শর্ত মানলে স্নোডেনকে আশ্রয় দেবে রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা
সংস্থা- সিআইএর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার কাছে
রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। লাতিন আমেরিকার কোনো দেশে যাওয়ার আগ পর্যন্ত
রাশিয়ার কাছে অস্থায়ী আশ্রয় চেয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার
মস্কোর শেরেমেতোভা বিমানবন্দরে মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ
আবেদন জানান। তবে 'যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি না করার' শর্ত মানলে স্নোডেনকে
থাকার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। স্নোডেনকে বহিষ্কার ও তাঁকে
উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহার না করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টেলিফোনে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে স্নোডেন প্রসঙ্গে আলোচনাও
করেছেন।
ইন্টারনেট ও টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির কথা ফাঁস করে দিয়ে স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের রোষের মুখে পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ তুলেছে মার্কিন সরকার। গত ২৩ জুন চীনের হংকং থেকে রাশিয়ায় যান স্নোডেন। এরপর থেকে মস্কোর শেরেমেতোভা বিমানবন্দরের ট্রানজিট একটি ক্যাপসুল হোটেলে অবস্থান করছেন তিনি। ভেনিজুয়েলা, নিকারাগুয়া ও বলিভিয়া স্নোডেনকে আশ্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে আশ্রয়ের কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায়, পাসপোর্ট না থাকায় ও রাশিয়ার ভিসা না থাকায় স্নোডেন মস্কো ছাড়তে পারছেন না। স্নোডেন কোন বিমানে আছেন খবর পেলে ইউরোপের দেশগুলো তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশের আশ্রয়ের আবেদন পাঠানোর সময় রাশিয়ার কাছেও আশ্রয় চেয়েছিলেন তিনি। পুতিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি না করার শর্ত মানলে স্নোডেনকে আশ্রয় দিতে রাজি আছেন তাঁরা। স্নোডেন তখন আবেদন প্রত্যাহার করেন। গত শুক্রবার স্নোডেন বলেন, 'আমি এখন অন্য কোথাও যেতে পারছি না। কাজেই রাশিয়ার প্রস্তাব মেনে নেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।' মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সদস্য তাতিয়ানা লকশিনা বলেন, 'পুতিনের শর্ত মানতে স্নোডেনের কোনো সমস্যা নেই। কারণ স্নোডেন মনে করেন, তথ্য ফাঁস করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি করেননি বা করছেনও না।' স্নোডেন ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে থাকা সব তথ্য উইকিলিকস বা অন্য কোনো সূত্রের কাছে হস্তান্তর করে ফেলেছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, 'নিজের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের আমেরিকান অংশীদার ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষতি পুরোপুরি বন্ধ করলে এবং সরাসরি আশ্রয়ের আবেদন করলে স্নোডেনকে রাশিয়ায় অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হবে।'
ওবামা গত শুক্রবার ফোনে পুতিনের সঙ্গে স্নোডেনের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার পক্ষ থেকে ফোনালাপের বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। ওবামা ফোন করার আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি বলেন, 'স্নোডেনকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহারের বিষয়টি রাশিয়ার নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। স্নোডেনকে আর যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে দেওয়া হবে না, রাশিয়ার এই দাবির সঙ্গেও তাদের কাজের মিল নেই।'
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মেরকোসুর গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির বিরুদ্ধে কঠিন সাইবার নিরাপত্তার আহ্বান জানিয়েছে অংশীদারদের প্রতি। স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তৃতীয় কোনো পক্ষের চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
ইন্টারনেট ও টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির কথা ফাঁস করে দিয়ে স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের রোষের মুখে পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ তুলেছে মার্কিন সরকার। গত ২৩ জুন চীনের হংকং থেকে রাশিয়ায় যান স্নোডেন। এরপর থেকে মস্কোর শেরেমেতোভা বিমানবন্দরের ট্রানজিট একটি ক্যাপসুল হোটেলে অবস্থান করছেন তিনি। ভেনিজুয়েলা, নিকারাগুয়া ও বলিভিয়া স্নোডেনকে আশ্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে আশ্রয়ের কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায়, পাসপোর্ট না থাকায় ও রাশিয়ার ভিসা না থাকায় স্নোডেন মস্কো ছাড়তে পারছেন না। স্নোডেন কোন বিমানে আছেন খবর পেলে ইউরোপের দেশগুলো তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশের আশ্রয়ের আবেদন পাঠানোর সময় রাশিয়ার কাছেও আশ্রয় চেয়েছিলেন তিনি। পুতিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি না করার শর্ত মানলে স্নোডেনকে আশ্রয় দিতে রাজি আছেন তাঁরা। স্নোডেন তখন আবেদন প্রত্যাহার করেন। গত শুক্রবার স্নোডেন বলেন, 'আমি এখন অন্য কোথাও যেতে পারছি না। কাজেই রাশিয়ার প্রস্তাব মেনে নেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।' মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সদস্য তাতিয়ানা লকশিনা বলেন, 'পুতিনের শর্ত মানতে স্নোডেনের কোনো সমস্যা নেই। কারণ স্নোডেন মনে করেন, তথ্য ফাঁস করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি করেননি বা করছেনও না।' স্নোডেন ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে থাকা সব তথ্য উইকিলিকস বা অন্য কোনো সূত্রের কাছে হস্তান্তর করে ফেলেছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, 'নিজের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের আমেরিকান অংশীদার ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষতি পুরোপুরি বন্ধ করলে এবং সরাসরি আশ্রয়ের আবেদন করলে স্নোডেনকে রাশিয়ায় অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হবে।'
ওবামা গত শুক্রবার ফোনে পুতিনের সঙ্গে স্নোডেনের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার পক্ষ থেকে ফোনালাপের বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। ওবামা ফোন করার আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি বলেন, 'স্নোডেনকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহারের বিষয়টি রাশিয়ার নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। স্নোডেনকে আর যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে দেওয়া হবে না, রাশিয়ার এই দাবির সঙ্গেও তাদের কাজের মিল নেই।'
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মেরকোসুর গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির বিরুদ্ধে কঠিন সাইবার নিরাপত্তার আহ্বান জানিয়েছে অংশীদারদের প্রতি। স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তৃতীয় কোনো পক্ষের চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments