পাঁচ বছর পর পিলখানায় প্রধানমন্ত্রী
(‘বিজিবি
দিবস ২০১৪’ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবিটি আজ পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তর থেকে তোলা।
ছবি: ফোকাস বাংলা) পাঁচ
বছর পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় গেলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিজিবি দিবস উপলক্ষে নেওয়া নানা
কর্মসূচিতেও অংশ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের
সুষ্ঠু বিচার হয়েছে। একই সঙ্গে বিজিবির সুনাম ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত
হয়েছে। বিজিবির দরবার হলে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেন, ‘শৃঙ্খলাবোধ, মানবিকতা, জ্যেষ্ঠতার সম্মান এবং সর্বোপরি পারস্পরিক
সহানুভূতিশীলতাই এ বাহিনীর সদস্যদের বন্ধনকে আরও দৃঢ়তর করবে। বিজিবি
সদস্যদের আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা এখন প্রশ্নাতীত। পুনর্গঠিত বাহিনী হিসেবে
বিজিবি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে
পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধই কেবল এ বাহিনীকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।’
এর আগে সকাল নয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁকে স্বাগত জানান। পরে বিজিবি সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিজিবি সদস্যদের মধ্যে ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক, ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক, ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সেবা পদক, ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড সেবা পদক প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেশপ্রেম ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন, বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিজিবির সদস্যদের ওপর দেশের সীমান্ত রক্ষায় মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। সীমান্তে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপনারা অনেক বেশি সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। চোরাচালান, মাদক পাচার, নারী-শিশু পাচার এবং সীমান্ত অপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রত্যাশা থাকবে আগামীতে এ সাফল্য আরও বৃদ্ধি পাবে।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় বিজিবির ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা আপনারা কঠোরভাবে প্রতিহত করেছেন।’ এ সময় নির্বাচনকালীন সংহিসতায় নিহত বিজিবি সদস্যদের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ জানুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডকে এ বাহিনীর ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে সময় কতিপয় বিপথগামী ও উচ্ছৃঙ্খল বিডিআর সদস্য তথাকথিত বিদ্রোহের নামে বিশৃঙ্খলা ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। আমরা ৫৭ জন অফিসারসহ ৭৪টি মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতায় ওই অবস্থা কাটিয়ে উঠেছি, বিচার সম্পন্ন করেছি। চক্রান্তকারীদের সব অপতৎপরতা আমরা ধৈর্য ও সর্তকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি, যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।’
বিজিবি পুনর্গঠনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পিলখানার মর্মান্তিক ঘটনার পর আমরা এ বাহিনীর শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ পাস করেছি। এ জন্য ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’ তিনি বলেন, বিজিবির নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী চারটি রিজিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন করে কমান্ড বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে এ বাহিনীকে গতিশীল ও বেগবান করা হয়েছে। বিজিবির গোয়েন্দা সংস্থাকে শক্তিশালী করতে বর্ডার গার্ড সিকিউরিটি ব্যুরো স্থাপন করা হয়েছে। চারটি নতুন সেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। অনুমোদিত নতুন ১৫টি ব্যাটালিয়নের মধ্যে ১০টি স্থাপন করা হয়েছে।
এই পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। পিলখানা থেকে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন ইউনিটেও, যার অবসান ঘটে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে সকাল নয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁকে স্বাগত জানান। পরে বিজিবি সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিজিবি সদস্যদের মধ্যে ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক, ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক, ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সেবা পদক, ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড সেবা পদক প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেশপ্রেম ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন, বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিজিবির সদস্যদের ওপর দেশের সীমান্ত রক্ষায় মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। সীমান্তে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপনারা অনেক বেশি সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। চোরাচালান, মাদক পাচার, নারী-শিশু পাচার এবং সীমান্ত অপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রত্যাশা থাকবে আগামীতে এ সাফল্য আরও বৃদ্ধি পাবে।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় বিজিবির ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা আপনারা কঠোরভাবে প্রতিহত করেছেন।’ এ সময় নির্বাচনকালীন সংহিসতায় নিহত বিজিবি সদস্যদের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ জানুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডকে এ বাহিনীর ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে সময় কতিপয় বিপথগামী ও উচ্ছৃঙ্খল বিডিআর সদস্য তথাকথিত বিদ্রোহের নামে বিশৃঙ্খলা ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। আমরা ৫৭ জন অফিসারসহ ৭৪টি মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতায় ওই অবস্থা কাটিয়ে উঠেছি, বিচার সম্পন্ন করেছি। চক্রান্তকারীদের সব অপতৎপরতা আমরা ধৈর্য ও সর্তকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি, যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।’
বিজিবি পুনর্গঠনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পিলখানার মর্মান্তিক ঘটনার পর আমরা এ বাহিনীর শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ পাস করেছি। এ জন্য ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’ তিনি বলেন, বিজিবির নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী চারটি রিজিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন করে কমান্ড বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে এ বাহিনীকে গতিশীল ও বেগবান করা হয়েছে। বিজিবির গোয়েন্দা সংস্থাকে শক্তিশালী করতে বর্ডার গার্ড সিকিউরিটি ব্যুরো স্থাপন করা হয়েছে। চারটি নতুন সেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। অনুমোদিত নতুন ১৫টি ব্যাটালিয়নের মধ্যে ১০টি স্থাপন করা হয়েছে।
এই পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। পিলখানা থেকে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন ইউনিটেও, যার অবসান ঘটে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
No comments