যেভাবে সুসম্পর্কের পথে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা
১৭ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণাটা ছিল যেমন নাটকীয়, তেমনি আকস্মিক। বস্তুত, গত ১৮ মাস ধরে অতি গোপনীয়তায় পরিচালিত আলোচনার ফল এই ঘোষণা। হোয়াইট হাউসের দেওয়া ও মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের প্রক্রিয়ার একটি কালপঞ্জি তুলে ধরা হলো:
এপ্রিল ২০০৯: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলোর এক বৈঠকে বারাক ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
ডিসেম্বর ২০০৯: মার্কিন ব্যবসায়ী অ্যালান গ্রস গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কিউবায় গ্রেফতার। তাঁর মুক্তি ওবামা প্রশাসনের জন্য অগ্রাধিকার হয়ে ওঠে।
জানুয়ারি ২০১৩: কিউবানদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর সরকারি কড়াকড়ি প্রত্যাহার।
জানুয়ারি ২০১৩: দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ নেন।
জুন-ডিসেম্বর ২০১৩: ওবামার দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টা গোপনে কিউবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুখোমুখি বৈঠকের প্রস্তাব দেন। কানাডায় কয়েক দফা গোপন আলোচনা চলে। মার্কিনদের একটি প্রধান শর্ত ছিল অ্যালান গ্রসের মুক্তি। অন্যদিকে কিউবা দাবি করে, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বন্দী পাঁচ কিউবান নাগরিকের মুক্তি। এদের দুজন বিভিন্ন সময় মুক্তি পাওয়ার পর বাকি তিনজনের মুক্তি চায় কিউবা। জবাবে মার্কিন পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কিউবায় আটক সে দেশের একজন নাগরিকের মুক্তির মাধ্যমে বন্দী বিনিময়ের প্রস্তাব রাখে।
ডিসেম্বর ১৯১৩: নেলসন ম্যান্ডেলার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে করমর্দন ও কুশল বিনিময় করেন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো।
মার্চ ২০১৪: ভ্যাটিকান সফরে গিয়ে ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে পোপকে ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান। সম্মতি জানান পোপ।
জানুয়ারি-জুন ২০১৪: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ২০১৪ সালের গোড়ার দিকে প্রথমবারের মতো এ প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হন।
জুন-জুলাই ২০১৪: আলোচনায় সহায়তার জন্য ওবামার দূত পোপ ফ্রান্সিস ও তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পোপ ফ্রান্সিস কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা জানান।
অক্টোবর ২০১৪: পোপ ফ্রান্সিস সম্পর্ক উন্নয়নের এমন সুযোগ নষ্ট না করতে রাউল কাস্ত্রোকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেন। কাস্ত্রোর ইতিবাচক জবাবের পর ভ্যাটিকানের উদ্যোগে রোমে কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের গোপন বৈঠক বসে। এতে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার শর্তগুলো চূড়ান্ত হয়।
নভেম্বর (৬) ২০১৪: শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ওবামা পর্যালোচনার পর চুক্তির পক্ষে মত দেন।
নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৪: সব প্রশ্নে মতৈক্যের পর কানাডায় দুই পক্ষের একাধিক বৈঠক হয়। স্থির হয় বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া। গত বুধবার প্রায় একই সময় কিউবান বন্দীরা ফিরে যায়; যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিরে আসেন অ্যালেন গ্রস।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪: ওবামা নিজে রাউল কাস্ত্রোকে ফোন করে ঘণ্টা খানেক কথা বলেন এবং উভয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় নির্ধারণ করেন।
এপ্রিল ২০০৯: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলোর এক বৈঠকে বারাক ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
ডিসেম্বর ২০০৯: মার্কিন ব্যবসায়ী অ্যালান গ্রস গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কিউবায় গ্রেফতার। তাঁর মুক্তি ওবামা প্রশাসনের জন্য অগ্রাধিকার হয়ে ওঠে।
জানুয়ারি ২০১৩: কিউবানদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর সরকারি কড়াকড়ি প্রত্যাহার।
জানুয়ারি ২০১৩: দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ নেন।
জুন-ডিসেম্বর ২০১৩: ওবামার দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টা গোপনে কিউবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুখোমুখি বৈঠকের প্রস্তাব দেন। কানাডায় কয়েক দফা গোপন আলোচনা চলে। মার্কিনদের একটি প্রধান শর্ত ছিল অ্যালান গ্রসের মুক্তি। অন্যদিকে কিউবা দাবি করে, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বন্দী পাঁচ কিউবান নাগরিকের মুক্তি। এদের দুজন বিভিন্ন সময় মুক্তি পাওয়ার পর বাকি তিনজনের মুক্তি চায় কিউবা। জবাবে মার্কিন পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কিউবায় আটক সে দেশের একজন নাগরিকের মুক্তির মাধ্যমে বন্দী বিনিময়ের প্রস্তাব রাখে।
ডিসেম্বর ১৯১৩: নেলসন ম্যান্ডেলার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে করমর্দন ও কুশল বিনিময় করেন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো।
মার্চ ২০১৪: ভ্যাটিকান সফরে গিয়ে ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে পোপকে ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান। সম্মতি জানান পোপ।
জানুয়ারি-জুন ২০১৪: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ২০১৪ সালের গোড়ার দিকে প্রথমবারের মতো এ প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হন।
জুন-জুলাই ২০১৪: আলোচনায় সহায়তার জন্য ওবামার দূত পোপ ফ্রান্সিস ও তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পোপ ফ্রান্সিস কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা জানান।
অক্টোবর ২০১৪: পোপ ফ্রান্সিস সম্পর্ক উন্নয়নের এমন সুযোগ নষ্ট না করতে রাউল কাস্ত্রোকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেন। কাস্ত্রোর ইতিবাচক জবাবের পর ভ্যাটিকানের উদ্যোগে রোমে কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের গোপন বৈঠক বসে। এতে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার শর্তগুলো চূড়ান্ত হয়।
নভেম্বর (৬) ২০১৪: শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ওবামা পর্যালোচনার পর চুক্তির পক্ষে মত দেন।
নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৪: সব প্রশ্নে মতৈক্যের পর কানাডায় দুই পক্ষের একাধিক বৈঠক হয়। স্থির হয় বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া। গত বুধবার প্রায় একই সময় কিউবান বন্দীরা ফিরে যায়; যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিরে আসেন অ্যালেন গ্রস।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪: ওবামা নিজে রাউল কাস্ত্রোকে ফোন করে ঘণ্টা খানেক কথা বলেন এবং উভয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় নির্ধারণ করেন।
No comments