তারেক রহমানের লন্ডন ঘোষণা by তানজির আহমেদ রাসেল
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অতীত নয়, ভবিষ্যতের
দিকে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান
তারেক রহমান। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্মাণে নিজের ভাবনাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
ঘোষণা
করেছেন সাত দফা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে অনড় অবস্থান প্রকাশ করে তারেক
রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আগামীতে নিরপেক্ষ এবং
স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই। সুতরাং
নেতৃবৃন্দ আমাদের এখন নির্বাচনমুখী হওয়ার চেয়ে উচিত হচ্ছে কিভাবে নিরপেক্ষ
নির্বাচন হয় তা নিশ্চিত করা।
বুধবার সেন্ট্রাল লন্ডনের পাঁচ তারকা গৌমেন হোটেল দ্য টাওয়ারে বৃটেন বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৫০ মিনিটব্যাপী বক্তব্যের প্রায় পুরোটাই তারেক রহমান একটি সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে তার বিভিন্ন চিন্তাচেতনা ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। চলমান রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন কম। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতেই কথা বলেছেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি বৃটেনে অবস্থান করছেন।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য শুধু ক্ষমতায়ন নয়, এটি আমাদের একটি লক্ষ্য মাত্র, রাষ্ট্রীয় উন্নয়নও রাজনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশে বিদেশে যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে সব সময় ভাবি আমাদের ধর্ম, বিশ্বাস, মত বা আদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু দেশটা আমাদের সবার। আমরা সবাই দেশকে ভালবাসি, আমাদের এক হয়ে গড়ে তুলতে হবে একটি নতুন সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে বহু দূর। এই অগ্রযাত্রার গতি হতে হবে খুব দ্রুত, লক্ষ্য হতে হবে সুনির্দিষ্ট। অতীতমুখী নয়, আমাদের চেতনা ও দায়বদ্ধতা হতে হবে ভবিষ্যৎমুখী। গতানুগতিক রাষ্ট্রপরিচালনায় আবদ্ধ থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ কিন্তু খুব উজ্জ্বল নয়। আমাদের আধুনিকতাকে উৎসাহ দিতে হবে আর বরণ করে নিতে হবে অভিনবত্বকে। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করে সামনের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে, যার আবর্তন রাষ্ট্রের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বিবর্তন জনসাধারণের সমস্যার সমাধান।
বক্তৃতায় তারেক রহমান সাত দফা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকির উপযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। কৃষিকাজে ব্যবহৃত প্রধান তিন উপাদান চারা ও বীজ, সার ও কীটনাশক, সরঞ্জামের আমদানি ও বিতরণ ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের পক্ষে অবস্থান জানান তিনি। তারেক রহমান বলেন, উৎপাদন মূল্যের সঙ্গে ১০-১৫ শতাংশ লাভ ধরে বিক্রয় মূল্যের বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। স্বাধীন কৃষিবান্ধব মূল্য-নির্ধারণ কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। কৃষির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিতে আগ্রহ জানিয়ে কৃষকদের জীবনমানের উন্নয়নের কথাও বলেছেন তিনি। শিক্ষাক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার বিকাশে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে বলে মনে করেন তারেক রহমান। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষার পদ্ধতি এবং পাঠ্যসূচিতে নতুন নতুন বিষয় যোগ করার পক্ষপাতি তিনি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও ব্যবহারিক জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে কারিগরি শিক্ষার প্রসারের ওপর জোর দেন তারেক রহমান। শিক্ষার্থীদের ইংরেজির পাশাপাশি স্প্যানিশ, জার্মানসহ আরও ভাষা শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। বেশি ইন্ডাস্ট্রি বেশি রপ্তানি- এই ধারণাকে সামনে নিয়ে বিনিয়োগবান্ধব নীতি প্রবর্তনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়িয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের আয় ২২ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তারেক রহমানের চতুর্থ পরিকল্পনা প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিকত্ব আনার বিষয়ে। ধোলাইখালসহ দেশের যেসব স্থানে যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে, সেসব ব্যবসাকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার আওতায় এনে কৃষি যন্ত্রপাতি, আবাসন খাতের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, অটোমোবাইল এবং জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙা শিল্পকে পৃথক চারটি ইন্ডাস্ট্রি হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি। ইন্টারনেটের আউটসোর্সিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে দেশে কয়েকটি আইটি পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও তিনি বলেন, যেখানে স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো একসঙ্গে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপ এবং প্রযুক্তিগত গবেষণা করবে। তারেক রহমান মনে করেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে পাঁচ বছরের মধ্যে রেমিটেন্স বর্তমানের ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করে এক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে চান তিনি। তারেক রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। একে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের তরুণদের গুগল, মাইক্রোসফট, স্যামসাং, ইন্টেল, সনি, এলজি’র মতো কোম্পানিতে কাজ করার মেধা ও যোগ্যতা আছে বলে আমি মনে করি। পর্যটন খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে কক্সবাজারকে সিলিকন বিচ সিটি এবং সুন্দরবনকে সাফারি পার্ক হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা তুলে ধরেন তারেক রহমান। আর নগরায়ন ও পানির বিকল্প উৎস নিয়ে নিজের ভাবনাও তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের জানান। তারেক রহমানের বিশ্বাস, এসব উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশে এই মুহূর্তে থাকা ৩ কোটি কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা এক কোটির নিচে নেমে আসবে। তিনি বলেন, এতে কর্মজীবীর সংখ্যা ৫ কোটি থেকে ৮ কোটিতে উঠবে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা ৩১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারেক রহমান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন। আর নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যা বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে যদি একটি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় তখন দেশের কল্যাণে মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারই আমাদের মূল দাবি। তাই সকল নেতাকর্মীকে যার যার অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যেতে হবে। বৃটেন বিএনপি’র সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শামীম আহমেদ। সভায় বক্তব্য রাখেন বৃটেন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আবু সায়েম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সেলিম। ইফতার মাহফিলে বৃটেন বিএনপি’র ৪২টি ইউনিটের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৫শ’ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার সেন্ট্রাল লন্ডনের পাঁচ তারকা গৌমেন হোটেল দ্য টাওয়ারে বৃটেন বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৫০ মিনিটব্যাপী বক্তব্যের প্রায় পুরোটাই তারেক রহমান একটি সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে তার বিভিন্ন চিন্তাচেতনা ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। চলমান রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন কম। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতেই কথা বলেছেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি বৃটেনে অবস্থান করছেন।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য শুধু ক্ষমতায়ন নয়, এটি আমাদের একটি লক্ষ্য মাত্র, রাষ্ট্রীয় উন্নয়নও রাজনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশে বিদেশে যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে সব সময় ভাবি আমাদের ধর্ম, বিশ্বাস, মত বা আদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু দেশটা আমাদের সবার। আমরা সবাই দেশকে ভালবাসি, আমাদের এক হয়ে গড়ে তুলতে হবে একটি নতুন সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে বহু দূর। এই অগ্রযাত্রার গতি হতে হবে খুব দ্রুত, লক্ষ্য হতে হবে সুনির্দিষ্ট। অতীতমুখী নয়, আমাদের চেতনা ও দায়বদ্ধতা হতে হবে ভবিষ্যৎমুখী। গতানুগতিক রাষ্ট্রপরিচালনায় আবদ্ধ থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ কিন্তু খুব উজ্জ্বল নয়। আমাদের আধুনিকতাকে উৎসাহ দিতে হবে আর বরণ করে নিতে হবে অভিনবত্বকে। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করে সামনের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে, যার আবর্তন রাষ্ট্রের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বিবর্তন জনসাধারণের সমস্যার সমাধান।
বক্তৃতায় তারেক রহমান সাত দফা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকির উপযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। কৃষিকাজে ব্যবহৃত প্রধান তিন উপাদান চারা ও বীজ, সার ও কীটনাশক, সরঞ্জামের আমদানি ও বিতরণ ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের পক্ষে অবস্থান জানান তিনি। তারেক রহমান বলেন, উৎপাদন মূল্যের সঙ্গে ১০-১৫ শতাংশ লাভ ধরে বিক্রয় মূল্যের বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। স্বাধীন কৃষিবান্ধব মূল্য-নির্ধারণ কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। কৃষির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিতে আগ্রহ জানিয়ে কৃষকদের জীবনমানের উন্নয়নের কথাও বলেছেন তিনি। শিক্ষাক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার বিকাশে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে বলে মনে করেন তারেক রহমান। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষার পদ্ধতি এবং পাঠ্যসূচিতে নতুন নতুন বিষয় যোগ করার পক্ষপাতি তিনি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও ব্যবহারিক জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে কারিগরি শিক্ষার প্রসারের ওপর জোর দেন তারেক রহমান। শিক্ষার্থীদের ইংরেজির পাশাপাশি স্প্যানিশ, জার্মানসহ আরও ভাষা শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। বেশি ইন্ডাস্ট্রি বেশি রপ্তানি- এই ধারণাকে সামনে নিয়ে বিনিয়োগবান্ধব নীতি প্রবর্তনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়িয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের আয় ২২ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তারেক রহমানের চতুর্থ পরিকল্পনা প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিকত্ব আনার বিষয়ে। ধোলাইখালসহ দেশের যেসব স্থানে যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে, সেসব ব্যবসাকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার আওতায় এনে কৃষি যন্ত্রপাতি, আবাসন খাতের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, অটোমোবাইল এবং জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙা শিল্পকে পৃথক চারটি ইন্ডাস্ট্রি হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি। ইন্টারনেটের আউটসোর্সিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে দেশে কয়েকটি আইটি পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও তিনি বলেন, যেখানে স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো একসঙ্গে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপ এবং প্রযুক্তিগত গবেষণা করবে। তারেক রহমান মনে করেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে পাঁচ বছরের মধ্যে রেমিটেন্স বর্তমানের ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করে এক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে চান তিনি। তারেক রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। একে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের তরুণদের গুগল, মাইক্রোসফট, স্যামসাং, ইন্টেল, সনি, এলজি’র মতো কোম্পানিতে কাজ করার মেধা ও যোগ্যতা আছে বলে আমি মনে করি। পর্যটন খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে কক্সবাজারকে সিলিকন বিচ সিটি এবং সুন্দরবনকে সাফারি পার্ক হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা তুলে ধরেন তারেক রহমান। আর নগরায়ন ও পানির বিকল্প উৎস নিয়ে নিজের ভাবনাও তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের জানান। তারেক রহমানের বিশ্বাস, এসব উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশে এই মুহূর্তে থাকা ৩ কোটি কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা এক কোটির নিচে নেমে আসবে। তিনি বলেন, এতে কর্মজীবীর সংখ্যা ৫ কোটি থেকে ৮ কোটিতে উঠবে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা ৩১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারেক রহমান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন। আর নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যা বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে যদি একটি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় তখন দেশের কল্যাণে মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারই আমাদের মূল দাবি। তাই সকল নেতাকর্মীকে যার যার অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যেতে হবে। বৃটেন বিএনপি’র সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শামীম আহমেদ। সভায় বক্তব্য রাখেন বৃটেন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আবু সায়েম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সেলিম। ইফতার মাহফিলে বৃটেন বিএনপি’র ৪২টি ইউনিটের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৫শ’ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
No comments