উন্নয়নের নামে পরিবেশের ক্ষতি বন্ধ হোক রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প
সরকারি ভাষ্যে ‘উন্নয়ন’ শব্দটি এমন এক
দায়মুক্তি অর্জন করেছে যে এর নামে যেকোনো অন্যায়কেও চালিয়ে নেওয়া যায়,
বৈধতা দেওয়া যায়। আবাসন প্রকল্প যদি উন্নয়ন হয়, তাহলে প্রশ্ন আসবে—সেটা কার
উন্নয়ন।
পূর্বাচল প্রকল্পের উন্নয়নের নামে গ্রামের পর
গ্রাম অধিগ্রহণ করা, সংরক্ষিত বন, কৃষিজমি, বিল ও বৃক্ষরাজি ধ্বংস করা
হচ্ছে। স্বয়ং রাজউক যখন খোলাখুলি মানুষের অধিকার ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে,
তখন উন্নয়নের ধ্বংসযজ্ঞের চেহারাটি পরিষ্কার হয়।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম ধ্বংস হবে যদি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প (কালীগঞ্জ) বাস্তবায়িত হয়। ইতিমধ্যে এর অংশ হিসেবে সেখানকার লক্ষাধিক গাছ কাটা হয়েছে। কাগজপত্রে ১২২ একর সংরক্ষিত বন অক্ষত রাখার কথা বলা হলেও কুঠারের ঘা সেখানেও পড়েছে। পাশাপাশি জলাধার আইন লঙ্ঘন করে ভরাট করা হচ্ছে প্রাকৃতিক বিল। মোট কথা, এই প্রকল্পের আওতায় সব কৃষিজমি, সব বৃক্ষরাজি ও জলাধার ধ্বংস করে সেখানে কংক্রিটের বিরাট বিরাট স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। দৃশ্যত পাঁচটি গ্রামের এক হাজার ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণের মামলা হলেও, শেষ পর্যন্ত তা ওই এলাকার গ্রামীণ অরণ্যবেষ্টিত কৃষি জনপদকেই উচ্ছেদ করবে। আর তা করা হবে শহুরে মানুষের জন্য কৃষি, কৃষক ও পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে। এ থেকে লাভবান হবে একশ্রেণীর ঠিকাদার ও নির্মাণ ব্যবসায়ী। সরকারি প্রতিষ্ঠান এভাবে মুষ্টিমেয় ব্যক্তির স্বার্থে বৃহত্তর জনগণের ক্ষতি করতে পারে না।
আর সবই করা হচ্ছে আইনের মারপ্যাঁচ কষে। ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতার মধ্যেও অনেক তফাত। গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে, হত্যার হুমকি দিয়ে যে মধ্যস্বত্বভোগীরা জুলুম করে গাছ কাটছে, রাজউকের উচিত তাদের বিষয়ে নজরদারি রাখা। এ প্রকল্পে আগে ২৫ বর্গকিলোমিটার লেককে ৪৫ বর্গকিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছিল, এখন তাহলে কেন বনের সংরক্ষণ করা যাবে না?
এ ধরনের পরিবেশবিধ্বংসী ‘উন্নয়ন’ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প পর্যালোচনা করা পরিবেশ ও প্রকৃতিলগ্ন মানুষের স্বার্থেই দরকার।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম ধ্বংস হবে যদি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প (কালীগঞ্জ) বাস্তবায়িত হয়। ইতিমধ্যে এর অংশ হিসেবে সেখানকার লক্ষাধিক গাছ কাটা হয়েছে। কাগজপত্রে ১২২ একর সংরক্ষিত বন অক্ষত রাখার কথা বলা হলেও কুঠারের ঘা সেখানেও পড়েছে। পাশাপাশি জলাধার আইন লঙ্ঘন করে ভরাট করা হচ্ছে প্রাকৃতিক বিল। মোট কথা, এই প্রকল্পের আওতায় সব কৃষিজমি, সব বৃক্ষরাজি ও জলাধার ধ্বংস করে সেখানে কংক্রিটের বিরাট বিরাট স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। দৃশ্যত পাঁচটি গ্রামের এক হাজার ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণের মামলা হলেও, শেষ পর্যন্ত তা ওই এলাকার গ্রামীণ অরণ্যবেষ্টিত কৃষি জনপদকেই উচ্ছেদ করবে। আর তা করা হবে শহুরে মানুষের জন্য কৃষি, কৃষক ও পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে। এ থেকে লাভবান হবে একশ্রেণীর ঠিকাদার ও নির্মাণ ব্যবসায়ী। সরকারি প্রতিষ্ঠান এভাবে মুষ্টিমেয় ব্যক্তির স্বার্থে বৃহত্তর জনগণের ক্ষতি করতে পারে না।
আর সবই করা হচ্ছে আইনের মারপ্যাঁচ কষে। ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতার মধ্যেও অনেক তফাত। গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে, হত্যার হুমকি দিয়ে যে মধ্যস্বত্বভোগীরা জুলুম করে গাছ কাটছে, রাজউকের উচিত তাদের বিষয়ে নজরদারি রাখা। এ প্রকল্পে আগে ২৫ বর্গকিলোমিটার লেককে ৪৫ বর্গকিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছিল, এখন তাহলে কেন বনের সংরক্ষণ করা যাবে না?
এ ধরনের পরিবেশবিধ্বংসী ‘উন্নয়ন’ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প পর্যালোচনা করা পরিবেশ ও প্রকৃতিলগ্ন মানুষের স্বার্থেই দরকার।
No comments