মুরসি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকারি তদন্ত কর্মকর্তার দপ্তর থেকে গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগের তদন্ত করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি, বিক্ষোভকারীদের হত্যায় উসকানি দেওয়া, সামরিক ব্যারাকে হামলা এবং অর্থনীতির ক্ষতিসাধন। তবে কে বা কারা অভিযোগ এনেছে, এ ব্যাপারে সরকারি দপ্তর থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জানানো হয়, তারা এখন অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে। অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় নথি তৈরি করা হবে। এর ফলে মুরসি ও তাঁর সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে। এতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে। উল্লেখ্য, ৩ জুলাই সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে অজ্ঞাত স্থানে তাঁকে আটক করে রেখেছে। তবে দেশটির অন্তর্বর্তী নেতারা জানিয়েছেন, মুরসিকে ‘নিরাপদ স্থানে’ রাখা হয়েছে। কাল গণবিক্ষোভের ডাক: এদিকে মুরসিকে পুনর্বহালে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে তাঁর সমর্থকেরা। কাল সোমবার দেশজুড়ে নতুন গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছে মুরসির দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি)। এফজেপির নেতা এসাম আল-ইরিয়ান ফেসবুকে পোস্ট করা এক বার্তায় গতকাল বলেন, সোমবার মিসরের প্রতিটি এলাকায় জনতা ফুঁসে উঠবে। তারা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ জানাবে। তিনি আরও বলেন, কোনো একজন ব্যক্তি, একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী বা সামরিক সংস্থা তাদের সিদ্ধান্তকে মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান: যুক্তরাষ্ট্র মুরসিকে মুক্তি দিতে গত শুক্রবার দেশটির অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়। এর আগে জার্মানিও একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছিল। মুরসির মুক্তির বিষয়ে ওয়াশিংটন এ পর্যন্ত খোলামেলাভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত ছিল। তারা কেবল নির্বিচারে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাদের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জার্মানি শুক্রবার মুরসিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর তারাও অনুরূপ বিবৃতি দিল। গতকাল শনিবারও কায়রোতে মুরসির সমর্থকেরা নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। এর আগে শুক্রবার মুরসির সমর্থক ও বিরোধীরা আলাদা স্থানে সমাবেশ করে। সেদিন পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে সহিংসতার আশঙ্কা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সে রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এএফপি ও বিবিসি।
No comments