প্রতিরক্ষা বিভাগে মেরিন ও ড্রোন সংযুক্ত করতে চায় জাপান
নিজেদের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বাড়াতে জাপানের প্রতিরক্ষা বাহিনীতেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ‘উভচর’ মেরিন সেনা এবং চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান (ড্রোন) থাকা দরকার। জাপান সরকারের একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে পারে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অংশ হিসেবে আত্মরক্ষার সমন্বিত সামর্থ্য বাড়ানো প্রয়োজন বলে সরকারি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ‘আগেভাগে হামলার সামর্থ্যের’ মতো ভাষা ব্যবহার না করা হলেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে উত্তেজনাকর সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যে তর্ক-বিতর্ক চলছে তার প্রতিফলন ঘটেছে এতে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরিকল্পনা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হলে জাপানের উচিত অতর্কিত হামলার বিকল্প নিয়েও আলোচনা করা। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে খুবই সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কেননা, জাপানের সংবিধান শান্তিবাদী এবং দেশের মানুষও তাকে জোরালোভাবে সমর্থন করে। আবে সরকারের মধ্যপন্থী শরিকেরাও সেই আদর্শ মেনে চলে। প্রভাবশালী বামপন্থী পত্রিকা আশাহি এবং ডানপন্থী পত্রিকা ইয়োমিউরি জানিয়েছে, সরকারের ওই অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের মতো মেরিন সেনার সুপারিশ করা হয়েছে, যারা স্থলভাগেও অভিযান চালাতে পারে। এ ছাড়া জাপানের দূরবর্তী ভূখণ্ডে নজরদারি চালানোর জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ওই প্রতিবেদনে জাপানের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য প্রতিফলিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এএফপি।
No comments