সাতক্ষীরায় ৪৮টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরা পৌর এলাকায়
সরকারি ও বেসরকারি ৪৮টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ২৩টি অধিক,
১৭টি মধ্যম এবং আটটি কম ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর অধিকাংশই একতলা ভবন। বাকিগুলো
দোতলা।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ দলের প্রধান ও সাতক্ষীরা
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক কুমার মিত্র জানান, ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে
চিহ্নিত করা ভবনগুলোর অনুমোদন নেই। অধিকাংশ ভবন স্বাধীনতার অনেক আগে তৈরি
হয়েছে। মালিকদের প্রথমে নিজ দায়িত্বে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ ও মেরামত
করার জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁরা না করলে পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা
নেবে। শিগগিরই ভবনের মালিকদের এ নোটিশ করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা কাস্টমস গুদামের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও বিশ্রাম কক্ষসহ চারটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ও কার্নিশ ধসে পড়েছে। দেয়ালের পলেস্তারা নেই। অফিস কক্ষের ছাদের নিচের পলেস্তারা খসে লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। প্রায় একই অবস্থা পুরাতন হাসপাতালের দুটি, নতুন হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাসভবন এবং পুরাতন কোর্টসংলগ্ন অফিসার ভবনের।
কাস্টমস গুদামের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ নজরুল ইসলাম জানান, ২০০৭ সালে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিকল্পব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই আতঙ্কের মধ্যে এ ভবনে দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এম এম নূর আহমেঞ্চদ জানান, সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর জুন মাসে সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় ৪৮টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দ্রুত অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জরুরিভিত্তিতে মেরামত ও কম ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ভবনের মালিককে নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি জানান, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে টেলিগ্রাম, জজ কোর্টের পুরাতন ভবন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় (পূর্ব-পশ্চিম পাশের) ভবন, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, পিডিবির সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় ভবন, স্টেডিয়ামের উত্তর-পূর্ব গ্যালারি, বিউটি হোটেল, স্কাউট ভবন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, লাবনী সিনেমা হল, ড্রামেটিক ক্লাব, খান মার্কেট, টাউন স্পোর্টিং ক্লাবের সামনের ভবন ইত্যাদি।
সাতক্ষীরার নাগরিক কমিটির সদস্য ফাইমুল হক ও কাজী সাইদুর রহমান জানান, পৌরসভা শুধু ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেই তাদের দায়িত্ব সেরেছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অনেক অফিসের দাপ্তরিক কাজ চলে, আবার কিছু ভবনে মানুষ বসবাস করছে। এসব ভবন দ্রুত অপসারণ না করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সাতক্ষীরা পৌরসভা সূত্র জানায়, ১৮৬৯ সালে সাতক্ষীরা পৌরসভা স্থাপিত হয়। ওই সময় ভবন নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদন বাধ্যতামূলক ছিল না। ১৯৮৪ সালে সাতক্ষীরা জেলা হওয়ার পর স্থানীয় সরকার (পৌরসভা আইন) অনুযায়ী পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা কাস্টমস গুদামের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও বিশ্রাম কক্ষসহ চারটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ও কার্নিশ ধসে পড়েছে। দেয়ালের পলেস্তারা নেই। অফিস কক্ষের ছাদের নিচের পলেস্তারা খসে লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। প্রায় একই অবস্থা পুরাতন হাসপাতালের দুটি, নতুন হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাসভবন এবং পুরাতন কোর্টসংলগ্ন অফিসার ভবনের।
কাস্টমস গুদামের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ নজরুল ইসলাম জানান, ২০০৭ সালে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিকল্পব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই আতঙ্কের মধ্যে এ ভবনে দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এম এম নূর আহমেঞ্চদ জানান, সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর জুন মাসে সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় ৪৮টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দ্রুত অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জরুরিভিত্তিতে মেরামত ও কম ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ভবনের মালিককে নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি জানান, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে টেলিগ্রাম, জজ কোর্টের পুরাতন ভবন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় (পূর্ব-পশ্চিম পাশের) ভবন, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, পিডিবির সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় ভবন, স্টেডিয়ামের উত্তর-পূর্ব গ্যালারি, বিউটি হোটেল, স্কাউট ভবন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, লাবনী সিনেমা হল, ড্রামেটিক ক্লাব, খান মার্কেট, টাউন স্পোর্টিং ক্লাবের সামনের ভবন ইত্যাদি।
সাতক্ষীরার নাগরিক কমিটির সদস্য ফাইমুল হক ও কাজী সাইদুর রহমান জানান, পৌরসভা শুধু ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেই তাদের দায়িত্ব সেরেছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অনেক অফিসের দাপ্তরিক কাজ চলে, আবার কিছু ভবনে মানুষ বসবাস করছে। এসব ভবন দ্রুত অপসারণ না করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সাতক্ষীরা পৌরসভা সূত্র জানায়, ১৮৬৯ সালে সাতক্ষীরা পৌরসভা স্থাপিত হয়। ওই সময় ভবন নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদন বাধ্যতামূলক ছিল না। ১৯৮৪ সালে সাতক্ষীরা জেলা হওয়ার পর স্থানীয় সরকার (পৌরসভা আইন) অনুযায়ী পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়।
No comments