নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতা পাবেন না-ডিসি সম্মেলনের সমাপনীতে আইনমন্ত্রী
সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায়
ভ্রাম্যমাণ আদালত বা মোবাইল কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিচারের (সামারি ট্রায়াল)
ক্ষমতা পাচ্ছেন না নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। জেলা প্রশাসক (ডিসি)
সম্মেলনের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত অধিবেশন
শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দীর্ঘদিন ধরে
জেলা প্রশাসকরা সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতার দাবি জানিয়ে আসছেন- এ বিষয়ে
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, 'এমন কোনো বিধান করতে পারব না,
যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।'
এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুললে মন্ত্রী হোন বা এমপি সবাইকেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। গতকাল জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মহাজোট সরকারের শুরু থেকে জেলা প্রশাসকরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করে আসছিলেন। এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তাঁরা এ প্রস্তাব তোলেন। সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মোবাইল কোর্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার একটি প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং আইন মন্ত্রণালয় খুঁটিনাটি পরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
তবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, 'এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচারিক ক্ষমতা থাকবে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আর নির্বাহী বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাহী কাজ করবেন। সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, রাষ্ট্র বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফৌজদারি কার্যবিধি পরিবর্তন করে বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ওপর।'
আইনমন্ত্রী বলেন, 'জেলা প্রশাসকরা একটা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, মোবাইল কোর্ট আইনে অপরাধ স্বীকার করলেই কেবল সাজা দেওয়া যায়। এটি আমরা বিশ্লেষণ করে দেখব। কারণ মোবাইল কোর্টে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আইনটা ভালো করে পড়লে দেখা যাবে, মোবাইল কোর্টের সামনে কোনো অপরাধ করলে সাজা দেওয়া যায়। সেখানে অপরাধ স্বীকার করার প্রয়োজন নেই। তবু আমরা আইনটি পর্যালোচনা করে দেখব। যদি কোনো সংশোধন প্রয়োজন হয় সেটা আমরা করব।'
২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার পর থেকেই জেলা প্রশাসকরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতা চেয়ে আসছিলেন। মাদকদ্রব্যসহ অপরাধী ধরা পড়লে মোবাইল কোর্টের আওতায় বিচার করা যায় না। ডিসিরা মোবাইল কোর্টের আওতা বাড়িয়ে এ বিষয়ে বিচার নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছিলেন এবং মোবাইল কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা চেয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে আলাদা অধিবেশন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় তাঁরা এ ব্যাপারে জোরালো প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন।
কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, 'গণমাধ্যমকর্মীদের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে অমার্জনীয় অপরাধ। এ অপরাধে যিনিই যুক্ত থাকুন না কেন, তিনি মন্ত্রী হোন বা এমপি হোন, তাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।' গতকাল জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে তিনি গোলাম মাওলা রনি এমপি প্রসঙ্গে বলেন, 'রনিকে আদালতে দাঁড় করানোর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে।'
'অনলাইন পত্রিকায় অনেক ভালো খবর আসছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'অনলাইন পত্রিকায় বহু অপপ্রচার এবং গুজবও আসছে। তাই অনলাইন পত্রিকার এসব অপপ্রচার ও গুজব গণতন্ত্রকে খানিকটা বিঘি্নত করছে। যাঁরা এসব উসকানি দিচ্ছেন, মিথ্যাচার করছেন, তাঁদের কিভাবে মোকাবিলা করা হবে সে বিষয়ে ডিসিরা জানতে চেয়েছেন। আমরা জানিয়েছি অনলাইন পত্রিকার জন্য নীতিমালা হচ্ছে। তবে আমরা নিয়ন্ত্রণের নামে কণ্ঠ রোধ করতে চাই না। এটাই আমাদের মূলনীতি। উসকানি ঠেকানোর জন্য প্রচলিত আইন আছে। পাশাপাশি আরো বাড়তি আইন করা যায় কি না সে বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা চিন্তা-ভাবনা করছেন।' তথ্যমন্ত্রী সংবাদকর্মীদের জন্য অষ্টম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ আনুষ্ঠানিকভাবে অতিসত্বর গেজেট আকারে প্রকাশের ঘোষণা দিলেও কোনো দিন-তারিখ ঘোষণা করেননি।
এদিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন সফল হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকদের নিজস্ব কোনো মতামত ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী কাজ করবেন তাঁরা। আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা এবং সামারি ট্রায়ালের ব্যাপারে তিনি বলেন, 'এটি অন্য দশটি আইনের মতো নয়। তাই এ ক্ষেত্রে সংবিধান ও বিচারপ্রত্যাশীদের বিষয় বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত প্রস্তাব পাঠাব।'
এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুললে মন্ত্রী হোন বা এমপি সবাইকেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। গতকাল জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মহাজোট সরকারের শুরু থেকে জেলা প্রশাসকরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করে আসছিলেন। এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তাঁরা এ প্রস্তাব তোলেন। সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মোবাইল কোর্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার একটি প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং আইন মন্ত্রণালয় খুঁটিনাটি পরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
তবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, 'এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচারিক ক্ষমতা থাকবে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আর নির্বাহী বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাহী কাজ করবেন। সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, রাষ্ট্র বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফৌজদারি কার্যবিধি পরিবর্তন করে বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ওপর।'
আইনমন্ত্রী বলেন, 'জেলা প্রশাসকরা একটা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, মোবাইল কোর্ট আইনে অপরাধ স্বীকার করলেই কেবল সাজা দেওয়া যায়। এটি আমরা বিশ্লেষণ করে দেখব। কারণ মোবাইল কোর্টে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আইনটা ভালো করে পড়লে দেখা যাবে, মোবাইল কোর্টের সামনে কোনো অপরাধ করলে সাজা দেওয়া যায়। সেখানে অপরাধ স্বীকার করার প্রয়োজন নেই। তবু আমরা আইনটি পর্যালোচনা করে দেখব। যদি কোনো সংশোধন প্রয়োজন হয় সেটা আমরা করব।'
২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার পর থেকেই জেলা প্রশাসকরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতা চেয়ে আসছিলেন। মাদকদ্রব্যসহ অপরাধী ধরা পড়লে মোবাইল কোর্টের আওতায় বিচার করা যায় না। ডিসিরা মোবাইল কোর্টের আওতা বাড়িয়ে এ বিষয়ে বিচার নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছিলেন এবং মোবাইল কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা চেয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে আলাদা অধিবেশন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় তাঁরা এ ব্যাপারে জোরালো প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন।
কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, 'গণমাধ্যমকর্মীদের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে অমার্জনীয় অপরাধ। এ অপরাধে যিনিই যুক্ত থাকুন না কেন, তিনি মন্ত্রী হোন বা এমপি হোন, তাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।' গতকাল জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে তিনি গোলাম মাওলা রনি এমপি প্রসঙ্গে বলেন, 'রনিকে আদালতে দাঁড় করানোর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে।'
'অনলাইন পত্রিকায় অনেক ভালো খবর আসছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'অনলাইন পত্রিকায় বহু অপপ্রচার এবং গুজবও আসছে। তাই অনলাইন পত্রিকার এসব অপপ্রচার ও গুজব গণতন্ত্রকে খানিকটা বিঘি্নত করছে। যাঁরা এসব উসকানি দিচ্ছেন, মিথ্যাচার করছেন, তাঁদের কিভাবে মোকাবিলা করা হবে সে বিষয়ে ডিসিরা জানতে চেয়েছেন। আমরা জানিয়েছি অনলাইন পত্রিকার জন্য নীতিমালা হচ্ছে। তবে আমরা নিয়ন্ত্রণের নামে কণ্ঠ রোধ করতে চাই না। এটাই আমাদের মূলনীতি। উসকানি ঠেকানোর জন্য প্রচলিত আইন আছে। পাশাপাশি আরো বাড়তি আইন করা যায় কি না সে বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা চিন্তা-ভাবনা করছেন।' তথ্যমন্ত্রী সংবাদকর্মীদের জন্য অষ্টম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ আনুষ্ঠানিকভাবে অতিসত্বর গেজেট আকারে প্রকাশের ঘোষণা দিলেও কোনো দিন-তারিখ ঘোষণা করেননি।
এদিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন সফল হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকদের নিজস্ব কোনো মতামত ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী কাজ করবেন তাঁরা। আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা এবং সামারি ট্রায়ালের ব্যাপারে তিনি বলেন, 'এটি অন্য দশটি আইনের মতো নয়। তাই এ ক্ষেত্রে সংবিধান ও বিচারপ্রত্যাশীদের বিষয় বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত প্রস্তাব পাঠাব।'
No comments