নজরদারি নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে নাকচ
মার্কিন সরকারের নজরদারি নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলেও বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে নাকচ হয়ে গেছে। তবে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট পড়ে। কংগ্রেসে বুধবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটি মাত্র ১২ ভোটের ব্যবধানে হেরে যায়। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসএ) জনগণের ফোন রেকর্ড ও অনলাইন তৎপরতায় নজরদারি করার আরও শক্ত ভিত্তি পেল। এনএসএর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন সম্প্রতি এই নজরদারির তথ্য ফাঁস করলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে নজরদারি নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ২০৫ ভোট পড়ে। বিপক্ষে পড়ে ২১৭ ভোট। ১১১ জন ডেমোক্র্যাট ও ৯৪ জন রিপাবলিকান নেতা সংশোধনী প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট দেন ৮৩ জন ডেমোক্র্যাট ও ১৩৪ জন রিপাবলিকান নেতা। নজরদারির প্রশ্নে এই ভোটাভুটিতে দুই মেরুর রাজনৈতিক শিবিরের অভিন্ন অবস্থানের বিরল দৃষ্টান্ত দেখল মার্কিন জনগণ। এই দুই মেরু হলো কট্টর রক্ষণশীল বলে পরিচিত ‘টি পার্টি’ রিপাবলিকান ও উদারপন্থী ডেমোক্র্যাট শিবির। উভয় শিবিরই নজরদারি প্রক্রিয়ার রাশ টানার বিপক্ষে ভোট দেয়। রিপাবলিকান নেতা ও মিশিগান থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জাস্টিন অ্যাম্যাশ গত মঙ্গলবার সরকারি নজরদারি নিয়ন্ত্রণে একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ওই প্রস্তাবে শুধু সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় ছাড়া কারও ফোন বা অনলাইন তৎপরতায় নজরদারি বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছিল। শুরু থেকেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে হোয়াইট হাউস। জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান নেতারাও এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেন। ভোটাভুটি শুরুর আগে জাস্টিন অ্যাম্যাশ অভিযোগ করেন, ‘কোনো তথ্য ছাড়াই সরকার প্রতিটি মার্কিন নাগরিকের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করছে। সরকার অধিকার লঙ্ঘনের এই বিষয়টিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ ডেমোক্র্যাট নেতা আইনপ্রণেতা জিম মোরান নজরদারি নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারে এক বার্তায় লিখেছেন, মার্কিন জনগণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় এনএসএর সংস্কার জরুরি। এএফপি ও বিবিসি।
No comments