কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয় ডিসিসি নির্বাচন-জটিলতা
বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি)
নির্বাচন নিয়ে নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের
সচিব বলেছেন, সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা
সিটি করপোরেশন নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন হলো, সীমানা
নির্ধারণসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দায়িত্ব কার? স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়
এই কাজ এত দিন কেন করল না? তাদের ব্যর্থতা বা একগুঁয়েমির কারণে বছরের পর
বছর ডিসিসি নির্বাচন আটকে থাকতে পারে না।
স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের দ্বৈত নীতি স্পষ্ট। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তারা চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করেছে। অথচ মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় বছর পরও ডিসিসি নির্বাচন আটকে রাখা হয়েছে। ২০১১ সালে জনমত উপেক্ষা করে সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দক্ষিণ ও উত্তর দুই ভাগে বিভক্ত করলেও নির্বাচন করার অন্তরায়গুলো দূর করেনি। ফলে ডিসিসি নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
ডিসিসি ভাগ করার সময় জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন সেবাদানকারীদেরই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার একদিকে দাবি করছে, তাদের আমলে সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, অন্যদিকে নানা ছলছুতায় ডিসিসি নির্বাচন আটকে রাখা হয়েছে। এটি চরম স্ববিরোধিতা। আগের কথা বাদ দিলেও গত সাড়ে চার বছরে ডিসিসির নির্বাচন না হওয়ার দায় তারা এড়াতে পারে না। ২০১২ সালে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেও নির্বাচন করতে পারেনি আদালতে মামলার কারণে। সেই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরও নির্বাচন না হওয়ায় বিরোধী দলের অভিযোগই মানুষ সত্য বলে ধরে নেবে। বিশেষ করে পাঁচ সিটি করপোরেশনে সরকারি দলের ভরাডুবির পর।
কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল, উচ্চ আদালতে রিটের নিষ্পত্তির পর ডিসিসির নির্বাচনে আর বাধা নেই। এখন হঠাৎ বাধা এলে মানুষের মধ্যে সরকারের সদিচ্ছা সম্পর্কে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হবে। সরকার যেখানে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চায়, সেখানে ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকার চাইলে সীমানানির্ধারণ-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন কঠিন নয়। ডিসিসি নির্বাচনের ব্যাপারে ঢাকাবাসী কোনো অজুহাতই শুনতে রাজি নয়। তারা চায়, অবিলম্বে তফসিল ঘোষণা করা হোক।
সহযোগী পত্রিকা শিরোনাম করেছে, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা থাকলেও সাহস নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করেই তারা সেই সাহসের প্রমাণ দিতে পারে। অন্যথায় পাঁচ সিটি করপোরেশনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে কমিশন যে সুনাম অর্জন করেছিল, তা কেবল ভূলুণ্ঠিতই হবে না, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে সংশয় ও সন্দেহ আছে, তা আরও ঘনীভূত হবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাই অসম্ভব হয়ে পড়বে।
স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের দ্বৈত নীতি স্পষ্ট। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তারা চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করেছে। অথচ মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় বছর পরও ডিসিসি নির্বাচন আটকে রাখা হয়েছে। ২০১১ সালে জনমত উপেক্ষা করে সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দক্ষিণ ও উত্তর দুই ভাগে বিভক্ত করলেও নির্বাচন করার অন্তরায়গুলো দূর করেনি। ফলে ডিসিসি নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
ডিসিসি ভাগ করার সময় জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন সেবাদানকারীদেরই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার একদিকে দাবি করছে, তাদের আমলে সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, অন্যদিকে নানা ছলছুতায় ডিসিসি নির্বাচন আটকে রাখা হয়েছে। এটি চরম স্ববিরোধিতা। আগের কথা বাদ দিলেও গত সাড়ে চার বছরে ডিসিসির নির্বাচন না হওয়ার দায় তারা এড়াতে পারে না। ২০১২ সালে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেও নির্বাচন করতে পারেনি আদালতে মামলার কারণে। সেই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরও নির্বাচন না হওয়ায় বিরোধী দলের অভিযোগই মানুষ সত্য বলে ধরে নেবে। বিশেষ করে পাঁচ সিটি করপোরেশনে সরকারি দলের ভরাডুবির পর।
কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল, উচ্চ আদালতে রিটের নিষ্পত্তির পর ডিসিসির নির্বাচনে আর বাধা নেই। এখন হঠাৎ বাধা এলে মানুষের মধ্যে সরকারের সদিচ্ছা সম্পর্কে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হবে। সরকার যেখানে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চায়, সেখানে ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকার চাইলে সীমানানির্ধারণ-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন কঠিন নয়। ডিসিসি নির্বাচনের ব্যাপারে ঢাকাবাসী কোনো অজুহাতই শুনতে রাজি নয়। তারা চায়, অবিলম্বে তফসিল ঘোষণা করা হোক।
সহযোগী পত্রিকা শিরোনাম করেছে, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা থাকলেও সাহস নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করেই তারা সেই সাহসের প্রমাণ দিতে পারে। অন্যথায় পাঁচ সিটি করপোরেশনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে কমিশন যে সুনাম অর্জন করেছিল, তা কেবল ভূলুণ্ঠিতই হবে না, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে সংশয় ও সন্দেহ আছে, তা আরও ঘনীভূত হবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাই অসম্ভব হয়ে পড়বে।
No comments