মুরসির মুক্তি চায় ওয়াশিংটন
মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ
মুরসিকে মুক্তি দিতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মুরসির সমর্থকদের ডাকা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ
কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে এ আহ্বান জানায় তারা।
ওয়াশিংটনের এ আহ্বানের কয়েক ঘণ্টা আগে জার্মানিও একই আহ্বান জানায়।
এদিকে মুরসিকে স্বপদে বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাঁর সমর্থকরা। রাজধানী কায়রোর নসর সিটিতে শুক্রবারের বিভোক্ষ-সমাবেশ থেকে ইসলামপন্থী গুরুত্বপূর্ণ নেতা সাফওয়াত হেগাজি ঘোষণা দেন, 'মুরসিকে ক্ষমতা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এক মাস, দুই মাস এমনকি দরকারে দুই বছর আমরা রাজপথে থাকব।' কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও এ দিন পৃথক সমাবেশে জড়ো হয়েছিল হাজারো মুরসি সমর্থক। বিপরীতে মুরসিবিরোধীরাও কায়রোর তাহরির স্কয়ার ও প্রেসিডেন্ট ভবন ইত্তাহাদিয়ার বাইরে জমায়েত হয়। দুই পক্ষের পাল্টাকর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটেনি।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে মুরসিকে 'নিরাপদ জায়গায়' রাখার দাবি করা হলেও তাঁকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এতে করে মুরসির ব্যাপারে ক্রমেই আশঙ্কা বাড়ছে তাঁর সমর্থকদের মধ্যে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন পিসাকি শুক্রবার বলেন, 'মুরসিকে আড়ালে রাখার ব্যবস্থার অবসান চায় ওয়াশিংটন।' অন্যদিকে জার্মানি বলেছে, দরকারে রেডক্রসের মতো বিশ্বাসযোগ্য কোনো সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুরসির সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হোক। এ দিন হোয়াইট হাউস পৃথক বিবৃতিতে জানায়, মিসর পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মিসরের স্থিতাবস্থার সঙ্গে দুই দেশেরই অভিন্ন স্বার্থ জড়িত বলে একমত হন তাঁরা।
এদিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল-বেবলাওয়ি জানিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত মন্ত্রিপরিষদের ৯০ শতাংশ প্রার্থী মোটামুটি ঠিক। তাঁদের সঙ্গে গতকাল শনিবার থেকে আলোচনা শুরু করার কথা ছিল বেবলাওয়ির। ব্রাদারহুড এ সরকারে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মুসলিম ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতা মোহাম্মদ বাদিসহ ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার রাজধানী কায়রোর প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের সদর দপ্তরে সংঘটিত সহিংসতার উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সোমবারের সহিংসতায় ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। তাদের বেশির ভাগই মুরসির সমর্থক। ওই প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এভাবে ঢালাওভাবে ইসলামপন্থীদের গ্রেপ্তার না করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : এএফপি।
এদিকে মুরসিকে স্বপদে বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাঁর সমর্থকরা। রাজধানী কায়রোর নসর সিটিতে শুক্রবারের বিভোক্ষ-সমাবেশ থেকে ইসলামপন্থী গুরুত্বপূর্ণ নেতা সাফওয়াত হেগাজি ঘোষণা দেন, 'মুরসিকে ক্ষমতা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এক মাস, দুই মাস এমনকি দরকারে দুই বছর আমরা রাজপথে থাকব।' কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও এ দিন পৃথক সমাবেশে জড়ো হয়েছিল হাজারো মুরসি সমর্থক। বিপরীতে মুরসিবিরোধীরাও কায়রোর তাহরির স্কয়ার ও প্রেসিডেন্ট ভবন ইত্তাহাদিয়ার বাইরে জমায়েত হয়। দুই পক্ষের পাল্টাকর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটেনি।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে মুরসিকে 'নিরাপদ জায়গায়' রাখার দাবি করা হলেও তাঁকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এতে করে মুরসির ব্যাপারে ক্রমেই আশঙ্কা বাড়ছে তাঁর সমর্থকদের মধ্যে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন পিসাকি শুক্রবার বলেন, 'মুরসিকে আড়ালে রাখার ব্যবস্থার অবসান চায় ওয়াশিংটন।' অন্যদিকে জার্মানি বলেছে, দরকারে রেডক্রসের মতো বিশ্বাসযোগ্য কোনো সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুরসির সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হোক। এ দিন হোয়াইট হাউস পৃথক বিবৃতিতে জানায়, মিসর পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মিসরের স্থিতাবস্থার সঙ্গে দুই দেশেরই অভিন্ন স্বার্থ জড়িত বলে একমত হন তাঁরা।
এদিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল-বেবলাওয়ি জানিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত মন্ত্রিপরিষদের ৯০ শতাংশ প্রার্থী মোটামুটি ঠিক। তাঁদের সঙ্গে গতকাল শনিবার থেকে আলোচনা শুরু করার কথা ছিল বেবলাওয়ির। ব্রাদারহুড এ সরকারে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মুসলিম ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতা মোহাম্মদ বাদিসহ ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার রাজধানী কায়রোর প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের সদর দপ্তরে সংঘটিত সহিংসতার উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সোমবারের সহিংসতায় ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। তাদের বেশির ভাগই মুরসির সমর্থক। ওই প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এভাবে ঢালাওভাবে ইসলামপন্থীদের গ্রেপ্তার না করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : এএফপি।
No comments