আজ রোববার by সাবিনা ইয়াসমীন
বাঁধাধরা চাকুরেদের জীবনটা বোধহয় মজারই
হয়। তারা সপ্তাহ শেষে একটা দিন অন্তত আলাদা করতে পারেন। এখন যেমন সাপ্তাহিক
বন্ধের দিন শুক্রবার। বেশিরভাগ চাকরিজীবী সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো শুক্রবারের
জন্য তুলে রাখেন।
আগে আমাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল
রোববার। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখনও রোববার ছুটির দিন। রোববার নিয়ে যে কারণে
অনেক গান আছে, কবিতা আছে, কৌতুকও আছে। আমাদের দেশেও রোববার নিয়ে গান শোনা
যেত।
আর আমার জীবনে সাপ্তাহিক ছুটি বা কোনো অবসর নেই। সারাক্ষণই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমার সারা সপ্তাহ একই রকম। কাজ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করি। হঠাৎ কোনোদিন দেখা গেল বাইরে যেতে হয় না। তখন দিনটা হয়তো একটু ভিন্নভাবে কাটে। তবে পারিবারিক কাজগুলো সেদিন সেরে নিই। কোনো সময় আলসেমি ভর করলে বই নিয়ে বিছানায় একটু হেলান দিই। বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে খুব ভালো লাগে। আমি অমুক লেখকের ওই বইটাই যে পড়ব তা আগে থেকে ঠিক করা থাকে না। আমি যদি কখনও সময় পাই, কিছুক্ষণের জন্য বই কিন্তু একটা লাগবেই। সেটা যে কোনো বই হতে পারে। সেটা ম্যাগাজিন হতে পারে, রবীন্দ্রনাথের বই হতে পারে, হতে পারে সুনীলের বই, শরৎচন্দ্রের কিংবা বঙ্কিমচন্দ্রের কোনো উপন্যাস। কোনো বই আমার একটা হাতের সামনে থাকলেই আমার ভালো লাগে এবং যে কোনো ধরনের বই পড়তে আমি খুব পছন্দ করি। তবে হালকা ধরনের গল্প, খুব একটা হালকা নয়, খুব জটিলও নয়, এ ধরনের বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। আরও নির্দিষ্টভাবে বললে আমি হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত। তার বইয়ে তারুণ্যের অরণ্যানী খুঁজে পাই। আর সংলাপগুলো যেন এক একটি চুম্বকপ্রস্থ।
পাঠক হয়তো আমার গান নিয়ে কিছু শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। বাসায় গান শোনা হয়, তবে অন্য শিল্পীদের গান বেশিরভাগ সময় শোনা হয়। নিজের গান কখনও শোনা হয় না। অবসর সময়ের বেশিরভাগ অংশ গান ও বইয়ে কাটে। রান্নাবান্না করি, তবে নিয়মিত নয়। বিশেষ বিশেষ দিনে এটা করা হয়। ঈদের দিন বা ছেলেমেয়ে কারও জন্মদিন হলে তখন নিজে রান্না করার চেষ্টা করি। তবে খুব বেশি একটা নয়। সবকিছু অতটা পারি না। তবে ইচ্ছে করে। কিন্তু না করতে করতে অভ্যাসও নেই। মজার বিষয় হচ্ছে, আমি যখন রান্না করি প্রায়ই রান্নার বই দেখে দেখেই করি।
আর আমার জীবনে সাপ্তাহিক ছুটি বা কোনো অবসর নেই। সারাক্ষণই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমার সারা সপ্তাহ একই রকম। কাজ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করি। হঠাৎ কোনোদিন দেখা গেল বাইরে যেতে হয় না। তখন দিনটা হয়তো একটু ভিন্নভাবে কাটে। তবে পারিবারিক কাজগুলো সেদিন সেরে নিই। কোনো সময় আলসেমি ভর করলে বই নিয়ে বিছানায় একটু হেলান দিই। বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে খুব ভালো লাগে। আমি অমুক লেখকের ওই বইটাই যে পড়ব তা আগে থেকে ঠিক করা থাকে না। আমি যদি কখনও সময় পাই, কিছুক্ষণের জন্য বই কিন্তু একটা লাগবেই। সেটা যে কোনো বই হতে পারে। সেটা ম্যাগাজিন হতে পারে, রবীন্দ্রনাথের বই হতে পারে, হতে পারে সুনীলের বই, শরৎচন্দ্রের কিংবা বঙ্কিমচন্দ্রের কোনো উপন্যাস। কোনো বই আমার একটা হাতের সামনে থাকলেই আমার ভালো লাগে এবং যে কোনো ধরনের বই পড়তে আমি খুব পছন্দ করি। তবে হালকা ধরনের গল্প, খুব একটা হালকা নয়, খুব জটিলও নয়, এ ধরনের বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। আরও নির্দিষ্টভাবে বললে আমি হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত। তার বইয়ে তারুণ্যের অরণ্যানী খুঁজে পাই। আর সংলাপগুলো যেন এক একটি চুম্বকপ্রস্থ।
পাঠক হয়তো আমার গান নিয়ে কিছু শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। বাসায় গান শোনা হয়, তবে অন্য শিল্পীদের গান বেশিরভাগ সময় শোনা হয়। নিজের গান কখনও শোনা হয় না। অবসর সময়ের বেশিরভাগ অংশ গান ও বইয়ে কাটে। রান্নাবান্না করি, তবে নিয়মিত নয়। বিশেষ বিশেষ দিনে এটা করা হয়। ঈদের দিন বা ছেলেমেয়ে কারও জন্মদিন হলে তখন নিজে রান্না করার চেষ্টা করি। তবে খুব বেশি একটা নয়। সবকিছু অতটা পারি না। তবে ইচ্ছে করে। কিন্তু না করতে করতে অভ্যাসও নেই। মজার বিষয় হচ্ছে, আমি যখন রান্না করি প্রায়ই রান্নার বই দেখে দেখেই করি।
No comments