স্পেনে ট্রেন উল্টে নিহত ৮০
স্পেনে যাত্রীবাহী একটি ট্রেন ভয়াবহ
দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৮০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ১৪৩ জন। গত
বুধবার রাতে উত্তরাঞ্চলীয় গ্যালিসিয়া এলাকায় ট্রেনের আট বগির সবকটি
লাইনচ্যুত হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো জানা
যায়নি।
তবে আপাতত নাশকতা বা হামলার কোনো আলামত পাওয়া
যায়নি। স্পেনে গত ৪০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা।
প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাহয় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ২১৮ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি রাজধানী মাদ্রিদ থেকে ফেরোলের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টার দিকে গ্যালিসিয়ার রাজধানী সান্তিয়াগো দে কম্পোসতেলার কাছে পৌঁছলে সেটি লাইনচ্যুত হয়। সব বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ৭৩ জন মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় আরো সাতজন। ঘটনায় ১৪৩ জন আহত হয়।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুর্ঘটনার আগে ট্রেনটি খুবই দ্রুত গতিতে চলছিল। রিকার্দো মনতেসকো নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় রেডিওকে বলেন, 'লাইনচ্যুত হওয়ার পর বগিগুলো একটির ওপর আরেকটি উঠে যায় এবং বেশ কয়েকবার করে সেগুলো ডিগবাজি খায়। এতে প্রচুর মানুষ ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে। আমি দ্বিতীয় বগিতে ছিলাম। আমরা অনেকেই সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন লাগায় অনেকেই মারা যায়।'
দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে এ মুহূর্তেই একে কোনো হামলা বা নাশকতা বলতে রাজি নন সরকারি কর্মকর্তারা। তাঁদের বিশ্বাস এটি দুর্ঘটনা। যথাযথ তদন্তের আগে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, 'আপাতত এটিকে হামলা বা নাশকতা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না।' তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের ধারণা, একটি বাঁকের কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে। সে সময় গাড়ির গতি নির্ধারিত গতির দ্বিগুণ ছিল।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে সেখানে ৩২০ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, অনেকেই বগির নিচে চাপা পড়ে আছে এবং উদ্ধারকর্মীরা তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। সরকারি রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান রেনফে জানায়, তারা লাইন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আদিফের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
গত ৪০ বছরের মধ্যে স্পেনে এটিই সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এর আগে দক্ষিণাঞ্চলীয় আনদালুসিয়ায় ১৯৭২ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০০৪ সালে মাদ্রিদে একটি ট্রেনে জঙ্গি হামলা হয়। ওই সময় ১৯১ জন মারা যায়। সূত্র : বিবিসি।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ২১৮ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি রাজধানী মাদ্রিদ থেকে ফেরোলের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টার দিকে গ্যালিসিয়ার রাজধানী সান্তিয়াগো দে কম্পোসতেলার কাছে পৌঁছলে সেটি লাইনচ্যুত হয়। সব বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ৭৩ জন মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় আরো সাতজন। ঘটনায় ১৪৩ জন আহত হয়।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুর্ঘটনার আগে ট্রেনটি খুবই দ্রুত গতিতে চলছিল। রিকার্দো মনতেসকো নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় রেডিওকে বলেন, 'লাইনচ্যুত হওয়ার পর বগিগুলো একটির ওপর আরেকটি উঠে যায় এবং বেশ কয়েকবার করে সেগুলো ডিগবাজি খায়। এতে প্রচুর মানুষ ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে। আমি দ্বিতীয় বগিতে ছিলাম। আমরা অনেকেই সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন লাগায় অনেকেই মারা যায়।'
দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে এ মুহূর্তেই একে কোনো হামলা বা নাশকতা বলতে রাজি নন সরকারি কর্মকর্তারা। তাঁদের বিশ্বাস এটি দুর্ঘটনা। যথাযথ তদন্তের আগে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, 'আপাতত এটিকে হামলা বা নাশকতা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না।' তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের ধারণা, একটি বাঁকের কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে। সে সময় গাড়ির গতি নির্ধারিত গতির দ্বিগুণ ছিল।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে সেখানে ৩২০ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, অনেকেই বগির নিচে চাপা পড়ে আছে এবং উদ্ধারকর্মীরা তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। সরকারি রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান রেনফে জানায়, তারা লাইন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আদিফের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
গত ৪০ বছরের মধ্যে স্পেনে এটিই সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এর আগে দক্ষিণাঞ্চলীয় আনদালুসিয়ায় ১৯৭২ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০০৪ সালে মাদ্রিদে একটি ট্রেনে জঙ্গি হামলা হয়। ওই সময় ১৯১ জন মারা যায়। সূত্র : বিবিসি।
No comments