পাকিস্তানে ৮৫ জনের ফাঁসি চূড়ান্ত
পাকিস্তানে আরও ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড
কার্যকরের জন্য জেল প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার এই নির্দেশ
দেয়া হয়েছে। এই ২২ জনকেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে
মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করার পর থেকে এ
নিয়ে ৮৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। তাদের
প্রাণভিক্ষাও নাকচ করা হয়েছে। ফলে, শুক্রবার রাতেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর হওয়ার কথা। খবর পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহেল শরিফ কট্টর ৬ সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ডে সই করেছেন। ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে জঙ্গি হামলায় ১৪১ জন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে প্রাণদণ্ড স্থগিত রাখার বিষয়টি তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তারপরই সই করা হল এ দণ্ডাদেশ। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক আদালত এ ৬ ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অবশ্য বিবৃতিতে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ এবং সেনা সদর দফতরের হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এ ৬ ব্যক্তি। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে শুক্রবার রাত ৩টায় এ ৬ ব্যক্তির প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের এরই মধ্যে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর একটি টিম কারাগারটিও পরির্দশন করেছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন বৃহস্পতিবার ১৭ জনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করায় ওই ১৭ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ১০ জন পাঞ্জাবের, ছয়জন সিন্ধু এবং একজন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাসিন্দা। প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় শিগগিরই তাদের দণ্ড কার্যকর করা হবে। এছাড়া এরই মধ্যে প্রায় ৪০০ প্রাণভিক্ষার আবেদন খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন উপ-সচিব (আইন)। সোমবারের মধ্যে এ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওদিকে খাইবার পাকতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের আত্মীয়রা তাদের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছেন। প্রাণদণ্ডের কার্যকর করার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর তারা দেখা করতে শুরু করেন। এ প্রদেশের বিভিন্ন কারাগারে প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ৩০০ ব্যক্তি রয়েছে।
দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রদেশের কারাগারগুলোর ফাঁসিকাষ্ঠ মেরামত শুরু হয়েছে। পেশোয়ারের কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। পাকিস্তানে বিমান, স্থল ও ড্রোন হামলায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় দু’দিনে ৬৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবারই মারা গেছে ৪০ জঙ্গি।
পেশোয়ারের একটি স্কুলে ১৩২ শিশুসহ ১৪১ জনকে হত্যার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার খাইবার এজেন্সি অঞ্চলে বিমান ও স্থল হামলা চালানো হয়। এতে বৃহস্পতিবার স্থল অভিযানে ১০ জঙ্গি এবং বিমান হামলায় ১৭ জঙ্গি মারা যায়।
এরপর শুক্রবারের অতর্কিত অভিযানে মারা যায় আরও ৩২ জঙ্গি। তারা খাইবার থেকে আফগানিস্তান পালিয়ে যাচ্ছিল। অভিযানে তিন নিরাপত্তাকর্মীও আহত হয়েছেন। জঙ্গিরা তাদের সহযোগীদের লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। পাকিস্তানে যে দুটি অঞ্চলে সামরিক বাহিনী জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে তার একটি খাইবার এবং অন্যটি উত্তর ওয়াজিরিস্তান। এদিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তের জিরোলাইনে ড্রোন হামলায় অন্তত ৮ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। শুক্রবার এ হামলা চালানো হয়। হামলাস্থলটি আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশের নাঝিয়ান প্রদেশে অবস্থিত। এটি পাকিস্তানের তালেবান অধ্যুষিত খাইবার সীমান্তে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নাঝিয়ান জেলার কোর্ট গ্রামে তালেবানদের একটি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। এদিকে পেশায়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে জঙ্গি হামলার ঘটনায় এক নারীসহ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার পাঞ্জাবের ভাওয়াল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। খবর ডনের।
সন্দেহভাজন এই চারজনকে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। তাদের সিমকার্ড ওই হামলার সময় ব্যবহার করা হয়েছিল বলে নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে। সিমকার্ডটি একজন নারীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা। তাকেও আটক করা হয়েছে। ওই সিমবিক্রেতা স্থানীয় একজন ডিলারকেও জিজ্হাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল নাসির দুরানি জানিয়েছেন, প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তার দল তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহেল শরিফ কট্টর ৬ সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ডে সই করেছেন। ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে জঙ্গি হামলায় ১৪১ জন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে প্রাণদণ্ড স্থগিত রাখার বিষয়টি তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তারপরই সই করা হল এ দণ্ডাদেশ। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক আদালত এ ৬ ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অবশ্য বিবৃতিতে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ এবং সেনা সদর দফতরের হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এ ৬ ব্যক্তি। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে শুক্রবার রাত ৩টায় এ ৬ ব্যক্তির প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের এরই মধ্যে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর একটি টিম কারাগারটিও পরির্দশন করেছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন বৃহস্পতিবার ১৭ জনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করায় ওই ১৭ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ১০ জন পাঞ্জাবের, ছয়জন সিন্ধু এবং একজন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাসিন্দা। প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় শিগগিরই তাদের দণ্ড কার্যকর করা হবে। এছাড়া এরই মধ্যে প্রায় ৪০০ প্রাণভিক্ষার আবেদন খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন উপ-সচিব (আইন)। সোমবারের মধ্যে এ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওদিকে খাইবার পাকতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের আত্মীয়রা তাদের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছেন। প্রাণদণ্ডের কার্যকর করার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর তারা দেখা করতে শুরু করেন। এ প্রদেশের বিভিন্ন কারাগারে প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ৩০০ ব্যক্তি রয়েছে।
দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রদেশের কারাগারগুলোর ফাঁসিকাষ্ঠ মেরামত শুরু হয়েছে। পেশোয়ারের কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। পাকিস্তানে বিমান, স্থল ও ড্রোন হামলায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় দু’দিনে ৬৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবারই মারা গেছে ৪০ জঙ্গি।
পেশোয়ারের একটি স্কুলে ১৩২ শিশুসহ ১৪১ জনকে হত্যার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার খাইবার এজেন্সি অঞ্চলে বিমান ও স্থল হামলা চালানো হয়। এতে বৃহস্পতিবার স্থল অভিযানে ১০ জঙ্গি এবং বিমান হামলায় ১৭ জঙ্গি মারা যায়।
এরপর শুক্রবারের অতর্কিত অভিযানে মারা যায় আরও ৩২ জঙ্গি। তারা খাইবার থেকে আফগানিস্তান পালিয়ে যাচ্ছিল। অভিযানে তিন নিরাপত্তাকর্মীও আহত হয়েছেন। জঙ্গিরা তাদের সহযোগীদের লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। পাকিস্তানে যে দুটি অঞ্চলে সামরিক বাহিনী জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে তার একটি খাইবার এবং অন্যটি উত্তর ওয়াজিরিস্তান। এদিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তের জিরোলাইনে ড্রোন হামলায় অন্তত ৮ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। শুক্রবার এ হামলা চালানো হয়। হামলাস্থলটি আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশের নাঝিয়ান প্রদেশে অবস্থিত। এটি পাকিস্তানের তালেবান অধ্যুষিত খাইবার সীমান্তে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নাঝিয়ান জেলার কোর্ট গ্রামে তালেবানদের একটি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। এদিকে পেশায়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে জঙ্গি হামলার ঘটনায় এক নারীসহ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার পাঞ্জাবের ভাওয়াল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। খবর ডনের।
সন্দেহভাজন এই চারজনকে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। তাদের সিমকার্ড ওই হামলার সময় ব্যবহার করা হয়েছিল বলে নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে। সিমকার্ডটি একজন নারীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা। তাকেও আটক করা হয়েছে। ওই সিমবিক্রেতা স্থানীয় একজন ডিলারকেও জিজ্হাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল নাসির দুরানি জানিয়েছেন, প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তার দল তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
No comments