মেধাবী মুখ শীর্ষে মনজিমা by জাহিদ হোসাইন খান
ছোটবেলার সেই কার্টুন চরিত্র ক্যাপ্টেন
প্ল্যানেটের কথা মনে আছে? সেই যে উড়ন্ত শক্তিশালী মানব তার বন্ধুদের নিয়ে
পৃথিবীকে বাঁচাতে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়াত। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে
পরিবেশরক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ত।
ছোটবেলার স্বপ্নে অনেকেই
নিজেকে তো সুপার হিরো ভাবতে পছন্দ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
মনজিমা হক শোভা নাকি ছোটবেলা থেকেই ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট হতে চাইতেন। ইচ্ছে
তাঁর, ‘ক্যাপ্টেন প্ল্যানেটের মতো কিছু করতে চাই। পৃথিবীর জন্য কাজ করতে
চাই। দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে চাই।’ কথা বলছিলাম ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষের
শিক্ষার্থী মনজিমার সঙ্গে। ২০১০ সালের স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় তিনি সিজিপিএ
পান ৩.৮১, যার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম সমাবর্তনে তিনি
রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ প্রসঙ্গে মনজিমা বলেন,
‘অবিশ্বাস্য ছিল ঘটনাটি। ২০১১ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক বিভাগের স্নাতক সম্মানে প্রথম স্থান অধিকারীকে স্বর্ণপদক দেওয়ার
ঘোষণা দেওয়া হয়। আর প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত এই স্বর্ণপদকটি প্রথম আমিই
লাভ করি। স্বর্ণপদক ঘোষণার দিন আনন্দে ঘুমাতে পারিনি।’ শুধুই স্নাতক
পরীক্ষার ফলাফলে তাক লাগিয়ে দেননি মনজিমা, স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় লাভ করেন
সিজিপিএ ৩.৯৭। দুই পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রথম হন তিনি। তিন
গোয়েন্দা গল্প পড়ে নাকি তাঁর দুঁদে গোয়েন্দা হতে ইচ্ছে করত। আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ নম্বরধারী এই শিক্ষার্থী কূটনীতিবিদ হতে চান
না! ভবিষ্যতের পেশা সম্পর্কে বলেন, ‘গবেষক হতে চাই। কূটনৈতিক পেশার থেকে
বেশ মজাদার হচ্ছে কূটনীতির নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করা।’
শুধুই পড়াশোনাতে তাক লাগিয়েছেন মনজিমা, এ কথা মনে হয় তাঁর বেলায় খাটে না। ও লেভেল উত্তীর্ণ ও লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ লাভ করা মনজিমা ছোটবেলায় শিখেছেন গান। চার বছর নজরুল সংগীত শিখেছেন বেণুকা ললিতকলা একাডেমি থেকে।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মনজিমা বলেন, ‘আগে সারা দিনই আড্ডা দিতাম। এখন ভার্চুয়াল আড্ডা দিই আর বিকেলবেলা নিজের সবুজ ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে চলে যাই।’
আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষক রুমানা মন্জুর একবার তাঁকে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়েটি যেন তোমার মতো হয়।’ এটাই নাকি মনজিমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। নিজের কাজের মাধ্যমে যেন সবাই তাঁকে চেনে, এটাই তাঁর স্বপ্ন।
শুধুই পড়াশোনাতে তাক লাগিয়েছেন মনজিমা, এ কথা মনে হয় তাঁর বেলায় খাটে না। ও লেভেল উত্তীর্ণ ও লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ লাভ করা মনজিমা ছোটবেলায় শিখেছেন গান। চার বছর নজরুল সংগীত শিখেছেন বেণুকা ললিতকলা একাডেমি থেকে।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মনজিমা বলেন, ‘আগে সারা দিনই আড্ডা দিতাম। এখন ভার্চুয়াল আড্ডা দিই আর বিকেলবেলা নিজের সবুজ ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে চলে যাই।’
আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষক রুমানা মন্জুর একবার তাঁকে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়েটি যেন তোমার মতো হয়।’ এটাই নাকি মনজিমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। নিজের কাজের মাধ্যমে যেন সবাই তাঁকে চেনে, এটাই তাঁর স্বপ্ন।
No comments