পড়তে চাইলে ভারতে by আফরিনা হোসেন
বিশ্বায়নের যুগে পুরো পৃথিবীটাই আজ যেন
পরিণত হয়েছে ‘গ্লোবাল ভিলেজে’। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই বিপুল এই পৃথিবী
দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে। আগে যেখানে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের
সংখ্যা ছিল হাতেগোনা,
সেখানে এখন উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর
অধিকাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণে এগিয়ে আসছেন। ইউরোপ-আমেরিকার
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সঙ্গে এখন এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও শিক্ষার
মানে অনেক ওপরে উঠে এসেছে, ভারতের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর মধ্যে অন্যতম। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি
শিক্ষার্থীদের সহজে পড়তে যাওয়াকে আরও সুগম করতে সম্প্রতি ৫ ও ৬ জুলাই
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত হয়েছিল ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’
শিরোনামে শিক্ষামেলা।
বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই মেলায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়—তিনটি পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করে। এখানে যেমন ছিল কলকাতার বাংলাভাষী ইনস্টিটিউটের সদস্যরা, তেমনি ছিল দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোরের প্রতিনিধিরাও। শিক্ষার্থীদের মেধা, চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসাই ছিল এই শিক্ষামেলার মূল লক্ষ্য।
শিক্ষামেলায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে জিজ্ঞেস করলে কলকাতাভিত্তিক পৈলান গ্রুপের পরিচালক ড. সেঁজুতি গোস্বামী বলেন, ‘প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী আমাদের এখানে পড়তে আসেন। তবে সঠিক তথ্যের অভাবে হয়তো বা আরও অনেক শিক্ষার্থী পড়তে আসতে পারেন না। সেই সব শিক্ষার্থীকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই আমাদের এখানে আসা। ভারতে এখন অনেক কম খরচে, এমনকি শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমেও বিশ্বমানের শিক্ষাসুবিধা পাওয়া সম্ভব। আমরা এই সম্পর্কে জানাতে চাই শিক্ষার্থীদের।’
শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নয়, স্কুল পর্যায়ে, বিশেষ করে বোর্ডিং স্কুলগুলোয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে উদ্বুদ্ধ করতেও এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোদাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, জেমস অ্যাকাডেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শারদা ইউনিভার্সিটি—এ রকম আরও কিছু বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখানে তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে। ষষ্ঠ শ্রেণীপড়ুয়া রাইয়ানকে নিয়ে তার মা সেদিন এসেছিলেন মেলাপ্রাঙ্গণে। তিনি জানান, ‘আমার সন্তানকে আমি একটি ভালো বোর্ডিং স্কুলে দিয়ে পড়াশোনা করাতে চাই। বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজগুলো ছাড়া এ রকম আবাসিক শিক্ষাব্যবস্থার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। পাশের দেশ ভারতেই যেহেতু এমন সুযোগ রয়েছে, তাই আমি সঠিক তথ্যগুলো জেনে ওকে ভর্তি করাতে চাই। মূলত সে জন্যই এই মেলায় আসা।’
অনেক শিক্ষার্থীর পদচারণে সারা দিন মুখর ছিল মেলাপ্রাঙ্গণ। উৎসবে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবেদা সুলতানা বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আমি আগ্রহী ছিলাম, তাদের কাছ থেকে ভালোমতোই তথ্য জানতে পেরেছি। আরও তথ্য জানতে হলে সরাসরি আমি এখন তাদের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারব।’
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই শিক্ষামেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন। দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা, সেই সঙ্গে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই আয়োজন। আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্যারামেডিকেল, ডেন্টাল, নার্সিং, বায়োটেকনোলজি, ফার্মেসি, এমবিএ, বিবিএ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, সাংবাদিকতাসহ প্রায় ২০০টি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মেলা আয়োজনের ইচ্ছা আছে আয়োজকদের।
বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই মেলায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়—তিনটি পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করে। এখানে যেমন ছিল কলকাতার বাংলাভাষী ইনস্টিটিউটের সদস্যরা, তেমনি ছিল দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোরের প্রতিনিধিরাও। শিক্ষার্থীদের মেধা, চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসাই ছিল এই শিক্ষামেলার মূল লক্ষ্য।
শিক্ষামেলায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে জিজ্ঞেস করলে কলকাতাভিত্তিক পৈলান গ্রুপের পরিচালক ড. সেঁজুতি গোস্বামী বলেন, ‘প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী আমাদের এখানে পড়তে আসেন। তবে সঠিক তথ্যের অভাবে হয়তো বা আরও অনেক শিক্ষার্থী পড়তে আসতে পারেন না। সেই সব শিক্ষার্থীকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই আমাদের এখানে আসা। ভারতে এখন অনেক কম খরচে, এমনকি শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমেও বিশ্বমানের শিক্ষাসুবিধা পাওয়া সম্ভব। আমরা এই সম্পর্কে জানাতে চাই শিক্ষার্থীদের।’
শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নয়, স্কুল পর্যায়ে, বিশেষ করে বোর্ডিং স্কুলগুলোয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে উদ্বুদ্ধ করতেও এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোদাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, জেমস অ্যাকাডেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শারদা ইউনিভার্সিটি—এ রকম আরও কিছু বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখানে তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে। ষষ্ঠ শ্রেণীপড়ুয়া রাইয়ানকে নিয়ে তার মা সেদিন এসেছিলেন মেলাপ্রাঙ্গণে। তিনি জানান, ‘আমার সন্তানকে আমি একটি ভালো বোর্ডিং স্কুলে দিয়ে পড়াশোনা করাতে চাই। বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজগুলো ছাড়া এ রকম আবাসিক শিক্ষাব্যবস্থার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। পাশের দেশ ভারতেই যেহেতু এমন সুযোগ রয়েছে, তাই আমি সঠিক তথ্যগুলো জেনে ওকে ভর্তি করাতে চাই। মূলত সে জন্যই এই মেলায় আসা।’
অনেক শিক্ষার্থীর পদচারণে সারা দিন মুখর ছিল মেলাপ্রাঙ্গণ। উৎসবে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবেদা সুলতানা বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আমি আগ্রহী ছিলাম, তাদের কাছ থেকে ভালোমতোই তথ্য জানতে পেরেছি। আরও তথ্য জানতে হলে সরাসরি আমি এখন তাদের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারব।’
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই শিক্ষামেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন। দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা, সেই সঙ্গে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই আয়োজন। আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্যারামেডিকেল, ডেন্টাল, নার্সিং, বায়োটেকনোলজি, ফার্মেসি, এমবিএ, বিবিএ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, সাংবাদিকতাসহ প্রায় ২০০টি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মেলা আয়োজনের ইচ্ছা আছে আয়োজকদের।
No comments