আল্লামা শফীর ওয়াজটি জঘন্য : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা বলেছেন, 'নারীদের নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর দেওয়া
বক্তব্য জঘন্য। আল্লামা শফীর একটা কথা দু-এক দিন ধরে টেলিভিশনে দেখছি।
তিনি
(শফী) যা বলেছেন, তা অত্যন্ত জঘন্য বলে আমি মনে করি। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের
সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে। অথচ উনি মেয়েদের সম্পর্কে
অত্যন্ত নোংরা ও জঘন্য কথা বলেছেন।' গতকাল শনিবার গণভবনে ভারতীয় ঋণে কেনা
৮৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অশোক লিল্যান্ড বাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের একটা ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধেও তো কেউ কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। যারা দুর্নীতি করেনি, যারা ক্লিন ইমেজের, তারা জিততে পারেনি।' সিটি নির্বাচনের এই ফল অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাহলে আমরা এই উন্নয়ন কেন করছি? কার জন্য করছি, যদি দুর্নীতিবাজরাই জিতে আসে? তাহলে এই জেতার রহস্যটা কী?' তিনি বলেন, 'শুনলাম জাতীয় ইস্যুর জন্য হেরে গেছি। জাতীয় ইস্যু কী? আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পারছি কি না?' প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, 'জাতীয় ইস্যুর জন্যই যদি হারব, তাহলে আমার প্রশ্ন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেল দুর্নীতি? আমাদের সরকার নাকি দুর্নীতি করেছে। তবে দুর্নীতি করে তো এত উন্নয়ন সম্ভব নয়।'
আগামী দিনে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করার বিষয়ে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি মনে করি, সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়া উচিত। আলটিমেটলি এটা দলীয়ভাবেই হয়। দলীয়ভাবে হলে একটা ডিসিপ্লিন থাকবে। ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে দলীয়ভাবেই হয়।
সদ্য সমাপ্ত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে 'সৎ' প্রার্থী দিয়েও ভোট না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, যারা সৎ এবং উন্নতি করেছে তারা ভোট পায়নি। যারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি আর খুনের সঙ্গে জড়িত, তারাই জিতে এলো। কেন তা হলো এর উত্তর নিজে জানেন না জানিয়ে তা খুঁজতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
'ওনার কি মা-বোন নেই' : আল্লামা শফীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'উনার কি মা নেই? উনি কি মায়ের পেট থেকে জন্মাননি? উনার কি বোন-স্ত্রী নেই? আমাদের মা-বোন-স্ত্রীদের সম্মান তো আমাদের রক্ষা করতে হবে।' আল্লামা শফী সেই ওয়াজে নারীদের লেখাপড়া এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধেও কথা বলেন। তিনি বলেন, মেয়েদের কাজ ঘরের ভেতর। তাদের কাজ স্বামীর ঘরের আসবাবপত্র দেখাশোনা করা ও ছেলে সন্তান লালনপালন করা। তাই তাদের 'ফউর-ফাইভ' শ্রেণীর বেশি পড়ানোর দরকার নেই। হেফাজত প্রধানের এ ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে দেশের নারীরা সোচ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেছিলেন বিবি খাদিজা এবং তিনি একজন মহিলা ছিলেন। এটা ওনার (শফী) মনে রাখা উচিত ছিল। আর ইসলাম ধর্মের জেহাদে প্রথম যে শহীদ হন তিনি বিবি সুমাইয়া। তাঁদের সম্পর্কে এই নোংরা আর জঘন্য কথা বলা, আবার এই নারী নেতৃত্বকে মেনে নেওয়া কেমন আচরণ?'
আওয়ামী লীগের অবস্থান ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা শালীনভাবে চলাফেরা করার পক্ষে। পোশাক পরিধেয়; কিন্তু দেশ-কাল-পাত্র হিসেবে, জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে পোশাক-পরিচ্ছদ। সব দেশের পোশাক তো এক না। আমি যদি শীতের দেশের পোশাক এখন পরি, আর গরমের পোশাক শীতের দেশে পরি তাহলে তো হবে না। যেখানে বালুর ঝড়, সেখানে মুখ ঢাকার ব্যবস্থা রাখতেই হয়।' তিনি বলেন, 'আমি বহুবার হজ করেছি। মাথার ওপর একটা ওড়না দিয়ে রাখতেই হয়। শালীনতার সঙ্গে সবাই চলবে এটা আমরা চাই।' জামায়াত অপপ্রচার চালাতে তাদের নারীকর্মীদের ব্যবহার করে বলেও শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের সফলতা তুলে ধরে বলেন, 'বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবার মান, শিক্ষার মান কিছুই তো কমেনি, বেড়েছে। তাহলে দুর্নীতি কোথায় হলো। হলমার্ক আর ডেসটিনি আমরা ধরলাম। আর, চোর ধরে আমরা অপরাধী হয়ে গেলাম?'
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিবরণও তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'গাজীপুর ইলেকশনে আমরা যাকে সাপোর্ট দিয়েছি সে তিনবারের পৌরসভা মেয়র। তার বিরুদ্ধে একটা দুর্নীতির কথা কেউ বলতে পারেনি। ক্লিন ইমেজের লোক। তাকে হারতে হলো! জিতল কে? ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যে হজের টাকা লুটে খেল। ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত। টাকা নিয়ে বসে থাকতে হবে, তাকে চাঁদার টাকা দিতে হবে।'
খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নতির পরও বিদায়ী মেয়রদের হারে হতাশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'খুলনার মেয়র নকশাল করত, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি। খুনের মামলার আসামি ছিল। খুলনায় মানিক সাহা, সাংবাদিক বালু এবং মঞ্জুরুল ইমাম থেকে যত মার্ডার হয়েছে এই আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি জড়িত। সে ভোট পায়। জিতে আসে!' ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত প্রার্থীরা কী কারণে হেরেছে, তা আরো খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের একটা ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধেও তো কেউ কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। যারা দুর্নীতি করেনি, যারা ক্লিন ইমেজের, তারা জিততে পারেনি।' সিটি নির্বাচনের এই ফল অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাহলে আমরা এই উন্নয়ন কেন করছি? কার জন্য করছি, যদি দুর্নীতিবাজরাই জিতে আসে? তাহলে এই জেতার রহস্যটা কী?' তিনি বলেন, 'শুনলাম জাতীয় ইস্যুর জন্য হেরে গেছি। জাতীয় ইস্যু কী? আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পারছি কি না?' প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, 'জাতীয় ইস্যুর জন্যই যদি হারব, তাহলে আমার প্রশ্ন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেল দুর্নীতি? আমাদের সরকার নাকি দুর্নীতি করেছে। তবে দুর্নীতি করে তো এত উন্নয়ন সম্ভব নয়।'
আগামী দিনে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করার বিষয়ে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি মনে করি, সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়া উচিত। আলটিমেটলি এটা দলীয়ভাবেই হয়। দলীয়ভাবে হলে একটা ডিসিপ্লিন থাকবে। ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে দলীয়ভাবেই হয়।
সদ্য সমাপ্ত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে 'সৎ' প্রার্থী দিয়েও ভোট না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, যারা সৎ এবং উন্নতি করেছে তারা ভোট পায়নি। যারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি আর খুনের সঙ্গে জড়িত, তারাই জিতে এলো। কেন তা হলো এর উত্তর নিজে জানেন না জানিয়ে তা খুঁজতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
'ওনার কি মা-বোন নেই' : আল্লামা শফীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'উনার কি মা নেই? উনি কি মায়ের পেট থেকে জন্মাননি? উনার কি বোন-স্ত্রী নেই? আমাদের মা-বোন-স্ত্রীদের সম্মান তো আমাদের রক্ষা করতে হবে।' আল্লামা শফী সেই ওয়াজে নারীদের লেখাপড়া এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধেও কথা বলেন। তিনি বলেন, মেয়েদের কাজ ঘরের ভেতর। তাদের কাজ স্বামীর ঘরের আসবাবপত্র দেখাশোনা করা ও ছেলে সন্তান লালনপালন করা। তাই তাদের 'ফউর-ফাইভ' শ্রেণীর বেশি পড়ানোর দরকার নেই। হেফাজত প্রধানের এ ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে দেশের নারীরা সোচ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেছিলেন বিবি খাদিজা এবং তিনি একজন মহিলা ছিলেন। এটা ওনার (শফী) মনে রাখা উচিত ছিল। আর ইসলাম ধর্মের জেহাদে প্রথম যে শহীদ হন তিনি বিবি সুমাইয়া। তাঁদের সম্পর্কে এই নোংরা আর জঘন্য কথা বলা, আবার এই নারী নেতৃত্বকে মেনে নেওয়া কেমন আচরণ?'
আওয়ামী লীগের অবস্থান ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা শালীনভাবে চলাফেরা করার পক্ষে। পোশাক পরিধেয়; কিন্তু দেশ-কাল-পাত্র হিসেবে, জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে পোশাক-পরিচ্ছদ। সব দেশের পোশাক তো এক না। আমি যদি শীতের দেশের পোশাক এখন পরি, আর গরমের পোশাক শীতের দেশে পরি তাহলে তো হবে না। যেখানে বালুর ঝড়, সেখানে মুখ ঢাকার ব্যবস্থা রাখতেই হয়।' তিনি বলেন, 'আমি বহুবার হজ করেছি। মাথার ওপর একটা ওড়না দিয়ে রাখতেই হয়। শালীনতার সঙ্গে সবাই চলবে এটা আমরা চাই।' জামায়াত অপপ্রচার চালাতে তাদের নারীকর্মীদের ব্যবহার করে বলেও শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের সফলতা তুলে ধরে বলেন, 'বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবার মান, শিক্ষার মান কিছুই তো কমেনি, বেড়েছে। তাহলে দুর্নীতি কোথায় হলো। হলমার্ক আর ডেসটিনি আমরা ধরলাম। আর, চোর ধরে আমরা অপরাধী হয়ে গেলাম?'
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিবরণও তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'গাজীপুর ইলেকশনে আমরা যাকে সাপোর্ট দিয়েছি সে তিনবারের পৌরসভা মেয়র। তার বিরুদ্ধে একটা দুর্নীতির কথা কেউ বলতে পারেনি। ক্লিন ইমেজের লোক। তাকে হারতে হলো! জিতল কে? ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যে হজের টাকা লুটে খেল। ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত। টাকা নিয়ে বসে থাকতে হবে, তাকে চাঁদার টাকা দিতে হবে।'
খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নতির পরও বিদায়ী মেয়রদের হারে হতাশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'খুলনার মেয়র নকশাল করত, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি। খুনের মামলার আসামি ছিল। খুলনায় মানিক সাহা, সাংবাদিক বালু এবং মঞ্জুরুল ইমাম থেকে যত মার্ডার হয়েছে এই আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি জড়িত। সে ভোট পায়। জিতে আসে!' ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত প্রার্থীরা কী কারণে হেরেছে, তা আরো খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
No comments