কী হচ্ছে অনুপ চেটিয়ার?এ সপ্তাহেই ভারত ফেরার খবর, ঢাকা নীরব by মেহেদী হাসান ও ওমর ফারুক
বাংলাদেশের কারাগারে আটক ভারতের
বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) নেতা অনুপ
চেটিয়াকে ফিরিয়ে দেওয়া ইস্যুতে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল।
ভারতের
সংবাদমাধ্যমে কয়েক দিন ধরেই নয়াদিলি্লর সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে খবর প্রকাশিত
হচ্ছে যে ১৮ জুলাইয়ের আগেই অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর করবে বাংলাদেশ। তবে এ
ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, অনুপ চেটিয়াকে ফিরে পেতে ভারত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদনও অনুপ চেটিয়া প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে তাঁর নাগরিকত্বও নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এর পরও বাংলাদেশ তাঁকে মুক্তি না দেওয়ায় ভারত অনেকটাই হতাশ।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, অনুপ চেটিয়াকে ফেরত পাঠানো নিয়ে আসলে কী হচ্ছে, তা তাদের জানা নেই। তবে এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। এ ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতের প্রতিফলন ঘটবে। তবে সরকারের শেষ সময়ে বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরের মতো সিদ্ধান্তের প্রভাব কী হতে পারে তার বিশ্লেষণও নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্টরা করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অনুপ চেটিয়া ইস্যুতে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে কী ঘটতে যাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে এখন আর অন্য কোনো ভারতীয় বন্দির পার্থক্য নেই। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে যেকোনো দিন তাঁকে মুক্তি দিতে পারে। তবে দিলি্লতে আসন্ন স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের (১৯ থেকে ২২ জুলাই) আগে তাঁকে হস্তান্তরের যে খবর ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, তা আমাদের নজরে এসেছে। তবে ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অনুপ চেটিয়া ইস্যু নেই। এমনকি বৈঠকের প্রস্তুতি সভায়ও বিষয়টি ওঠেনি।'
জানা গেছে, অনুপ চেটিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সরকারি কোনো আদেশ গতকাল শনিবার পর্যন্ত কারাগারে পেঁৗছেনি। কারা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অনুপ চেটিয়া গুরুত্বপূর্ণ বন্দি। তাঁকে মুক্তির বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আদেশ আসেনি।'
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসেনি। সরকারের অনুমতি ছাড়া তাঁর সঙ্গে কারো দেখা করার সুযোগও নেই।'
অনুপ চেটিয়াকে বর্তমানে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে রাখা হয়েছে। তাঁর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই কারাগারের জেলার দিদারুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তাঁকে যে সেলে রাখা হয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত নজরদারি রয়েছে।' এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার আদাবর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং অবৈধ মুদ্রা ও স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে এসব অপরাধের জন্য সাত বছরের শাস্তিও দেন আদালত। ২০০৪ সালে শাস্তির মেয়াদ শেষ হলে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। তিনি কারাগারেই বন্দি থাকেন। দীর্ঘদিন থেকে ভারত সরকার তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।
এ দেশে দীর্ঘদিন থাকার পর গত মে মাসে দেশে ফেরত যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনুপ চেটিয়া। তিনি সঙ্গে তাঁর দুই সঙ্গীকেও নিয়ে যেতে চান। এ জন্য তিনি গত ১৩ মে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। এখন তিনি সেই আবেদন প্রত্যাহার করছেন। এ দেশে তিনি দীর্ঘদিন রয়েছেন। এবার দেশে ফিরে যেতে চান। সঙ্গে তাঁর দুই সহযোগী লক্ষ্মী প্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে নিয়ে যেতে চান।
ভারতীয় কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, অনুপ চেটিয়াকে ফিরে পেতে ভারত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদনও অনুপ চেটিয়া প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে তাঁর নাগরিকত্বও নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এর পরও বাংলাদেশ তাঁকে মুক্তি না দেওয়ায় ভারত অনেকটাই হতাশ।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, অনুপ চেটিয়াকে ফেরত পাঠানো নিয়ে আসলে কী হচ্ছে, তা তাদের জানা নেই। তবে এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। এ ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতের প্রতিফলন ঘটবে। তবে সরকারের শেষ সময়ে বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরের মতো সিদ্ধান্তের প্রভাব কী হতে পারে তার বিশ্লেষণও নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্টরা করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অনুপ চেটিয়া ইস্যুতে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে কী ঘটতে যাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে এখন আর অন্য কোনো ভারতীয় বন্দির পার্থক্য নেই। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে যেকোনো দিন তাঁকে মুক্তি দিতে পারে। তবে দিলি্লতে আসন্ন স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের (১৯ থেকে ২২ জুলাই) আগে তাঁকে হস্তান্তরের যে খবর ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, তা আমাদের নজরে এসেছে। তবে ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অনুপ চেটিয়া ইস্যু নেই। এমনকি বৈঠকের প্রস্তুতি সভায়ও বিষয়টি ওঠেনি।'
জানা গেছে, অনুপ চেটিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সরকারি কোনো আদেশ গতকাল শনিবার পর্যন্ত কারাগারে পেঁৗছেনি। কারা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অনুপ চেটিয়া গুরুত্বপূর্ণ বন্দি। তাঁকে মুক্তির বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আদেশ আসেনি।'
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসেনি। সরকারের অনুমতি ছাড়া তাঁর সঙ্গে কারো দেখা করার সুযোগও নেই।'
অনুপ চেটিয়াকে বর্তমানে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে রাখা হয়েছে। তাঁর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই কারাগারের জেলার দিদারুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তাঁকে যে সেলে রাখা হয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত নজরদারি রয়েছে।' এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার আদাবর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং অবৈধ মুদ্রা ও স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে এসব অপরাধের জন্য সাত বছরের শাস্তিও দেন আদালত। ২০০৪ সালে শাস্তির মেয়াদ শেষ হলে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। তিনি কারাগারেই বন্দি থাকেন। দীর্ঘদিন থেকে ভারত সরকার তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।
এ দেশে দীর্ঘদিন থাকার পর গত মে মাসে দেশে ফেরত যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনুপ চেটিয়া। তিনি সঙ্গে তাঁর দুই সঙ্গীকেও নিয়ে যেতে চান। এ জন্য তিনি গত ১৩ মে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। এখন তিনি সেই আবেদন প্রত্যাহার করছেন। এ দেশে তিনি দীর্ঘদিন রয়েছেন। এবার দেশে ফিরে যেতে চান। সঙ্গে তাঁর দুই সহযোগী লক্ষ্মী প্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে নিয়ে যেতে চান।
No comments