সিদ্ধান্ত নিয়েও খালেদার ইফতারে যায়নি আ. লীগ-অতিথিরা বললেন 'দুঃখজনক'
রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ইফতার করেছেন
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তৃতীয় রমজানে আয়োজিত এই
ইফতার পার্টিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেউ না এলেও মহাজোটের অন্যতম শরিক
জাতীয় পার্টি অংশ নেয়।
জামায়াতে ইসলামী, বিজেপি, ইসলামী
ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, জাগপাসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় শরিকদের
পাশাপাশি এতে অংশ নেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাসদ (রব) ও কৃষক শ্রমিক জনতা
লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের না আসাকে 'দুঃখজনক' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়
পার্টির নেতারা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে 'পার্লামেন্ট মেম্বারস
ক্লাব'-এর এলডি ভবন প্রাঙ্গণে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করেন খালেদা জিয়া।
ইফতারের আগে তিনি প্রতিটি টেবিল ঘুরে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ইফতারে ক্ষমতাসীন দলের কারো না আসাকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'এটা
দেশের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নয়। আমরা সকালে শুনেছি
তাঁরা আসবেন। আমরা উৎসাহিত হয়েছিলাম। তাঁরা এলে দেশবাসী এটাকে ইতিবাচক
হিসেবে দেখত।'
জামায়াতে ইসলামী ইফতারে অংশ নেওয়ার কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধীদলীয় নেতার ইফতারে আসেননি- এ রকম আলোচনার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এটা সঠিক নয়। অতীতে জামায়াতের সঙ্গে তাঁরা (আওয়ামী লীগ নেতারা) অনেকবার বৈঠক করেছেন। আন্দোলন করেছেন। তাই এখন যেটা বলা হচ্ছে তা কোনো যুক্তি হতে পারে না।'
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ বলেন, 'ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা বিরোধীদলীয় নেতার ইফতারে আসেননি, এটা দুঃখজনক। আমাদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইফতারে কেউ আমন্ত্রণ জানালে তাতে অংশ নেওয়াটা সৌজন্য। গতকাল (শুক্রবার) আমাদের দলের ইফতার ছিল। এতে ক্ষমতাসীন দলসহ অনেক রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আমাদের দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ইফতার হচ্ছে একটি মিলনমেলা। আজকেও তাঁরা যোগ দিলে এটিও মিলনমেলা হতো। আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিরোধীদলীয় নেতার এই ইফতারে অংশ নিতে মহাসচিবসহ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আজ এখানে এসে খুশি হয়েছি।'
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আরো বলেন, 'দেশে একটি পরিবর্তনের যে হাওয়া চলছে, তাকে যৌক্তিক পরিণতিতে নিতে হবে। আমরা আশা করেছিলাম, শাসক দল জনগণের ভাষা বুঝতে পারবে। কিন্তু তাঁদের আজ ইফতারে না আসাটা দুঃখজনক।'
১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে জাতীয় পার্টি যুক্ত হবে কি না প্রশ্ন করা হলে কাজী জাফর বলেন, 'অপেক্ষা করুন। সব দেখতে পাবেন। জাতীয় পার্টি সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোয়।'
বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, 'ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের নেতার ইফতারে যোগ দেয়নি, এটা নতুন কিছু নয়। আমি এতে অবাক হইনি। তবে আমরা মনে করি তাঁরা এই ইফতারে যোগ না দিয়ে সমঝোতার রাজনীতির একটি সুযোগ হারাল।'
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নতুন জোট গঠন প্রসঙ্গে বলেন, 'আশা করছি রমজানের পর দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা পূরণে নতুন কিছু দিতে পারব।'
জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, 'পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। ঈদের পরে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামব। এ আন্দোলন যুগপৎ বা জোটবদ্ধ যেকোনো রূপ নিতে পারে।'
ইফতার অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি একই টেবিলে বসে অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কাজী জাফর আহমেদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ইফতার করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, জমিরউদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, সারোয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানও মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ইফতার করেন।
এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি মাওলানা নুর হোসেন কাশেমী, মাওলানা এম এ করিম ইবনে মোসাবি্বর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে জামায়াতের সদস্য থাকায় আ স ম আবদুর রব ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী অতিথি আসনে বসেই ইফতার সারেন।
এর আগে খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ইফতার পার্টিতে উপস্থিত হন। ইফতারের আগে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জামায়াতে ইসলামী ইফতারে অংশ নেওয়ার কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধীদলীয় নেতার ইফতারে আসেননি- এ রকম আলোচনার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এটা সঠিক নয়। অতীতে জামায়াতের সঙ্গে তাঁরা (আওয়ামী লীগ নেতারা) অনেকবার বৈঠক করেছেন। আন্দোলন করেছেন। তাই এখন যেটা বলা হচ্ছে তা কোনো যুক্তি হতে পারে না।'
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ বলেন, 'ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা বিরোধীদলীয় নেতার ইফতারে আসেননি, এটা দুঃখজনক। আমাদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইফতারে কেউ আমন্ত্রণ জানালে তাতে অংশ নেওয়াটা সৌজন্য। গতকাল (শুক্রবার) আমাদের দলের ইফতার ছিল। এতে ক্ষমতাসীন দলসহ অনেক রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আমাদের দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ইফতার হচ্ছে একটি মিলনমেলা। আজকেও তাঁরা যোগ দিলে এটিও মিলনমেলা হতো। আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিরোধীদলীয় নেতার এই ইফতারে অংশ নিতে মহাসচিবসহ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আজ এখানে এসে খুশি হয়েছি।'
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আরো বলেন, 'দেশে একটি পরিবর্তনের যে হাওয়া চলছে, তাকে যৌক্তিক পরিণতিতে নিতে হবে। আমরা আশা করেছিলাম, শাসক দল জনগণের ভাষা বুঝতে পারবে। কিন্তু তাঁদের আজ ইফতারে না আসাটা দুঃখজনক।'
১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে জাতীয় পার্টি যুক্ত হবে কি না প্রশ্ন করা হলে কাজী জাফর বলেন, 'অপেক্ষা করুন। সব দেখতে পাবেন। জাতীয় পার্টি সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোয়।'
বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, 'ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের নেতার ইফতারে যোগ দেয়নি, এটা নতুন কিছু নয়। আমি এতে অবাক হইনি। তবে আমরা মনে করি তাঁরা এই ইফতারে যোগ না দিয়ে সমঝোতার রাজনীতির একটি সুযোগ হারাল।'
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নতুন জোট গঠন প্রসঙ্গে বলেন, 'আশা করছি রমজানের পর দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা পূরণে নতুন কিছু দিতে পারব।'
জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, 'পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। ঈদের পরে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামব। এ আন্দোলন যুগপৎ বা জোটবদ্ধ যেকোনো রূপ নিতে পারে।'
ইফতার অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি একই টেবিলে বসে অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কাজী জাফর আহমেদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ইফতার করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, জমিরউদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, সারোয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানও মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ইফতার করেন।
এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি মাওলানা নুর হোসেন কাশেমী, মাওলানা এম এ করিম ইবনে মোসাবি্বর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে জামায়াতের সদস্য থাকায় আ স ম আবদুর রব ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী অতিথি আসনে বসেই ইফতার সারেন।
এর আগে খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ইফতার পার্টিতে উপস্থিত হন। ইফতারের আগে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
No comments