হেফাজতের দাবি আহমদ শফীর বক্তব্য কুরুচিপূর্ণ নয়
নারী, নারী শিক্ষা ও পোশাক কারখানার
শ্রমিকদের চাকরি নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে দেওয়া হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ
শফীর আপত্তিকর বক্তব্যের বিষয়ে সংগঠনের চার নায়েবে আমির গতকাল শনিবার যৌথ
বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, হেফাজতের ১৩ দফা
দাবির ব্যাপারে নানা অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে
এবার আহমদ শফীর চরিত্র হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে কিছু চিহ্নিত গণমাধ্যম ও
ব্যক্তিবিশেষ। বিশেষ করে শাপলা চত্বরের গণহত্যার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে যখন
‘শাহবাগী নাস্তিক ব্লগার’ ও তাঁদের পৃষ্ঠপোষকেরা প্রত্যাখ্যাত হতে শুরু
করেছে, তখনই আহমদ শফী সম্পর্কে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপকৌশলের
আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে আহমদ শফী কুরুচিপূর্ণ ও নারীবিরোধী অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন মর্মে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে আহমদ শফীর কোনো বক্তব্যকে অস্বীকার না করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আবদুল মালেক হালিম বলেন, ওয়াজ মাহফিলের ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ে আঞ্চলিক ভাষায় বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে শ্রোতাদের বোধগম্য করে তোলার কৌশলটি অতি পুরোনো। আহমদ শফীর নামে প্রচারিত যেসব শব্দ ও ভাষাকে কুরুচিপূর্ণ বলা হচ্ছে, এ ধরনের ভাষা বইপুস্তকে, বিজ্ঞাপনচিত্রে, স্বাস্থ্যবিষয়ক লিফলেটে ও বুকলেটে অহরহ দেখা যায়। গ্রামে প্রচলিত উদাহরণ ও ভাষা এবং বইপুস্তকে ব্যবহূত ভাষা-শব্দ ওয়াজের ক্ষেত্রে ব্যবহারকে কোনোভাবেই কুরুচিপূর্ণ বলা যায় না।
আরেক নায়েবে আমির নূর হোসাইন কাসেমী দাবি করেন, আহমদ শফী কখনো নারীদের ঘরে বন্দী রাখার কথা বলেননি। তবে, পরিবারে নারীদের প্রধান দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি কখনো নারীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে বলেননি। প্রচলিত সহশিক্ষার কুফলের দিক তুলে ধরে সতর্ক করেছেন এবং সামাজিক নানা অনাচার-ব্যভিচার বৃদ্ধির কারণগুলো চিহ্নিত করে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কোনো অপপ্রচারেই আগেও বিভ্রান্ত হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
কয়েক দিন ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে আহমদ শফী কুরুচিপূর্ণ ও নারীবিরোধী অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন মর্মে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে আহমদ শফীর কোনো বক্তব্যকে অস্বীকার না করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আবদুল মালেক হালিম বলেন, ওয়াজ মাহফিলের ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ে আঞ্চলিক ভাষায় বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে শ্রোতাদের বোধগম্য করে তোলার কৌশলটি অতি পুরোনো। আহমদ শফীর নামে প্রচারিত যেসব শব্দ ও ভাষাকে কুরুচিপূর্ণ বলা হচ্ছে, এ ধরনের ভাষা বইপুস্তকে, বিজ্ঞাপনচিত্রে, স্বাস্থ্যবিষয়ক লিফলেটে ও বুকলেটে অহরহ দেখা যায়। গ্রামে প্রচলিত উদাহরণ ও ভাষা এবং বইপুস্তকে ব্যবহূত ভাষা-শব্দ ওয়াজের ক্ষেত্রে ব্যবহারকে কোনোভাবেই কুরুচিপূর্ণ বলা যায় না।
আরেক নায়েবে আমির নূর হোসাইন কাসেমী দাবি করেন, আহমদ শফী কখনো নারীদের ঘরে বন্দী রাখার কথা বলেননি। তবে, পরিবারে নারীদের প্রধান দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি কখনো নারীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে বলেননি। প্রচলিত সহশিক্ষার কুফলের দিক তুলে ধরে সতর্ক করেছেন এবং সামাজিক নানা অনাচার-ব্যভিচার বৃদ্ধির কারণগুলো চিহ্নিত করে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কোনো অপপ্রচারেই আগেও বিভ্রান্ত হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
No comments