সংলাপে আসুন-সংঘাত নয়, সমঝোতাই কাম্য
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ অক্টোবর যদি
বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে হাতে সময় আছে মাত্র তিন মাস। অথচ এখনো
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে প্রধান দুটি দল দুই মেরুতে অবস্থান করছে।
আওয়ামী লীগ বলছে, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই
নির্বাচন হবে। বিএনপি বলছে, এ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
বিএনপি অংশ নেবে না। বলা বাহুল্য, বিরোধী দলহীন নির্বাচন দেশে বা বিদেশে
কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। অথচ সংবিধানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন না আনা হলে
আগামী নির্বাচনে ভিন্ন কোনো সরকার পদ্ধতি প্রবর্তনের সুযোগ নেই। আর এ জন্য
সময় আছে মাত্র তিন মাস; অর্থাৎ বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগ পর্যন্ত।
কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রধান দুটি দলের মধ্যে এ ব্যাপারে কোনো সমঝোতা হয়নি। এ
অবস্থায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত বুধবার জাতীয়
প্রেসক্লাবে সরকারের প্রতি সংলাপে বসার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এ আহ্বানের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশের যথেষ্ট কারণ
রয়েছে। তার পরও দেশের সাধারণ মানুষ চায়, বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থার
দ্রুত নিরসন হোক।
এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। তখন দেশের মানুষ সেটিকে স্বাগত জানিয়েছিল এবং আশা করেছিল, আলোচনার মধ্য দিয়ে উভয় দল একটি সমঝোতায় পৌঁছবে। মানুষ আরো আশান্বিত হয়েছিল, যখন বিরোধী দল সংসদে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আলোচনার জন্য জমা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সরকারি দলের মধ্যে যেমন আন্তরিকতার অভাব দেখা গিয়েছিল, তেমনি অভাব দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলের মধ্যেও। সরকারি দল আলোচনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এগোয়নি। আর বিরোধী দল তাদের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়। কাজেই সমঝোতার ব্যাপারে উভয় দলের আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। কিন্তু সংশয় নেই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার আন্তরিকতা নিয়ে। তারা আন্তরিকভাবেই চায়, উভয় দল দ্রুত এ ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসুক। কিন্তু দুটি দলই এ ব্যাপারে আমাদের হতাশ করছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে রমজানের পর তারা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেবে। সেই সঙ্গে থাকবে জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধের আন্দোলন। আর এসব আন্দোলনের চেহারা তো আমাদের অচেনা নয়। একটার পর একটা হরতাল। শত শত যানবাহনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি আর জানমালের ক্ষয়ক্ষতি। দুই দলের পক্ষ থেকেই অগণতান্ত্রিক সরকারের ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু তারা নিজেরাই যদি সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে অগণতান্ত্রিক সরকারকে আমন্ত্রণ জানায়, তাহলে অন্যরা সেটিকে রুখবে কিভাবে? আমরা চাই, উভয় দল তাদের কথা ও কাজে আন্তরিক হবে এবং সময় থাকতে এ ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। তখন দেশের মানুষ সেটিকে স্বাগত জানিয়েছিল এবং আশা করেছিল, আলোচনার মধ্য দিয়ে উভয় দল একটি সমঝোতায় পৌঁছবে। মানুষ আরো আশান্বিত হয়েছিল, যখন বিরোধী দল সংসদে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আলোচনার জন্য জমা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সরকারি দলের মধ্যে যেমন আন্তরিকতার অভাব দেখা গিয়েছিল, তেমনি অভাব দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলের মধ্যেও। সরকারি দল আলোচনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এগোয়নি। আর বিরোধী দল তাদের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়। কাজেই সমঝোতার ব্যাপারে উভয় দলের আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। কিন্তু সংশয় নেই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার আন্তরিকতা নিয়ে। তারা আন্তরিকভাবেই চায়, উভয় দল দ্রুত এ ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসুক। কিন্তু দুটি দলই এ ব্যাপারে আমাদের হতাশ করছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে রমজানের পর তারা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেবে। সেই সঙ্গে থাকবে জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধের আন্দোলন। আর এসব আন্দোলনের চেহারা তো আমাদের অচেনা নয়। একটার পর একটা হরতাল। শত শত যানবাহনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি আর জানমালের ক্ষয়ক্ষতি। দুই দলের পক্ষ থেকেই অগণতান্ত্রিক সরকারের ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু তারা নিজেরাই যদি সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে অগণতান্ত্রিক সরকারকে আমন্ত্রণ জানায়, তাহলে অন্যরা সেটিকে রুখবে কিভাবে? আমরা চাই, উভয় দল তাদের কথা ও কাজে আন্তরিক হবে এবং সময় থাকতে এ ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছবে।
No comments