আওয়ামী লীগে আপাতত ঐক্য! by মিঠুন চৌধুরী
পাশাপাশি বসে ওয়ার্ড সম্মেলন পরিচালনা
করছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও
গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন। দলের আরেক নেতা সাংসদ নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমে
মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিজের নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বর্ধিত সভায়ও একযোগে অংশ নিচ্ছেন তিন নেতার অনুসারীরা।
তৃণমূলের সম্মেলন ঘিরে নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দৃশ্যত ঐক্যের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। তবে এই নীতিগত ঐক্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকবে কি না, তা দেখতে আরও ‘অপেক্ষা’ করতে হবে বলে মনে করেন নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্র জানায়, গত মে মাসে ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন শুরু হয়। তখন নগরের শীর্ষ নেতাদের পছন্দের ব্যক্তিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। এতে বিভিন্ন সাংগঠনিক ওয়ার্ডে দলাদলি বেড়ে যায়। কয়েকটি ওয়ার্ড সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরে নগরের শীর্ষ নেতারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন।
এই উদ্যোগের পর গত মে ও জুন মাসে নগরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড সম্মেলনে মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফছারুল আমীনকে এক মঞ্চে দেখা গেছে। আফছারুল আমীন ঢাকা থাকায় এবং নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাংসদ নুরুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় গত শুক্রবার বর্ধিত সভায় না এলেও তিন পক্ষের অনুসারীরাই উপস্থিত ছিলেন। এই ঐক্য ধরে রেখে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সফল হতে চান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টির সম্মেলন শেষ। আরও ১৬টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের তারিখ গত শুক্রবারের বর্ধিত সভায় নির্ধারিত হয়েছে। চলতি রমজান মাসে সব ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করে থানা ও মহানগরের সম্মেলন করা হবে। ঈদের পর জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বা আগস্টের শুরুতে মহানগরে সম্মেলন করার লক্ষ্য আছে।
নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আফছারুল আমীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী। এই ঐক্যকে নীতিগত আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এখন গঠনতান্ত্রিকভাবে চলার প্রশ্ন এসেছে। দলের ঐক্য ও গঠনতন্ত্র অনুসরণ করার বিষয়টি সবাই অনুধাবনও করেছেন। বড় সংগঠনে কৌশলগত কারণে দ্বিমত থাকলেও নীতির প্রশ্নে ঐক্য হতে হবে।’
তৃণমূল সম্মেলন শেষ করে নগর সম্মেলন করতে না পারলে কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই নেতাদের ঐক্য কি না—প্রশ্ন করা হলে আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগে কখনোই বড় কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। রাগ, ক্ষোভ ও যন্ত্রণা ছিল। এখন সবার মধ্যে সুসম্পর্ক আছে।’ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই ঐক্য থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।
নগরের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্ধারিত হচ্ছে। কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে সঠিক ব্যক্তিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করছেন। এবারের সম্মেলনগুলোতে টাকা কিংবা পেশিশক্তির প্রভাব নেই।’
এদিকে বিভিন্ন সাংগঠনিক ওয়ার্ডে নির্বাচন হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতারা। গত ১৭ জুন এনায়েত বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির চর্চা শুরু হয়েছে। এতে নেতাদের প্রতি আমাদের আস্থা বাড়বে।’
তৃণমূলের সম্মেলন ঘিরে নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দৃশ্যত ঐক্যের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। তবে এই নীতিগত ঐক্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকবে কি না, তা দেখতে আরও ‘অপেক্ষা’ করতে হবে বলে মনে করেন নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্র জানায়, গত মে মাসে ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন শুরু হয়। তখন নগরের শীর্ষ নেতাদের পছন্দের ব্যক্তিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। এতে বিভিন্ন সাংগঠনিক ওয়ার্ডে দলাদলি বেড়ে যায়। কয়েকটি ওয়ার্ড সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরে নগরের শীর্ষ নেতারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন।
এই উদ্যোগের পর গত মে ও জুন মাসে নগরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড সম্মেলনে মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফছারুল আমীনকে এক মঞ্চে দেখা গেছে। আফছারুল আমীন ঢাকা থাকায় এবং নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাংসদ নুরুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় গত শুক্রবার বর্ধিত সভায় না এলেও তিন পক্ষের অনুসারীরাই উপস্থিত ছিলেন। এই ঐক্য ধরে রেখে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সফল হতে চান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টির সম্মেলন শেষ। আরও ১৬টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের তারিখ গত শুক্রবারের বর্ধিত সভায় নির্ধারিত হয়েছে। চলতি রমজান মাসে সব ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করে থানা ও মহানগরের সম্মেলন করা হবে। ঈদের পর জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বা আগস্টের শুরুতে মহানগরে সম্মেলন করার লক্ষ্য আছে।
নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আফছারুল আমীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী। এই ঐক্যকে নীতিগত আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এখন গঠনতান্ত্রিকভাবে চলার প্রশ্ন এসেছে। দলের ঐক্য ও গঠনতন্ত্র অনুসরণ করার বিষয়টি সবাই অনুধাবনও করেছেন। বড় সংগঠনে কৌশলগত কারণে দ্বিমত থাকলেও নীতির প্রশ্নে ঐক্য হতে হবে।’
তৃণমূল সম্মেলন শেষ করে নগর সম্মেলন করতে না পারলে কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই নেতাদের ঐক্য কি না—প্রশ্ন করা হলে আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগে কখনোই বড় কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। রাগ, ক্ষোভ ও যন্ত্রণা ছিল। এখন সবার মধ্যে সুসম্পর্ক আছে।’ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই ঐক্য থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।
নগরের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্ধারিত হচ্ছে। কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে সঠিক ব্যক্তিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করছেন। এবারের সম্মেলনগুলোতে টাকা কিংবা পেশিশক্তির প্রভাব নেই।’
এদিকে বিভিন্ন সাংগঠনিক ওয়ার্ডে নির্বাচন হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতারা। গত ১৭ জুন এনায়েত বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির চর্চা শুরু হয়েছে। এতে নেতাদের প্রতি আমাদের আস্থা বাড়বে।’
No comments