উদ্বোধন নিয়ে দুই সাংসদের দ্বন্দ্বে নীলসাগর এল না চিলাহাটিতে by মীর মাহমুদুল হাসান
আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১০
জুলাই থেকে চিলাহাটি-ঢাকা পথে চলাচলের কথা থাকলেও দুই সাংসদের দ্বন্দ্বের
কারণে তা আটকে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়,
১০ জুলাই থেকে ট্রেনটি ওই পথে চলাচলের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গ্রীষ্মকালীন সময়সূচি নিয়ে ডোমার ও চিলাহাটি স্টেশনে
আসন বণ্টন পর্যন্ত করা হয়। ৮ জুলাই ট্রেনটি পরীক্ষামূলক চিলাহাটি পর্যন্ত
যাত্রাও করে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ (আওয়ামী লীগ) হামিদা বানু আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন বলে দলের পক্ষে ডোমার ও চিলাহাটিতে মাইকিং করা হয়। কোনো প্রচারণা না চালালেও চিলাহাটিতে ট্রেনটির উদ্বোধন করার জন্য নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাংসদ (জাপা) জাফর ইকবাল সিদ্দিকী ১০ জুলাই সকালে নীলসাগর এক্সপ্রেসে চড়ে ঢাকা থেকে চিলাহাটি আসার কথা ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুই সাংসদের উদ্বোধন নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ট্রেনটির ১০ জুলাইয়ের যাত্রা কোনো কারণ ছাড়াই স্থগিত হয়ে যায়।
ডোমার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ডোমার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, দুই সাংসদের উদ্বোধন-প্রতিযোগিতার কারণে ট্রেনটি চালু হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অতীতেও দেখেছি, শহীদ মিনারে কে আগে ফুল দেবেন—এ নিয়ে দুই সাংসদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। আমরা দুই সাংসদের প্রতিযোগিতা দেখতে চাই না। ট্রেনটা কবে চালু হবে সেটা দেখতে চাই।’
চিলাহাটি রেলস্টেশনের মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু ৯ জুলাই রাতে কোনো কারণ না দেখিয়ে তা স্থগিত করা হয়। ডোমার রেলস্টেশনের পোর্টার অলিয়ার রহমান বলেন, গ্রীষ্মকালীন সময়সূচিতে ট্রেনটি ১০ জুলাই থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ডোমারের জন্য ১০টি আসনও বরাদ্দ করা হয়। দলীয় কোন্দলের কারণে এটা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
সাংসদ হামিদা বানু বলেন, ‘ট্রেনটি আমার উদ্বোধন করার কথা ছিল। উদ্বোধন উপলক্ষে রাজশাহী থেকে চারজন কর্মকর্তাসহ রেলের মহাব্যবস্থাপক পার্বতীপুর পর্যন্ত এসেছিলেন। কারও ইঙ্গিতে ট্রেনটির চলাচল স্থগিত হয়েছে।’ কার ইঙ্গিতে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নীলফামারী থেকে আমাদের দলীয় লোকজন এটা করেছে এবং সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী এর সঙ্গে জড়িত।’
সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, ‘ট্রেনটি বন্ধের ব্যাপারে আমার কোনো হাত ছিল না। ১০ তারিখ ট্রেনটি চালু হওয়ারও কথা ছিল না। ট্রায়াল রিপোর্ট করার জন্য রাজশাহী থেকে রেলের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। আমি ১৪ জুলাই সংসদে রেলমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, ঈদের আগেই মন্ত্রী দিয়ে ট্রেনটির উদ্বোধন করা হবে।’
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালের ১ ডিসেম্বর নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশন থেকে। তখন থেকে ট্রেনটি চলাচল করত নীলফামারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত। ট্রেনটির যাত্রাকালে দাবি ওঠে জেলার সীমান্ত এলাকা চিলাহাটি থেকে চলাচলের। কিন্তু রেলপথের দুরবস্থা এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে সে সময় ট্রেনটি চিলাহাটি পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ (আওয়ামী লীগ) হামিদা বানু আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন বলে দলের পক্ষে ডোমার ও চিলাহাটিতে মাইকিং করা হয়। কোনো প্রচারণা না চালালেও চিলাহাটিতে ট্রেনটির উদ্বোধন করার জন্য নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাংসদ (জাপা) জাফর ইকবাল সিদ্দিকী ১০ জুলাই সকালে নীলসাগর এক্সপ্রেসে চড়ে ঢাকা থেকে চিলাহাটি আসার কথা ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুই সাংসদের উদ্বোধন নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ট্রেনটির ১০ জুলাইয়ের যাত্রা কোনো কারণ ছাড়াই স্থগিত হয়ে যায়।
ডোমার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ডোমার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, দুই সাংসদের উদ্বোধন-প্রতিযোগিতার কারণে ট্রেনটি চালু হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অতীতেও দেখেছি, শহীদ মিনারে কে আগে ফুল দেবেন—এ নিয়ে দুই সাংসদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। আমরা দুই সাংসদের প্রতিযোগিতা দেখতে চাই না। ট্রেনটা কবে চালু হবে সেটা দেখতে চাই।’
চিলাহাটি রেলস্টেশনের মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু ৯ জুলাই রাতে কোনো কারণ না দেখিয়ে তা স্থগিত করা হয়। ডোমার রেলস্টেশনের পোর্টার অলিয়ার রহমান বলেন, গ্রীষ্মকালীন সময়সূচিতে ট্রেনটি ১০ জুলাই থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ডোমারের জন্য ১০টি আসনও বরাদ্দ করা হয়। দলীয় কোন্দলের কারণে এটা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
সাংসদ হামিদা বানু বলেন, ‘ট্রেনটি আমার উদ্বোধন করার কথা ছিল। উদ্বোধন উপলক্ষে রাজশাহী থেকে চারজন কর্মকর্তাসহ রেলের মহাব্যবস্থাপক পার্বতীপুর পর্যন্ত এসেছিলেন। কারও ইঙ্গিতে ট্রেনটির চলাচল স্থগিত হয়েছে।’ কার ইঙ্গিতে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নীলফামারী থেকে আমাদের দলীয় লোকজন এটা করেছে এবং সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী এর সঙ্গে জড়িত।’
সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, ‘ট্রেনটি বন্ধের ব্যাপারে আমার কোনো হাত ছিল না। ১০ তারিখ ট্রেনটি চালু হওয়ারও কথা ছিল না। ট্রায়াল রিপোর্ট করার জন্য রাজশাহী থেকে রেলের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। আমি ১৪ জুলাই সংসদে রেলমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, ঈদের আগেই মন্ত্রী দিয়ে ট্রেনটির উদ্বোধন করা হবে।’
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালের ১ ডিসেম্বর নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশন থেকে। তখন থেকে ট্রেনটি চলাচল করত নীলফামারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত। ট্রেনটির যাত্রাকালে দাবি ওঠে জেলার সীমান্ত এলাকা চিলাহাটি থেকে চলাচলের। কিন্তু রেলপথের দুরবস্থা এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে সে সময় ট্রেনটি চিলাহাটি পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
No comments