দম ফেলার ফুরসত নেই দরজির দোকানে
নগরের জিইসি মোড়ের বিপণিকেন্দ্র সেন্ট্রাল
প্লাজায় প্রধানত নারীদের পোশাক ও প্রসাধনী বিক্রি হয়। প্রায় সারা বছরই
কেনাকাটার ব্যস্ততা থাকে এই বিপণিকেন্দ্রে। তবে গত কয়েক দিন ধরে এখানকার
প্রতিটি দোকানে উপচে পড়া ভিড়।
বিশেষ করে দরজির দোকানে যেন পা রাখাই দায়। পছন্দের কাপড় কিনে কিশোর-তরুণেরা ছুটছেন কাপড় সেলাই করাতে।
কেউ এসেছেন বান্ধবীদের নিয়ে। কেউ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। যাচাই-বাছাই শেষে কিশোরী-তরুণীরা পছন্দের কাপড় কিনে ছুটছেন দরজিবাড়ি।
গত বুধবার দুপুরে সেন্ট্রাল প্লাজায় কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসরিন সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই বোনকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে কয়েকটি পছন্দের কাপড় কিনেছি। এখন টেনশন হচ্ছে, সময়মতো সেলাই করাতে পারব তো!’
নাসরিন সুলতানার এই আশঙ্কার কারণও আছে। নগরের বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র ও অলিগলির দরজির দোকানে ঈদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই। কোনো দোকানে ১০ রোজার পর, কোথাও ১৫ রোজার পর আর ফরমায়েশ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কাটিং মাস্টাররা।
নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকার বিপণিকেন্দ্র ভিআইপি টাওয়ার। এর নিচতলায় ১০ থেকে ১২টি দরজির দোকান। এখানকার এসব দোকানে পুরোদমে চলছে ঈদের পোশাক সেলাইয়ের কাজ। দোকানজুড়ে কাপড়ের স্তূপ। মাথার ওপরে ঝুলছে নানা রঙের বিভিন্ন নকশায় তৈরি পোশাক। একসঙ্গে কয়েকটি সেলাইযন্ত্রের খটাখট শব্দ। এর ফাঁকেই চলছে নতুন ফরমায়েশ নেওয়া ও কাপড় কাটার কাজ।
এখানকার সুকন্যা লেডিস টেইলার্সের কাটিং মাস্টার মো. ইফসুফ বলেন, ‘এবার লম্বা কামিজ সেলাইয়ের চল খুব বেশি।
সাধারণ ডিজাইনের লম্বা কামিজ সেলাইয়ের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। জিপসি সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ টাকায় সেলাই করছি। আমরা রমজান শুরুর আগেই অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।’
ঈদ উপলক্ষে সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি নারীদের কেউ কেউ নতুন বোরকা সেলাই করছেন। ভিআইপি টাওয়ারের নিউ আরব ফ্যাশনের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ টাকায় বিভিন্ন ডিজাইনের বোরকা সেলাই করি।’ ঈদে পঞ্জাবি না পরা মানে আনন্দ ষোলো আনাই মাটি। তাই মাপমতো পাঞ্জাবি-পায়জামা বানাতে পুরুষেরাও ছুটছেন দরজির দোকানে। টেরিবাজার, আন্দরকিল্লা এবং হাজারী লেইন এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় প্রায় ৪০টির মতো দরজির দোকান। পাঞ্জাব টেইলার্স, দাশগুপ্ত টেইলার্স, ছুফি টেইলার্স, আজমির টেইলার্সসহ বেশ কয়েকটি দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ পাঞ্জাবি সেলাইয়ের খরচ পড়বে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি সেলাইয়ের খরচ পড়বে ৬৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর পায়জামা সেলাইয়ের জন্য নেওয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা।
নগরের বিভিন্ন এলাকার আছে পুরুষদের শার্ট, প্যান্ট ও স্যুট সেলাইয়ের প্রতিষ্ঠান। লালখান বাজারের হাইওয়ে প্লাজায় ও ওয়াসার মোড়ে আছে বেশ কয়েকটি নামী দরজির দোকান। এসব দোকানে নানা বয়সের পুরুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। আসকার দীঘিরপাড় এলাকায় অবস্থিত মোনালিসা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী পরিমল দে জানান, দরজির দোকানগুলোতে শবে বরাতের সময় থেকেই অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে।
নগরের প্রবর্তক মোড় এলাকার মুন্নি প্লাজায় অবস্থিত স্টাইলো টেইলার্সের বিক্রয় ব্যবস্থাপক জানান, এখানে শার্ট ৩২০ টাকা এবং প্যান্ট সেলাইয়ে খরচ পড়বে ৪৩০ টাকা।
কেউ এসেছেন বান্ধবীদের নিয়ে। কেউ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। যাচাই-বাছাই শেষে কিশোরী-তরুণীরা পছন্দের কাপড় কিনে ছুটছেন দরজিবাড়ি।
গত বুধবার দুপুরে সেন্ট্রাল প্লাজায় কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসরিন সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই বোনকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে কয়েকটি পছন্দের কাপড় কিনেছি। এখন টেনশন হচ্ছে, সময়মতো সেলাই করাতে পারব তো!’
নাসরিন সুলতানার এই আশঙ্কার কারণও আছে। নগরের বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র ও অলিগলির দরজির দোকানে ঈদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই। কোনো দোকানে ১০ রোজার পর, কোথাও ১৫ রোজার পর আর ফরমায়েশ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কাটিং মাস্টাররা।
নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকার বিপণিকেন্দ্র ভিআইপি টাওয়ার। এর নিচতলায় ১০ থেকে ১২টি দরজির দোকান। এখানকার এসব দোকানে পুরোদমে চলছে ঈদের পোশাক সেলাইয়ের কাজ। দোকানজুড়ে কাপড়ের স্তূপ। মাথার ওপরে ঝুলছে নানা রঙের বিভিন্ন নকশায় তৈরি পোশাক। একসঙ্গে কয়েকটি সেলাইযন্ত্রের খটাখট শব্দ। এর ফাঁকেই চলছে নতুন ফরমায়েশ নেওয়া ও কাপড় কাটার কাজ।
এখানকার সুকন্যা লেডিস টেইলার্সের কাটিং মাস্টার মো. ইফসুফ বলেন, ‘এবার লম্বা কামিজ সেলাইয়ের চল খুব বেশি।
সাধারণ ডিজাইনের লম্বা কামিজ সেলাইয়ের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। জিপসি সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ টাকায় সেলাই করছি। আমরা রমজান শুরুর আগেই অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।’
ঈদ উপলক্ষে সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি নারীদের কেউ কেউ নতুন বোরকা সেলাই করছেন। ভিআইপি টাওয়ারের নিউ আরব ফ্যাশনের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ টাকায় বিভিন্ন ডিজাইনের বোরকা সেলাই করি।’ ঈদে পঞ্জাবি না পরা মানে আনন্দ ষোলো আনাই মাটি। তাই মাপমতো পাঞ্জাবি-পায়জামা বানাতে পুরুষেরাও ছুটছেন দরজির দোকানে। টেরিবাজার, আন্দরকিল্লা এবং হাজারী লেইন এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় প্রায় ৪০টির মতো দরজির দোকান। পাঞ্জাব টেইলার্স, দাশগুপ্ত টেইলার্স, ছুফি টেইলার্স, আজমির টেইলার্সসহ বেশ কয়েকটি দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ পাঞ্জাবি সেলাইয়ের খরচ পড়বে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি সেলাইয়ের খরচ পড়বে ৬৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর পায়জামা সেলাইয়ের জন্য নেওয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা।
নগরের বিভিন্ন এলাকার আছে পুরুষদের শার্ট, প্যান্ট ও স্যুট সেলাইয়ের প্রতিষ্ঠান। লালখান বাজারের হাইওয়ে প্লাজায় ও ওয়াসার মোড়ে আছে বেশ কয়েকটি নামী দরজির দোকান। এসব দোকানে নানা বয়সের পুরুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। আসকার দীঘিরপাড় এলাকায় অবস্থিত মোনালিসা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী পরিমল দে জানান, দরজির দোকানগুলোতে শবে বরাতের সময় থেকেই অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে।
নগরের প্রবর্তক মোড় এলাকার মুন্নি প্লাজায় অবস্থিত স্টাইলো টেইলার্সের বিক্রয় ব্যবস্থাপক জানান, এখানে শার্ট ৩২০ টাকা এবং প্যান্ট সেলাইয়ে খরচ পড়বে ৪৩০ টাকা।
No comments