ফিলিস্তিনের প্রস্তাবে সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
’ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য কয়েকটি শর্ত দিয়ে ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘে যে প্রস্তাব তুলেছে, তাতে সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশটির একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সুস্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রস্তাবটিতে আগামী ১২ মাসের মধ্যে শান্তি আলোচনা শেষ করা এবং ২০১৭ সালের মধ্যে দখলকৃত ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। খবর আল-জাজিরা, বিবিসির। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জেন সাকি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে কী লেখা আছে, তা দেখেছে ওয়াশিংটন। সেখানে এমন কিছু নেই, যা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করতে পারে। আমরা এ বিষয়ে আরও আলোচনা করার জন্য আহ্বান জানাই। ফিলিস্তিনের পক্ষে জর্ডান গত বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব তোলে। প্রস্তাবটিতে আগামী ১২ মাসের মধ্যে শান্তি আলোচনা শেষ করার কথা বলা আছে। পাশাপাশি ২০১৭ সালের মধ্যেই ইসরায়েলকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডগুলো থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এমন কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করব না, যেটি আলোচনা থেকে পাওয়া ফলাফলের আগাম মূল্যায়ন করবে এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দেবে।’
যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের একটি হওয়ায় পরিষদে উত্থাপিত যেকোনো প্রস্তাব ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে আটকে দিতে পারে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ের পরই প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠানের পথে হাঁটতে চায় ফিলিস্তিনিরা। নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে দেওয়া জর্ডানের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর বিষয়টি হতে হবে কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। এর মধ্যে থাকবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগের সীমানা, নিরাপত্তা সমঝোতা এবং ‘উভয় পক্ষের বৈধ আকাঙ্ক্ষা পূরণে’জেরুজালেমের দুই রাষ্ট্রের অংশীদারমূলক রাজধানী হওয়া। এতে আরও বলা হয়েছে, উভয় পক্ষকে বসতি সম্প্রসারণসহ সব ধরনের একতরফা ও অবৈধ পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রস্তাবটি আটকে দিতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গলবার ইতালির রোমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর দেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানান।
No comments