চার কারণে আ. লীগ যায়নি
রাজনীতিকদের সম্মানে বিএনপি চেয়ারপারসন
আয়োজিত ইফতারে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা পাল্টে ফেলে
আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার ওই ইফতার অনুষ্ঠানে যাননি আওয়ামী লীগ নেতারা।
অথচ আগের দিন দলটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপির ইফতারে অংশ নেওয়ার।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ
এরশাদও বিরোধীদলীয় নেতার ইফতারে যোগ দেননি। গতকাল বিকেলেই তিন দিনের সফরে
তিনি রংপুরে চলে যান। তবে কাজী জাফরসহ জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধিদল
বিএনপির ইফতারে অংশ নেয়।
এ সিদ্ধান্ত বদলানোর কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা থাকবেন, এ কারণেই সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যাননি। এ ছাড়া আর কোনো কারণ নেই।' সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিষয়টি ভাবেননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এত কিছু ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরে যখন বিষয়টি উঠে আসে তখন আমরা এ সিদ্ধান্ত নিই।'
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির ইফতারে জামায়াত নেতারা থাকবেন- এটা জেনেই সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির ইফতারে যাননি আওয়ামী লীগ নেতারা। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, পাঁচ সিটিতে পরাজয়ের পর বিএনপির ইফতারে যোগ দিলে জনমনে নানা রকম ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। কেউ কেউ মনে করতে পারে, আওয়ামী লীগ আপসের পথ বেছে নিয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এ ছাড়া বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি মন্তব্যও শাসক দলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। গতকাল সকালে মওদুদ বলেন, আপস না করলে সরকার হারিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের অন্য একটি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সৌজন্যে বিএনপি এ ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও তাতে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটাও সিদ্ধান্ত বদলানোর একটি কারণ হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, 'বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার কারণে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবার দাওয়াত দিইনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবেও দাওয়াত পাননি শেখ হাসিনা।'
জানা যায়, এক দিন আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের সাধারণ সম্পাদককে বিএনপির ইফতারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও ঠিক করা হয়। কিন্তু পরদিনই সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়।
এদিকে, খালেদা জিয়ার ইফতার পার্টিতে এরশাদের যোগ না দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবুল গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আগে থেকেই রংপুর সফরের কর্মসূচি ছিলো। এ কারণেই তিনি বিরোধীদলীয় নেতার ইফতারে যেতে পারেননি। তবে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল এতে অংশ নিয়েছে।'
এ সিদ্ধান্ত বদলানোর কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা থাকবেন, এ কারণেই সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যাননি। এ ছাড়া আর কোনো কারণ নেই।' সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিষয়টি ভাবেননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এত কিছু ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরে যখন বিষয়টি উঠে আসে তখন আমরা এ সিদ্ধান্ত নিই।'
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির ইফতারে জামায়াত নেতারা থাকবেন- এটা জেনেই সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির ইফতারে যাননি আওয়ামী লীগ নেতারা। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, পাঁচ সিটিতে পরাজয়ের পর বিএনপির ইফতারে যোগ দিলে জনমনে নানা রকম ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। কেউ কেউ মনে করতে পারে, আওয়ামী লীগ আপসের পথ বেছে নিয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এ ছাড়া বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি মন্তব্যও শাসক দলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। গতকাল সকালে মওদুদ বলেন, আপস না করলে সরকার হারিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের অন্য একটি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সৌজন্যে বিএনপি এ ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও তাতে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটাও সিদ্ধান্ত বদলানোর একটি কারণ হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, 'বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার কারণে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবার দাওয়াত দিইনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবেও দাওয়াত পাননি শেখ হাসিনা।'
জানা যায়, এক দিন আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের সাধারণ সম্পাদককে বিএনপির ইফতারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও ঠিক করা হয়। কিন্তু পরদিনই সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়।
এদিকে, খালেদা জিয়ার ইফতার পার্টিতে এরশাদের যোগ না দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবুল গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আগে থেকেই রংপুর সফরের কর্মসূচি ছিলো। এ কারণেই তিনি বিরোধীদলীয় নেতার ইফতারে যেতে পারেননি। তবে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল এতে অংশ নিয়েছে।'
No comments