অনলাইন থেকে-ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির তিন দিনের সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছার কথা। এ
সফরকে মনে করা হচ্ছে আগামী আগস্টে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের
আমন্ত্রণে শেখ হাসিনার সরকারি সফরের আগাম প্রস্তুতি।
ভারতে দীপু মনি পেশাদারিত্বের কারণে সুপরিচিত। কিন্তু এবার তাঁর কাজটি কঠিন
বলে মনে হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশে সমালোচকরা সমস্যাপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকেই নজর
দিচ্ছেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দীপু মনি নন, বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদের দ্বারা দুটি ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ হবেন- তিস্তা নদীর পানি চুক্তি ও ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুমোদন। বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের ছয় মাসও বাকি নেই। দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এ মুহূর্তে অন্য বেশ কিছু ইস্যুর কারণে স্থিতিশীল নয়। কিন্তু বিরোধীদের দৃষ্টিতে পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে গোড়ার কথা হলো ভারতবিরোধিতা। বিএনপি ও পার্টনার জামায়াতে ইসলামী ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতামূলক সব কিছুর মধ্যেই ভুল দেখতে পায়। তাদের এই বিরোধিতায় প্রয়াত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর সেই গালভরা বক্তৃতার প্রতিচ্ছবিই দেখা যায়। তিনি বলেছিলেন, 'ঘাস খেয়ে থাকতে হলেও পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানাবে।'
বাংলাদেশ খুবই সৌভাগ্যবান যে সেখানে উন্নত জনশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশে নারীদের অবস্থান ওয়াহাবি ও সালাফি ইসলামিক মতবাদবিরোধী, যা কি না জামায়াতে ইসলামী ও তার সঙ্গে একত্রিত দলগুলো নারীদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। জামায়াতে ইসলামীর মতো মৌলবাদীরা, যারা বাংলাদেশকে তালেবান কায়দায় আমিরাত বানাতে চায়, তাদের চোখে ভারত একটি অশুভ শক্তি। ভারতকে তারা মনে করে একটি হিন্দুরাষ্ট্র এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে ফেলার জন্য ভারত দায়ী। বিএনপি সাধারণত পাকিস্তানপন্থী ও ভারতবিরোধী পথ অনুসরণ করে থাকে। তারা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দিল্লি সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন বিরোধী দল চেষ্টা করছে জাতিকে ইসলামে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী- এ দুই ভাগে বিভক্ত করতে। শাহবাগ আন্দোলনে যেসব সেক্যুলার মানুষ উপস্থিত ছিল তাদের ইসলামবিরোধী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তবে অবাক করা বিষয় হলো, শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে এক ফোঁটাও সরে যাননি। এমনকি তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা যারা করেছে, তাদের বিচার করাকে পাশ কাটিয়ে তিনি জাতির হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। সেদিক দিয়ে বিচার করলে তিনি তাঁর পিতারই কন্যা- আগে জাতি, পরে নিজে।
শেখ হাসিনা ভারতে আসবেন কাঁধে বিশাল বোঝা নিয়ে। তাঁর দিকে লাখ লাখ ছোরা তাক করা রয়েছে। তাঁকে এখনো বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। তাই ভারত থেকে শেখ হাসিনা কী পেতে পারেন, যেখানে শেখ হাসিনা ও ভারতের ভাবমূর্তি প্রায় একই রকম? ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু এবং ভারত বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে চায়। কিন্তু আজ ভারতের কিছু ইস্যু রয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা স্বার্থ জড়িত। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় স্মরণ করা যেতে পারে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছে। তখন কিন্তু ভারত ধৈর্য ধরেছে।
লেখক : ভাস্কর রায়। এশিয়া রিভিউতে প্রকাশিত নিবন্ধের কিয়দংশ ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দীপু মনি নন, বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদের দ্বারা দুটি ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ হবেন- তিস্তা নদীর পানি চুক্তি ও ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুমোদন। বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের ছয় মাসও বাকি নেই। দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এ মুহূর্তে অন্য বেশ কিছু ইস্যুর কারণে স্থিতিশীল নয়। কিন্তু বিরোধীদের দৃষ্টিতে পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে গোড়ার কথা হলো ভারতবিরোধিতা। বিএনপি ও পার্টনার জামায়াতে ইসলামী ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতামূলক সব কিছুর মধ্যেই ভুল দেখতে পায়। তাদের এই বিরোধিতায় প্রয়াত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর সেই গালভরা বক্তৃতার প্রতিচ্ছবিই দেখা যায়। তিনি বলেছিলেন, 'ঘাস খেয়ে থাকতে হলেও পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানাবে।'
বাংলাদেশ খুবই সৌভাগ্যবান যে সেখানে উন্নত জনশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশে নারীদের অবস্থান ওয়াহাবি ও সালাফি ইসলামিক মতবাদবিরোধী, যা কি না জামায়াতে ইসলামী ও তার সঙ্গে একত্রিত দলগুলো নারীদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। জামায়াতে ইসলামীর মতো মৌলবাদীরা, যারা বাংলাদেশকে তালেবান কায়দায় আমিরাত বানাতে চায়, তাদের চোখে ভারত একটি অশুভ শক্তি। ভারতকে তারা মনে করে একটি হিন্দুরাষ্ট্র এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে ফেলার জন্য ভারত দায়ী। বিএনপি সাধারণত পাকিস্তানপন্থী ও ভারতবিরোধী পথ অনুসরণ করে থাকে। তারা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দিল্লি সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন বিরোধী দল চেষ্টা করছে জাতিকে ইসলামে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী- এ দুই ভাগে বিভক্ত করতে। শাহবাগ আন্দোলনে যেসব সেক্যুলার মানুষ উপস্থিত ছিল তাদের ইসলামবিরোধী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তবে অবাক করা বিষয় হলো, শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে এক ফোঁটাও সরে যাননি। এমনকি তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা যারা করেছে, তাদের বিচার করাকে পাশ কাটিয়ে তিনি জাতির হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। সেদিক দিয়ে বিচার করলে তিনি তাঁর পিতারই কন্যা- আগে জাতি, পরে নিজে।
শেখ হাসিনা ভারতে আসবেন কাঁধে বিশাল বোঝা নিয়ে। তাঁর দিকে লাখ লাখ ছোরা তাক করা রয়েছে। তাঁকে এখনো বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। তাই ভারত থেকে শেখ হাসিনা কী পেতে পারেন, যেখানে শেখ হাসিনা ও ভারতের ভাবমূর্তি প্রায় একই রকম? ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু এবং ভারত বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে চায়। কিন্তু আজ ভারতের কিছু ইস্যু রয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা স্বার্থ জড়িত। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় স্মরণ করা যেতে পারে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছে। তখন কিন্তু ভারত ধৈর্য ধরেছে।
লেখক : ভাস্কর রায়। এশিয়া রিভিউতে প্রকাশিত নিবন্ধের কিয়দংশ ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments