নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুরের মেয়র মাসিক সম্মানীও পাচ্ছেন না তিন মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছে না সরকার by শেখ সাবিহা আলম
‘আস্থাভাজন’ না হওয়ায় তিন সিটি করপোরেশনের
মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছে না সরকার। পদমর্যাদা ঠিক না হওয়ায়
তাঁরা কোনো সম্মানীও পাচ্ছেন না। এই তিন মেয়র হলেন নারায়ণগঞ্জের সেলিনা
হায়াৎ আইভী, কুমিল্লার মনিরুল হক ও রংপুরের সরফুদ্দীন আহমেদ।
অথচ
২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছিল,
রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়ররা প্রতিমন্ত্রীর
পদমর্যাদাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। একই বিভাগ সাড়ে চার বছর পর
গত ২৭ মার্চ এক চিঠিতে জানায়, ‘সিটি করপোরেশনের মেয়রদের মাসিক সম্মানী ভাতা
ও অন্যান্য সুবিধার সঙ্গে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রীর
পদমর্যাদার কোনো সম্পর্ক আছে বলে প্রতীয়মান হয় না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারসচিব আবু আলম মো. শহিদ খান প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশন আইনের কোথাও বলা নেই যে মেয়ররা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন। কাউকে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা দিতে হলে আইনকানুন, বিধিবিধান দেখতে হবে। বিএনপি আমলে সাদেক হোসেন খোকাকে মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চার মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়। এই সরকার কাউকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়নি। আবার কেড়েও নেয়নি। সম্মানী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পদমর্যাদার বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন বিবেচনাধীন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। রংপুরের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত হয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান।
দুই মেয়র প্রথম আলোকে বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় তাঁরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আদালতে গেলে সরকার তাঁদের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিতে বাধ্য হবে।
সেলিনা হায়াৎ দলের মনোনয়ন না পেয়েও এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট শামীম ওসমানকে। কুমিল্লার মনিরুল হক নিজ দল বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আফজল খানের দ্বিগুণ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
আর রংপুরের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ নাগরিক সমাজের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমানকে হারান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হওয়া সত্ত্বেও দল তাঁকে সমর্থন দেয়নি। সমর্থন দিয়েছিল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউর রহমানকে।
এক যাত্রায় দুই ফল: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা একচেটিয়া জয় পেয়েছিলেন। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে যে, শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, মো. শওকত হোসেন এবং বদরউদ্দিন আহমাদ কামরান স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিবেন।’
সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর একটি চিঠি দেয়। এতে বলা হয়, ‘রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়ররা সরকারের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পদমর্যাদা নির্ধারণ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
এক বছরের বেশি সময় পর এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে লেখেন, ‘২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর একটি এসআরও-র মাধ্যমে কাউন্সিলরদের সম্মানী ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদির ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় তাঁর সম্মানী দেওয়া যাচ্ছে না।’
তিন মেয়রের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্মানী দেওয়া না হলেও বিদেশ সফরের সময় তাঁদের প্রতিমন্ত্রীর মতো বিজনেস ক্লাসের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আবার ছুটির জন্য স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বরাবর আবেদন পাঠানো হলে সেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাচ্ছে। কারণ, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ছুটি অনুমোদন করেন সরকারপ্রধান।
দ্য মিনিস্টারস অ্যান্ড মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেম্যুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ অনুসারে, একজন প্রতিমন্ত্রী প্রতি মাসে ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা সম্মানী পাবেন। এই সম্মানী করমুক্ত। এর বাইরে তিনি সরকারি বাসভবন পাবেন, সরকারি বাসভবন পাওয়া না গেলে ভাড়া বাড়িতে থাকবেন এবং ওই বাড়ির যাবতীয় বিল সরকারের পরিশোধ করার কথা। আইন অনুযায়ী, প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতেই নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে হবে এবং মেয়াদ শেষে নিরাপত্তারক্ষীদের (যদি ভাড়া বাসা বা অন্য কোনো ব্যবস্থা থাকে) থাকার জন্য নির্মিত ছাউনি তুলে নেওয়া হবে। একজন প্রতিমন্ত্রী সরকারিভাবে দেশে বা বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও ভাতা পাবেন।
জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা চেয়ে সিটি করপোরেশনগুলো প্রস্তাব পাঠিয়েছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। গত ৪ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রদের জন্য বাড়িভাড়াসহ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা সম্মানীর প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাড়া মেলেনি।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সরকারকে আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকেন। তাঁর কোনো বাসভবনের প্রয়োজন নেই। সরকার তাঁকে সম্মানী না দিলেও প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির মতো তাঁর বাড়িতেও সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা আছে। মেয়র নিজেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি অফিসে যাওয়া-আসার সময় পেছনে পুলিশ ভ্যানে পুলিশ সদস্যরা থাকেন। পুলিশ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও এখন পর্যন্ত পুলিশ তাঁর সঙ্গেই থাকছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারসচিব আবু আলম মো. শহিদ খান প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশন আইনের কোথাও বলা নেই যে মেয়ররা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন। কাউকে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা দিতে হলে আইনকানুন, বিধিবিধান দেখতে হবে। বিএনপি আমলে সাদেক হোসেন খোকাকে মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চার মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়। এই সরকার কাউকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়নি। আবার কেড়েও নেয়নি। সম্মানী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পদমর্যাদার বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন বিবেচনাধীন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। রংপুরের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত হয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান।
দুই মেয়র প্রথম আলোকে বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় তাঁরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আদালতে গেলে সরকার তাঁদের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিতে বাধ্য হবে।
সেলিনা হায়াৎ দলের মনোনয়ন না পেয়েও এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট শামীম ওসমানকে। কুমিল্লার মনিরুল হক নিজ দল বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আফজল খানের দ্বিগুণ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
আর রংপুরের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ নাগরিক সমাজের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমানকে হারান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হওয়া সত্ত্বেও দল তাঁকে সমর্থন দেয়নি। সমর্থন দিয়েছিল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউর রহমানকে।
এক যাত্রায় দুই ফল: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা একচেটিয়া জয় পেয়েছিলেন। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে যে, শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, মো. শওকত হোসেন এবং বদরউদ্দিন আহমাদ কামরান স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিবেন।’
সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর একটি চিঠি দেয়। এতে বলা হয়, ‘রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়ররা সরকারের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পদমর্যাদা নির্ধারণ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
এক বছরের বেশি সময় পর এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে লেখেন, ‘২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর একটি এসআরও-র মাধ্যমে কাউন্সিলরদের সম্মানী ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদির ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় তাঁর সম্মানী দেওয়া যাচ্ছে না।’
তিন মেয়রের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্মানী দেওয়া না হলেও বিদেশ সফরের সময় তাঁদের প্রতিমন্ত্রীর মতো বিজনেস ক্লাসের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আবার ছুটির জন্য স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বরাবর আবেদন পাঠানো হলে সেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাচ্ছে। কারণ, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ছুটি অনুমোদন করেন সরকারপ্রধান।
দ্য মিনিস্টারস অ্যান্ড মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেম্যুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ অনুসারে, একজন প্রতিমন্ত্রী প্রতি মাসে ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা সম্মানী পাবেন। এই সম্মানী করমুক্ত। এর বাইরে তিনি সরকারি বাসভবন পাবেন, সরকারি বাসভবন পাওয়া না গেলে ভাড়া বাড়িতে থাকবেন এবং ওই বাড়ির যাবতীয় বিল সরকারের পরিশোধ করার কথা। আইন অনুযায়ী, প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতেই নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে হবে এবং মেয়াদ শেষে নিরাপত্তারক্ষীদের (যদি ভাড়া বাসা বা অন্য কোনো ব্যবস্থা থাকে) থাকার জন্য নির্মিত ছাউনি তুলে নেওয়া হবে। একজন প্রতিমন্ত্রী সরকারিভাবে দেশে বা বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও ভাতা পাবেন।
জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা চেয়ে সিটি করপোরেশনগুলো প্রস্তাব পাঠিয়েছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। গত ৪ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রদের জন্য বাড়িভাড়াসহ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা সম্মানীর প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাড়া মেলেনি।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সরকারকে আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকেন। তাঁর কোনো বাসভবনের প্রয়োজন নেই। সরকার তাঁকে সম্মানী না দিলেও প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির মতো তাঁর বাড়িতেও সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা আছে। মেয়র নিজেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি অফিসে যাওয়া-আসার সময় পেছনে পুলিশ ভ্যানে পুলিশ সদস্যরা থাকেন। পুলিশ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও এখন পর্যন্ত পুলিশ তাঁর সঙ্গেই থাকছে।
No comments