথা বলে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে ওবামা উদ্বেগ জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন মনে করছে সুসম্পর্ক রাখাটাই এখনকার কাজ।
৯. ফিদেল ক্যাস্ত্রো কতটা প্রাসঙ্গিক?
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত নন। তার ভাই ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রোই নীতিনির্ধারক। রাউলই এই চুক্তির কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, কিউবাকে বিচ্ছিন্ন রাখার নীতি সেকেলে ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অর্জন বা দেশটির অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক উন্নয়ন ঘটেনি। ওবামা প্রশাসন মনে করে বিচ্ছিন্ন নয়, সম্পর্কযুক্ত থাকলেই মার্কিন লক্ষ্য পূরণে তা অধিক ফলপ্রসূ হবে। তাছাড়া ল্যাটিন আমেরিকায় মার্কিন প্রভাব বজায় রাখতে কিউবাকে বাইরে রাখা যাবে না। এটা যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা সম্পর্ক নয়, যুক্তরাষ্ট্র-বিশ্ব সম্পর্ক।
২. অবরোধ কি শেষ?
না, কিউবার ওপর থেকে মার্কিন অবরোধ সম্পূর্ণ উঠবে না। ওবামা তার নিজের আমলে অন্তত তা পারছেন না। কারণ এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার। ওবামা চাইলেও কংগ্রেস শিগগিরই তা করছে না।
৩. কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন হবে?
হাভানায় মার্কিন দূতাবাস খোলার অর্থ ১৯৬১ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু হওয়া। এতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে কিউবা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করত। এখন অফিসিয়ালি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে করা হবে। দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সরকারি সফর পুনরায় শুরু হবে।
৪. কিউবার নান্দনিক সৈকতগুলোতে আমেরিকানরা ঘুরতে পারবে?
আপাতত তা পারছেন না। আমেরিকানদের কিউবা ভ্রমণ নিষিদ্ধ ছিল। ২০০৯ ও ২০১১ সালে ওবামা প্রশাসন পরিবার, সাংবাদিকতা, ধর্ম ও শিক্ষার কাজে কিছু লোককে হাভানা ভ্রমণের অনুমোদন দেয়। নতুন সম্পর্কে মানুষের তালিকাটা প্রশস্ত হবে। কিন্তু পর্যটনের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।
৫. মার্কিন কালো তালিকায় কিউবার নামের কী হবে?
এটা বিবেচনাধীন রয়েছে। ওবামা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো কালো তালিকা থেকে কিউবার নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে এবং ছয়মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে। ১৯৮২ সালে কিউবাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
৬. ফেসবুক চালাতে পারবে?
কিউবায় ফেসবুক নিষিদ্ধ। সবার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমোদন নেই। নতুন সম্পর্কের ফলে দেশটির টেলিকমিউনিকেশন খাতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়বে ও হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার রফতানি হবে। কিউবানদের ইন্টারনেট ব্যবহারের আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালাবে।
৭. বাণিজ্য খাত কতটা উন্মুক্ত হবে?
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিউবার টেলিকমিউনিকেশন খাতের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পণ্য ও কৃষিদ্রব্যে সহযোগিতা করা হবে। কিউবার প্রাইভেট সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন আনতে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র।
৮. মানবাধিকার কতটা উন্নত হবে?
হোয়াইট হাউস বলছে, কিউবার মানবাধিকার পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতির পথে আসবে না। রাতারাতি স্বাধীন পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ইচ্ছাও ওবামা রাখেন না। তবে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে কথা বলে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে ওবামা উদ্বেগ জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন মনে করছে সুসম্পর্ক রাখাটাই এখনকার কাজ।
৯. ফিদেল ক্যাস্ত্রো কতটা প্রাসঙ্গিক?
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত নন। তার ভাই ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রোই নীতিনির্ধারক। রাউলই এই চুক্তির কর্তৃপক্ষ।
No comments