বাধা পেরিয়ে সফল যারা
তিন ভাইবোনের মধ্যে শান্ত শেখ তৃতীয়। বাবা
একজন কৃষক। মা গৃহিণী। বাবার আয়েই চলে সংসার। অভাবের সংসারে ঠিকমতো খাবারই
জোটে না তাদের। এমনও দিন গেছে, দুবেলা খেতে পায়নি তারা।
কিন্তু
নিজের পড়াশোনার কোনো ঘাটতি হতে দেয়নি শান্ত। বাবা-মায়ের পরিশ্রম আর
ভালোবাসার মান রেখেছে সে। বগুড়ার এই শিক্ষার্থী এ বছর কালীপাড়া
উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেন জিপিএ-৫।
‘অভাবের সংসারে বেড়ে উঠলেও ফলাফল দেখে সেদিন বাবা-মা খুব খুশি হয়েছিলেন। মা তো কেঁদেই ফেলেছিলেন। নিজেরও অনেক ভালো লেগেছে তাদের মুখে হাসি দেখে।’ এভাবেই নিজের কথাগুলো বলছিল শান্ত শেখ।
শান্তর মতো অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা আরেক শিক্ষার্থী সুস্মিতা সেন। চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ নালাপাড়ার এই শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে জিপিএ-৫ পেয়ে। সুস্মিতার বাবা কাজ করেন একটি ছাপাখানায়। এখানে উপার্জিত অর্থে কোনো রকমে চলে সুস্মিতাদের চারজনের সংসার। ইচ্ছে হলেও কোনো দিন ভালো কিছু চাইতে পারেনি মা-বাবার কাছে। কারণ, ছোট বয়সেই সুস্মিতা বুঝে নেয় তার সব আবদার মেটানোর সামর্থ্য মা-বাবার নেই। তাই অনেক কিছুই চেপে যেত সে। সন্তানকে শখের কিছু না দিতে পেরে নাকি খারাপ লাগত তার মা-বাবারও। সেই সুস্মিতার এমন ফলাফলে মা-বাবা যেন ঠিক থাকতে পারলেন না। আনন্দাশ্রু বেরিয়ে এল চোখ ঠিকরে।
এমনই ২০০ বাস্তব গল্প দিয়ে মোড়ানো হলো একটি দিন। রাজধানীর মহাখালী কমিউনিটি সেন্টারে ম্যাডোনা গ্রুপের আয়োজনে ৬ জুলাই আয়োজন করা হয় অদম্য মেধাবীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠান। সেখানেই জানা হলো সারা দেশের এই ২০০ শিক্ষার্থীর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়ার গল্প। সংবর্ধনার পাশাপাশি এসব অদম্য মেধাবীর হাতে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি ও বই কেনা বাবদ এককালীন আট হাজার টাকা করে তুলে দেন আয়োজকেরা।
অনুষ্ঠানে ম্যাডোনা গ্রুপের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বলেন, ‘অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থীরাই জানে এটা কত কষ্টের। পদে পদে প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এগিয়ে আসা সবার দ্বারা সম্ভব হয় না। এটা যারা পারে, তারা আসলেই অদম্য। তাদের প্রয়োজনের তুলনায় এই বৃত্তি খুবই কম। তবু তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই বলেই কয়েক বছর ধরে এই আয়োজন করে যাচ্ছি।’
২০১০ সাল থেকে অদম্য মেধাবীদের এই বৃত্তি দিচ্ছে ম্যাডোনা গ্রুপ। এককালীন আট হাজার টাকা করে মোট ১৬ লাখ টাকার বৃত্তি দেওয়া হয় তাঁদের।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বর দয়াময়ি পাইলট একাডেমি থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী মাহফুজার রহমান বলল, ‘এই টাকাটা পেয়ে ভালো হলো।
কৃষক বাবার অর্থের জোগানে চলে আমার লেখাপড়া। কলেজে ভর্তি আর বই কেনার টাকার ধকলটা বাবাকে নিতে হবে না। কর্মজীবনে প্রবেশ করে আমিও এমন অসচ্ছল মেধাবীদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
তার মতো একই কথা মনে মনে পুষে রাখছে অদম্য মেধাবী রাকিবুল ইসলাম, আমিনুল বা জাকারিয়া মাসুদ।
শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে সেদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, প্রাবন্ধিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দিন আহম্মেদ, এনআরবির সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান, সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ দিলারা হাফিজ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
‘অভাবের সংসারে বেড়ে উঠলেও ফলাফল দেখে সেদিন বাবা-মা খুব খুশি হয়েছিলেন। মা তো কেঁদেই ফেলেছিলেন। নিজেরও অনেক ভালো লেগেছে তাদের মুখে হাসি দেখে।’ এভাবেই নিজের কথাগুলো বলছিল শান্ত শেখ।
শান্তর মতো অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা আরেক শিক্ষার্থী সুস্মিতা সেন। চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ নালাপাড়ার এই শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে জিপিএ-৫ পেয়ে। সুস্মিতার বাবা কাজ করেন একটি ছাপাখানায়। এখানে উপার্জিত অর্থে কোনো রকমে চলে সুস্মিতাদের চারজনের সংসার। ইচ্ছে হলেও কোনো দিন ভালো কিছু চাইতে পারেনি মা-বাবার কাছে। কারণ, ছোট বয়সেই সুস্মিতা বুঝে নেয় তার সব আবদার মেটানোর সামর্থ্য মা-বাবার নেই। তাই অনেক কিছুই চেপে যেত সে। সন্তানকে শখের কিছু না দিতে পেরে নাকি খারাপ লাগত তার মা-বাবারও। সেই সুস্মিতার এমন ফলাফলে মা-বাবা যেন ঠিক থাকতে পারলেন না। আনন্দাশ্রু বেরিয়ে এল চোখ ঠিকরে।
এমনই ২০০ বাস্তব গল্প দিয়ে মোড়ানো হলো একটি দিন। রাজধানীর মহাখালী কমিউনিটি সেন্টারে ম্যাডোনা গ্রুপের আয়োজনে ৬ জুলাই আয়োজন করা হয় অদম্য মেধাবীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠান। সেখানেই জানা হলো সারা দেশের এই ২০০ শিক্ষার্থীর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়ার গল্প। সংবর্ধনার পাশাপাশি এসব অদম্য মেধাবীর হাতে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি ও বই কেনা বাবদ এককালীন আট হাজার টাকা করে তুলে দেন আয়োজকেরা।
অনুষ্ঠানে ম্যাডোনা গ্রুপের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বলেন, ‘অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থীরাই জানে এটা কত কষ্টের। পদে পদে প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এগিয়ে আসা সবার দ্বারা সম্ভব হয় না। এটা যারা পারে, তারা আসলেই অদম্য। তাদের প্রয়োজনের তুলনায় এই বৃত্তি খুবই কম। তবু তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই বলেই কয়েক বছর ধরে এই আয়োজন করে যাচ্ছি।’
২০১০ সাল থেকে অদম্য মেধাবীদের এই বৃত্তি দিচ্ছে ম্যাডোনা গ্রুপ। এককালীন আট হাজার টাকা করে মোট ১৬ লাখ টাকার বৃত্তি দেওয়া হয় তাঁদের।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বর দয়াময়ি পাইলট একাডেমি থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী মাহফুজার রহমান বলল, ‘এই টাকাটা পেয়ে ভালো হলো।
কৃষক বাবার অর্থের জোগানে চলে আমার লেখাপড়া। কলেজে ভর্তি আর বই কেনার টাকার ধকলটা বাবাকে নিতে হবে না। কর্মজীবনে প্রবেশ করে আমিও এমন অসচ্ছল মেধাবীদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
তার মতো একই কথা মনে মনে পুষে রাখছে অদম্য মেধাবী রাকিবুল ইসলাম, আমিনুল বা জাকারিয়া মাসুদ।
শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে সেদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, প্রাবন্ধিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দিন আহম্মেদ, এনআরবির সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান, সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ দিলারা হাফিজ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
No comments