বাজারে অরাজকতা-দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নিন
ছুটির দিন থাকায় শুক্রবার বাজারে ক্রেতার
ভিড় ছিল বেশি। আর সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এক দিন আগে যে
কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১০০ টাকা, শুক্রবারে তা বিক্রি হয়েছে ২০০
থেকে ২৩০ টাকায়।
বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়,
যা আগের দিন ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ রকম লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়েছে প্রায়
প্রতিটি সবজির। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়েছে মাছ, মাংস, তেল, পেঁয়াজ
ও রসুনেরও। কেন? কোনো কারণ জানা নেই। দাম বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের
কিছু মুখস্থ অজুহাত থাকে। যেমন- হরতাল কিংবা বৃষ্টির কারণে মাল আসতে
পারেনি। কিছুদিন আগে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোকেও অজুহাত বানানো হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারের কথাও বলা হয় কখনো কখনো। কিন্তু বৃহস্পতি ও শুক্রবারের
মাঝখানে এমন কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেনি যে বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম
দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। এটি নিতান্তই লোভী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। এটি
অত্যন্ত নিন্দনীয়।
দ্রব্যমূল্য, বিশেষ করে মাছ, মাংস, তরিতরকারির দাম আগেই যে হারে বেড়েছে তাতে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবনে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তার ওপর পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ প্রত্যেক মানুষ চায় পরিবারের জন্য একটু ভালো কিছু জোগাড় করতে। কিন্তু ব্যবসার নামে যদি প্রকাশ্যে এ রকম অনাচার চলে, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার মধ্যেই কী সরকারের দায়িত্ব শেষ? শুক্রবার সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কিছুই বিক্রি হয়নি। যদি কার্যকর করা না যায়, তাহলে এমন দাম বেঁধে দেওয়ার অর্থ কী? দাম নির্ধারণ করা হলে তা বাস্তবায়ন করারও দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিদিনের অবস্থা পর্যালোচনা করে অর্থাৎ কেনা দাম, পরিবহন, আনুষঙ্গিক খরচ ও যৌক্তিক লাভ হিসাব করে ঢাকার কাঁচাবাজারে দাম নির্ধারণ হোক। কিন্তু যে দাম নির্ধারণ করা হবে ব্যবসায়ীদের সে দামেই বিক্রি করতে হবে। কেউ এর অন্যথা করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্তত রোজার মাসে রাজধানীর প্রতিটি বাজার ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হোক।
বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক আলোচনা হয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা টিসিবিকে আরো সক্রিয় করার পরামর্শ দিয়েছেন। রেশন প্রথা আবার চালু করার কথা বলেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ছোট-বড় নানা রকম ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কাজ করে বলে সরকারের মন্ত্রী-আমলারাও অভিযোগ করে থাকেন। কিন্তু টিসিবিকে নিধিরাম সর্দার করে রাখায় তারাই কি লাভবান হচ্ছে না? দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। আবারও প্রতিশ্রুতি প্রদানের সময় এসে গেছে। জনগণ কি প্রতিশ্রুতি প্রদান ও বাস্তবায়নের ফারাকটা মিলিয়ে দেখবে না?
দ্রব্যমূল্য, বিশেষ করে মাছ, মাংস, তরিতরকারির দাম আগেই যে হারে বেড়েছে তাতে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবনে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তার ওপর পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ প্রত্যেক মানুষ চায় পরিবারের জন্য একটু ভালো কিছু জোগাড় করতে। কিন্তু ব্যবসার নামে যদি প্রকাশ্যে এ রকম অনাচার চলে, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার মধ্যেই কী সরকারের দায়িত্ব শেষ? শুক্রবার সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কিছুই বিক্রি হয়নি। যদি কার্যকর করা না যায়, তাহলে এমন দাম বেঁধে দেওয়ার অর্থ কী? দাম নির্ধারণ করা হলে তা বাস্তবায়ন করারও দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিদিনের অবস্থা পর্যালোচনা করে অর্থাৎ কেনা দাম, পরিবহন, আনুষঙ্গিক খরচ ও যৌক্তিক লাভ হিসাব করে ঢাকার কাঁচাবাজারে দাম নির্ধারণ হোক। কিন্তু যে দাম নির্ধারণ করা হবে ব্যবসায়ীদের সে দামেই বিক্রি করতে হবে। কেউ এর অন্যথা করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্তত রোজার মাসে রাজধানীর প্রতিটি বাজার ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হোক।
বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক আলোচনা হয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা টিসিবিকে আরো সক্রিয় করার পরামর্শ দিয়েছেন। রেশন প্রথা আবার চালু করার কথা বলেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ছোট-বড় নানা রকম ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কাজ করে বলে সরকারের মন্ত্রী-আমলারাও অভিযোগ করে থাকেন। কিন্তু টিসিবিকে নিধিরাম সর্দার করে রাখায় তারাই কি লাভবান হচ্ছে না? দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। আবারও প্রতিশ্রুতি প্রদানের সময় এসে গেছে। জনগণ কি প্রতিশ্রুতি প্রদান ও বাস্তবায়নের ফারাকটা মিলিয়ে দেখবে না?
No comments